কিশোর পাতা জাতীয় গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী গল্প

বিশাল আমগাছটা ছিল বলেই রক্ষা। না হলে এক টুকরো ছায়াও মিলত না এখানে। কী হত আমাদের তাই ভাবছি। ভাবছি টিফিন আওয়ারে আমাদের স্কুলের ভেতরেই বসে থাকতে হত। বলেই থামল সজীব।
রাতুল বলল- ঠিকই বলেছিস দোস্ত। এ আমগাছটি আমাদের ভাগ্য বটে। এর ছায়ায় আমরা নিজেদের ডুবিয়ে রাখছি। নইলে এই রোদে মাথা গরম হয়ে যেত।
মাহিম বলল খালি মাথা গরম হতো? মাথা ফেটেই যেত যা অবস্থা। যা গরম পড়ছে! খেলাধুলা তো বন্ধই। হাঁটা চলারও সুযোগ নেই। কাল রাতে ঘুমাতেই পারিনি। এত গরম যদি পড়ে ঘুমাই কিভাবে। ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে যায়।
সজীব খানিকটা ভাবনায় পড়ে গেল। চুপচাপ চেয়ে আছে পথের শেষ মাথার দিকে। এ পথের বাঁকেই আমগাছটি। দূর থেকে এসে রাস্তাটি ডানে মোড় নিয়েছে। এ মোড়েই আমগাছটি ডাল-পালা ছড়িয়ে নিজেকে বেশ বড়সড় করে তুলেছে। এটি একটি প্রাচীন আমগাছ। এ গাছে আম কম হয়। কিন্তু যা হয় দারুণ স্বাদের। দারুণ মিষ্টি। ফলে যা হবার তা হয়। দ্রুত আম শেষ হয়ে যায়। কেউ ঢিল ছোড়ে। কেউ আবার গাছের ডালে উঠে পেড়ে নেয়।
স্কুলের সামনে আর কোনো বড় গাছ নেই। ছোটখাটো গাছ আছে বটে। মাঠের তিন পাশটাই রাস্তা। রাস্তায় প্রাইভেটকার আর রিকশার ছোটাছুটি চলতেই থাকে। টিফিন আওয়ারে সজীবরা মাঠেই খানিকটা দৌঁড় ঝাঁপ করে।

গত ১৫ দিন কোনো খেলাধুলা নেই। এক নাগাড়ে বৃষ্টিহীন পনের দিন। আছে? আষাঢ় মাসে ঘন বর্ষা থাকার কথা। অথচ গত ১৫ দিনে আকাশে কোথাও মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই, বলল- রাতুল। মাহিম বলল- ও তো এমনই ভাবুক প্রকৃতির। নারে দোস্ত তোরা যা-ই বলিস আমার ভাবতে হয়। ভাবি দেখ- কিভাবে বদলে গেল বাংলাদেশের প্রকৃতি। শীতকালে শীত নেই। বর্ষায় বৃষ্টি নেই। প্রায় সারা বছর ধরেই গরম আর গরম। কখনো বেশি। কখনো কম। এই যা। গরম কিন্তু আছেই। এই যে একটি আষাঢ় মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রায়। সামান্য এক দু’দিন ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলো। আর বৃষ্টির সাথে দেখা নেই। নেই তো নে-ই। বৃষ্টি না হোক। তাই বলে এতো গরম ঝরবে?
আহা প্রকৃতির সাথে যেনো ওর কত অভিমান। প্রকৃতিও যেনো ওর বন্ধু। খোঁটা দিল- মাহিম।
রাতুল বলল- নারে মাহিম ঠিকই বলেছে। দেখ এ বছর শীতকালে একদম শীত পড়েনি। শীতের পোশাকই পরা লাগল না। আমার বড় দুঃখ লাগে। শীতে শীত না পড়লে কার ভালো লাগে। আমার ভালো লাগে দুষ্টুমি হেসে বলল- রাতুল। তোর ভালো লাগবে। কারণ তুই আস্ত একটা গাই, বলল মাহিম।
আহা তুই বুঝি দামড়া! জবাব দিল রাতুল। সজীব বলল- এই তোরা ঝগড়া থামাবি..?
এ সময় উদম গায়ে একটি ভারী খাচা মাথায় একজন বৃদ্ধ এসে দাঁড়াল। ওদের পাশেই। খাঁচাটা বেশ খানিকটা ভারী। ঘামে সারা শরীর ভেজা। গা থেকে প্রায় বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে ঘাম। পরনে হাঁটু অবধি নামানো লুঙ্গি। ভিজে একাকার। গাছের ছায়ায় খানিকটা বিশ্রাম নেয়ার আশায় এলো এখানে।
কিন্তু এখানে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের জটলা। তবুও এক পাশে বসার ইচ্ছে করল বৃদ্ধ। কিন্তু মাথা থেকে খাঁচাটি নামাতে পারছিলেন না।
এগিয়ে গেল সজীব। বলল চাচা আমি সাহায্য করি? বলেই খাঁচার একপাশ ধরল। অন্য পাশ বৃদ্ধ মানুষটি ধরে নামালেন। কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠলবৃদ্ধের চোখ। বললেন- বাবা তোমারে আল্লায় অনেক বড় করব। অনেক বড় মানুষ হবার দোয়া করি।
হ্যাঁ। দোয়া করবেন চাচা বলল সজীব। বলে দেখছে বৃদ্ধকে। হালকা ঘাস পাতা। তার ওপরে বসে পড়ল বৃদ্ধটি। হাঁফাচ্ছে প্রায়। পেটটা যেনো পিঠের সাথে লাগানো। বুকের দু’পাশে হাড়গুল যেনো গোনা যাবে। ঘোলাটে চোখ। চুলগুল বেশ বড়। সাদা হয়ে গেছে বেশি অংশ। দাড়ি সব সাদা। মাথার তালুর চুলগুল মাথার সাথে লেপ্টে আছে। খাঁচার ভারে চুলগুলোর এ দশা।
সজীবের দুপাশে রাতুল আর মাহিম এসে দাঁড়াল। ওরাও বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনজনের মধ্যে রাতুল একটু সাইজে ছোটখাটো। ওকে দেখিয়ে বৃদ্ধটি বলল- আমার পোলাডায় আছিল ঠিক ওর মতো। গেল বছর এই সময়টায় মরে গেল। মরে গেল হিট ইস্ট্রোকে। আহারে আমার পোলাডা কত যে ভালো আছিল। বেসুমার সুনাম ছিল পাড়ায়। কারোর দিকে বেয়াদবি চোখে চাইত না। আমার সেই পোলাডাই মইরা গেল। বলেই ডুকরে কেঁদে চোখ ঢাকল বৃদ্ধ।
সজীবের চোখ ভরে উঠল অশ্রুতে। মাহিমের চোখও ছলছল। দুঃখে মুখটা কেমন করে আছে রাতুল । কারো মুখে কথা নেই। তিনজনই চেয়ে আছে বৃদ্ধের দিকে। বৃদ্ধ তখনো চোখ ঢেকে ফোফাচ্ছে। ঘাম আর চোখের অশ্রু মিলেমিশে একাকার।
সজীব ভাবে- এই বৃদ্ধকে সান্ত¡¡না দেবার ভাষা এখন কারো নেই। একজন বৃদ্ধের সন্তান হারানোর বেদনা মোছাবে কে? তবুও বৃদ্ধের মাথায় হাত বোলায় সজীব। বলল- চাচা আমরাই আপনার ছেলে। আপনি এখানে আসবেন প্রতিদিন। এই সময়টা আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করবো। দু’চোখ থেকে হাত সরালেন বৃদ্ধ। অবাক চোখে তাকিয়ে রইল সজীবের দিকে। কিছুক্ষণ। তারপর হঠাৎ আকাশের দিকে দু’হাত তুলে বলল ও আল্লাহ এই পোলাগুলার প্রতি তোমার রহমতের চোখ দিও। বিপদ মসিবত পার করে দিও। বড় মানুষ কইরা দিও। আমিন। এমন আন্তরিক প্রার্থনা। এমন হৃদয় ছোঁয়া উচ্চারণ। মনটা ভরে উঠল সজীবের। বলল- আমাদের জন্য দোয়া করবেন চাচা। আমরা বড় হয়ে যেনো মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বৃদ্ধ। যেনো মানুষের জন্য কাজ করার অর্থ কিছুই বুঝলেন না।
সজীব আবার বলল- আগামীকাল ঠিক এই সময়ে আবার আসবেন চাচা। আসবেন কিন্তু।চুপচাপ তখনো তাকিয়ে আছেন বৃদ্ধ। বুঝতে চাইছেন কাল এলে কি হবে। এ সময় ঢংঢং ঘণ্টা বাজল।
সজীব বলল- চাচা আমাদের ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। আমরা এখনি যাব। কাল আসবেন। আসবেন তো?
মাথা নেড়ে সম্মতি দিল বৃদ্ধ। সজীবরা দ্রুত ক্লাসের দিকে ছুটল।

পরদিন টিফিন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেল। সজীব, রাতুল ও মাহিম তিনজনই আমগাছের তলায়। আজ গরমটা আরো বেড়েছে। রোদ গায়ে পড়লে চামড়া জ্বালাপোড়া করছে। আষাঢ়ের অসহনীয় গরম। আজ১৬ দিন বৃষ্টি নেই। মানুষ-প্রাণী তো বটেই গাছগাছালীও যেনো হাঁপিয়ে উঠেছে। গাছের পাতাগুল যেনো ক্লান্তিতে নুয়ে আছে। সামান্য বাতাস আসে মাঝে মাঝে। বাতাসত নয় যেনো আগুনের হক্কা। গায়ে লাগলে গা জ্বলে। এমন গরমেও মাঠে ঘাটে কাজ করছে কিছু লোক। রিকশা চালাচ্ছে কেউ কেউ। কেউ আবার মাটি খোঁড়াাখুঁড়ি করছে। এদের কথা ভেবে কষ্ট হয় সজীবের।ওরা অপেক্ষা করছে বৃদ্ধটির জন্য। কখন আসবে চেয়ে আছে পথের দিকে। ওদের তিনজনের হাতেইতিনটি কাপড়ের ব্যাগ। বাসার কিছু পুরনো জামা-কাপড় নিয়ে এল তিনজন। সাথে ৫০০ করে টাকা। বৃদ্ধের হাতে তুলে দেবে ওরা। নিশ্চয় খুশি হবে বৃদ্ধটি। তিনজন যুক্তি করেই এনেছে বৃদ্ধের জন্য। তিনজনেরই ভালো লেগেছে বৃদ্ধকে।
এখনো আসেনি বৃদ্ধ। দূরে কোথাও গিয়েছে হয়তো আসতে দেরি হচ্ছে। বলল মাহিম। রাতুল বলল- আসবে নিশ্চয়। চাচা নিশ্চয় ওয়াদা মিস করবে না। সজীব বলল- দেখে মনে হয়েছে কথার খেলাপ করবে না চাচা। আমাদের জন্য যে আন্তরিক দোয়া করেছেন। আমার ভাবতেই ভালো লাগছে।
কত মানুষ আসছে যাচ্ছে। বৃদ্ধটি আসছে না। হাতে সময় বেশি নেই। গরমও এত বেপরোয়া। গাছের ছায়ায় হলেও ঘামে ভেজা তিনজন। রোদ যেনো রোদ নয়। আগুনের নতুন রূপ। বৃদ্ধের পথের দিকে চেয়ে আছে ওরা। না বৃদ্ধের ছায়াও নেই। তবে কি আসবে না? নাকি ভুলেই গেল সজীবদের কথা। হতেও পারে। মানুষ বুড়ো হয়ে ভুলে যায়।
গেলে হয়তো অনেককিছু মনে থাকে না। ভাবে সজীব। রাতুল বলল খামোখাই আমরা জামা কাপড় নিয়ে এলাম। চাচার কোনো হদিস নেই।
মাহিম বলল ভুলটা আমরাই করেছি। চাচার ঠিকানাটা রেখে দেয়া উচিত ছিল।
সজীব বলল- মাহিম ঠিকই বলেছে। উচিত ছিল ঠিকানাটা রাখা। ঠিকানা বিনে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে। তোর মাথায় এটা এলো না কেন? তুইতো আমাদের থেকে বুদ্ধি বেশি রাখিস।
সজীব বলল- বুদ্ধি সব সময় কাজ করে নারে। বুদ্ধি এতো কাজ করলে বুদ্ধিজীবীই হয়ে যেতাম। বলেই হাসল..!
এ সময় রাস্তার দক্ষিণ দিক থেকে ঠিক মাঠের পূর্ব-দক্ষিণ কোনায় দেখা গেল বেশ ক’জন মানুষের জটলা। মানুষের এমন জটলা দেখেই রাতুল মনে একটা কৌতূহল জেগে ওঠে। সজীব ও মাহিমকে বলল চল দেখি কি হল।
সজীব বলল- আমার এসব পছন্দ না।
আমতা আমতা করল মাহিম। ততক্ষণে রাতুল এগিয়েই চলল। রাতুলের পথের দিকে তাকিয়ে আছে সজীব ও মাহিম।
রাতুল পৌঁছে গেল জটলায়। কয়েক সেকেন্ড মাত্র। জটলা থেকে বাসার দিকে। কিছুক্ষণ। তারপর একটি ভরা বালতি নিয়ে প্রায় দৌড়ানোর চেষ্টা করছে লোকটি। ছলকে ছলকে রাস্তায় পড়ে যাচ্ছিল পানি। তবুও সম্ভব যতটা দ্রুত গতিতে আসছে। সবাই লোকটিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
রাতুল খানিকটা সরে এল। খুব অস্থিরতার সাথে হাতের ইশারায় ডাকল সজীবদের এবং দ্রুত আসতে ইঙ্গিত দিল।
দ্রুত এল সজীব ও মাহিম। এসেই উকি দিল। ভিরমি খেয়ে গেল সজীব ও মাহিম। হিট স্ট্রোকে সেন্স হারিয়েছে বৃদ্ধটি। হায় হায় করে উঠল সজীব। একি হলো চাচা! চিৎকার দিয়ে বলল- পানি পানি। কেউ একটু পানি নিয়ে আসবেন!
মাঠের কোনায় পাতলা দূর্বাঘাসে চিত হয়ে পড়ে আছে বৃদ্ধ মানুষটি। সম্ভবত সজীবদের দেয়া ওয়াদা রক্ষা করতেই আসছিলেন তিনি। ভর দুপুরে রোদের প্রচণ্ডতায় সেন্স হারিয়েছে। এখন মুখে পানি ছিটাতে হবে। পানিই ওষুধ ।
জটলার বেশির ভাগ মানুষই যেনো সার্কাসের দর্শক। দু’চারজন কিছুটা দুঃখ প্রকাশ করছে। বাকিরা চেয়ে চেয়ে দেখছে। বৃদ্ধের মুখে পানি শব্দ শুনে একজন লোক দৌঁড়ে গেল ও সজীব লোকটির দিকে কয়েক কদম এগিয়েও গেল। লোকটির হাত থেকে নিল বালতিটি। বৃদ্ধের মাথার পাশে বালতি রাখল। দু’হাতে কোষ করে নিল পানি। বৃদ্ধের মুখের ওপর আনতেই শুরু হল ঝমঝম বৃষ্টি। আকাশে মেঘ জমেছে কখন খেয়ালই করেনি কেউ। আজ আষাঢ়ের১৬ দিনের মাথায় নামল বৃষ্টি। নামল প্রচণ্ড বেগে।
সবার চোখ বৃদ্ধের দিকে। ৩০-৪০ সেকেন্ড বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির ফোঁটা যেনো আঘাত করছে শরীরে। ৫০ সেকেন্ড। একটুখানি নড়ে উঠল বৃদ্ধটি।
চাচা চাচা ডাকল সজীব। না চাচার কোনো সাড়া নেই। আরো ১০ সেকেন্ড। চোখ খোলার চেষ্টা করছেন চাচা।
সজীবদের মনে আশা জেগে উঠল-হয়তো বেঁচে যাবে লোকটি। চোখ খোলার চেষ্টা করছে। বৃষ্টির ফোঁটার তীব্রতার দরুণ পারছে না।
চোখের উপর হাত রাখল সজীব। এখন বৃষ্টির ফোঁটাগুল সজীবেরর হাতের ওপর পড়ছে। ধীরে ধীরে চোখ খুলল বৃদ্ধ। সজীবকে দেখল। খুব ক্ষীণ কণ্ঠে বলল- বাবা পানি। একটু পানি। বুক ফেটে গেল।

বালতির পানি তো আর খাওয়ানো যায় না। ওই লোকটি দৌড় দিল আবার। খাবার পানি সংগ্রহের জন্য ছুটলেন তিনি। রাতুলের মাথায় এল বুদ্ধি। দু’হাত কোষ করে ধরল। অঝোর ধারায় বৃষ্টির পানি জমছে ওর হাতে। বৃষ্টির পানিই মুখে দিল বৃদ্ধের। একই কাজ করল মাহিমও। বৃষ্টির পানি খেয়ে বৃদ্ধের প্রাণ যেনো ফিরে এলো। তখনো হাত দিয়ে বৃদ্ধের চোখ রক্ষা করছে সজীব।
রাতুল মাহিম দুজনই খাওয়াল পানি। হাত পা নাড়াচাড়া করল বৃদ্ধ। মাথা ধরে বসানোর চেষ্টা করছে সজীব। জটলার আরো দু’একজন সাহায্য করল।

সজীবের সাথে ঠেস দিয়েই শুয়েছিল বৃদ্ধটি। সজীব বলল- চাচা আমরা আপনার জন্য জামা কাপড় এনেছি। কিছু টাকাও এনেছি। চলুন চাচা আপনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। ঢুকরে কেঁদে উঠলেন চাচা। বললেন- আমার পোলাডার মতো আমারও হিট ই-স্ট্রোক হইল। আমি মরতে মরতে বাইচা রইছি। আমার পোলাডাই চইলা গেল। আজরাইল নিয়া গেল আমার পোলাডারে হায়রে কপাল! এই কপালে খালি দুঃখের ছবি। বলেই কাঁদছে বৃদ্ধ। বৃদ্ধের চোখের অশ্রু বৃষ্টির পানিতে মিশে যায়। বৃষ্টির পানি ঠাণ্ডা-শীতল। চোখের পানি গরম। কিন্তু দুই পানির একই রঙ। দুই পানি গড়িয়ে যায় বৃদ্ধের শরীর বেয়ে এখনো বৃদ্ধের দুঃখগুলো অশ্রু হয়েঝরে যাচ্ছে। আর তা ধুয়ে দিচ্ছে আষাঢ়ের বৃষ্টি।

Share.

মন্তব্য করুন