ফুলকপি, আমাদের অতি পরিচিত শীতকালীন একটি সবজি। পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা অংশটি ফুলের মত বলেই এর নাম ফুলকপি। যার বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলেরাসিয়া।
ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকু বেশি খাওয়া হলেও এর চারপাশের ঘিরে থাকা ঢাকা ও পাতা দিয়ে তৈরি হয় সবজি ভাজি ও স্যুপের মতোই খাবার। ফুলের মতো অংশটুকু শুধু শুধু সাদা হয় না, কমলা, সবুজ, হলুদ, বেগুনি রঙের ফুলকুপিও জন্মায় বিশ্ব জুড়ে।
ফুলকপির রয়েছে অজস্র গুণাগুণ। ফুলকপির গুণাগুণের কথা সর্বপ্রম পাওয়া যায় ১২০০-১৩০০ শতকে আরব বিজ্ঞানী ইবনে আল আওয়াল এবং ইবনে আল বাইতির লেখায়।
তাহলে বন্ধুরা জেনে নেই ফুলকপির কিছু উপকারিতা-
১. এককাপ সিদ্ধ ফুলকপিতে রয়েছে প্রায় ৫৫ গ্রাম ভিটামিন সি, যা ফ্যাট বার্ন করতে বা চর্বি পোড়াতে এক কার্যকরী উপাদান। এ ছাড়াও রয়েছে ফোলেট যা ওজন কমাতে জাদুর মত কাজ করে।
২. ওজন কমাতে সহায়ক এই ফুলকপি। এককাপ ফুলকপিতে মাত্র ৩০ কিলো ক্যালরি শর্করা থাকে। তাই পেট ভরানো কিংবা খিদে মেটানোর জন্য খেয়ে ফেলা যায় নিশ্চিন্তেই।
৩. এতে রয়েছে গ্লুকোরাফিন, যা পাকস্থলীর ঝিল্লি রক্ষা ছাড়াও পাকস্থলীতে হ্যালোব্যাকটার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়াকে জন্মাতে দেয় না। এ ছাড়াও পাকস্থলীর আলসার ও ক্যান্সাররের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
৪. ফুলকপিতে রয়েছে জিংক যা নতুন কোষ সৃষ্টি করে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত ফুলকপি ভক্ষন হাড়, দাঁতকে মজবুত রাখার পাশাপাশি ¯ড়বায়ুকে সচল রাখে।
৬. এটি খাদ্যতালিকায় ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। যা ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এককাপ ফুলকপিতে আছে প্রায় এগারো মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে।
৭. ফুলকপিতে আছে ক্যারোটিনয়েডস যেমন বিটাক্যারোটিন এবং ফাইটোহরমোন যা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখবার পাশাপাশি ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৮. ফুলকপির সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাশাপাশি ক্রনিক ইনফেকশন কমাতেও এটি কার্যকরী।এটি সোডিয়ামেরও উৎস, যা রক্তের সঠিক ঘনমাত্রা বজায় রাখে।
৯. ওমেগো থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকায় এটি ইনফ্ল্যামেশনের সম্ভাবনা কমায়। এককাপ ফুলকপি সিদ্ধতে থাকে ০.২১ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এটি মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে থাকে।

Share.

মন্তব্য করুন