গাঁয়ের পথে, একলা হেঁটে, কাটাই সকালবেলা
ঘাসের বুকে, দেখি শত, শিশিরজলের খেলা।
গাছের শাখে, পাখি ডাকে, মনের মতো ছবি
পুব আকাশে, আরো হাসে, আবিরমাখা রবি।

দোয়েল নাচে ধানের ক্ষেতে, নয়ন মেলে দেখি
মায়ের কোলে খোকা নাচে, দেখতে আহা সে-কী!
মাঠের বুকে ফসল নাচে, ভ্রমর নাচে ফুলে
শরৎকালে কাশফুলেরা, নাচে নদীর কূলে।

বর্ষাকালে ব্যাঙের নাচন, দেখি গাঁয়ের খালে
ফাগুন এলে পাতার নাচন, গাছের ডালে-ডালে।
ভোরবেলাতে পাখির নাচন, জংলী বাঁশের ঝাড়ে
গাঁয়ের ঘরে ছেলের নাচন, মায়ের একটু মারে!
কোমরভাঙা দাদীর নাচন, নাতীর বিয়ের গীতে
দাদার নাচন পুকুর ঘাটে, গোসল সেরে নিতে।
ভাবীর নাচন দেওর যেদিন পরে বিয়ের টুপি,
খুশির ভারে ছোট ভাইও নাচে চুপিচুপি।
এমন নাচন দেখতে হলে, আইসো আমার গাঁয়ে
দু’জন মিলে সকালবেলা, হাঁটবো খোলা পায়ে।

Share.

মন্তব্য করুন