শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের মজার ঘটনা: গরুর ছানা
বাংলা সাহিত্যের এক রসিক লেখক দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র। হাস্যরস ছিল তার জীবন জয়ের মন্ত্র।

অসম্ভব চরিত্রের দৃঢ়তা, অনমনীয় মানসিক শক্তি, কঠোর কর্তব্যপরায়নতা। দাদাঠাকুর ছিলেন স্বভাব কবি এবং তীক্ষ্মধী, সমাজ সচেতন লেখক।একদিন সবার সঙ্গে খেতে বসেছেন দাদাঠাকুর। সুস্বাদু বিভিন্ন পদ। তৃপ্তি করে খাচ্ছেন। একজন পরিবেশক দাদাঠাকুরের পাতে ছানার ডালনা দিয়ে গেলেন। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নলিনীকান্ত বললেন, দাদাঠাকুর, গরুর ছানার ডালনা আর একটু নেবেন নাকি? সঙ্গে সঙ্গে দাদাঠাকুর বললেন, দাও ভাই, গরুর ছানার অকেশনেই তো এসেছি। এ কথা শুনে নলিনীকান্ত ও অন্যরা হেসে উঠলেন।

 

 

 

রবীন্দ্রনাথের মজার ঘটনা: দাড়িশ্বর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক সংগীতের আসরে নিমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। আসরে সংগীত পরিবেশন করবেন বিখ্যাত ধ্রুপদ গানের শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। কবি তার গান শুনে মুগ্ধ। গোপেশ্বরের গাওয়া শেষ হলে উদ্যোক্তারা রবীন্দ্রনাথের কাছে

এসে অনুরোধ করলেন, ‘গুরুদেব, এবার আপনাকে গান গাইতে হবে।’ সেদিনের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ শুধু গান শুনতেই গিয়েছিলেন। গান গাওয়ার কথা ছিল না। উদ্যোক্তাদের অনুরোধ শুনে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘বুঝেছি, বুঝেছি, গোপেশ্বরের পর এবার দাড়িশ্বরের পালা।’
রবীন্দ্রনাথের মুখে এই কথা শুনে আসরে হাসির রোল উঠল।

 

 

 

আইনস্টাইনের মজার ঘটনা: সফলতার ফর্মুলা
বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন খুবই রসিক মানুষ। একটু ভুলোমনা তবে সব সময় কথার মজা করতে ভালোবাসতেন। ১৯৩১ সালে চার্লি চ্যাপলিন আমন্ত্রণ জানালেন আইনস্টাইনকে। তখন সিটি লাইটস সিনেমার স্কিনিং

চলছিল চাপলিনের। যখন চ্যাপলিন ও আইনস্টাইন শহরের পথ ধরে যাচ্ছিলেন, অনেক মানুষ ভিড় জমায়। এসব দেখে চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে বললেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে। এজন্যই আমার যত জনপ্রিয়তা। তা আপনাকে মানুষ এত পছন্দ করে কেন, বলতে পারেন? আইনস্টাইন চ্যাপলিনকে বললেন, আসলে কেউ আমাকে সহজে বুঝতেই পারে না। তাই হয়তো আমাকে এত বেশি পছন্দ করে!
একবার আইনস্টাইনকে সফলতা লাভের একটি গাণিতিক ফর্মুলা দিতে বলা হল। তিনি বলেছিলেন,X+Y+Z=A, যেখানে X = কাজ, Y = খেলাধুলা আর A = সফলতা। ‘আর মানে Z কী? আবারও জিজ্ঞেস করা হল তাকে। তোমার মুখ বন্ধ রাখা, আইনস্টাইনের উত্তর।

Share.

মন্তব্য করুন