বালিহাঁস উড়ে যায় নীলাকাশ জুড়ে, কাশফুল দোল খায় বাতাসের সুরে। শিউলির ঘ্রাণে মেতে ওলিরা ছোটে, শিশিরের চিকচিকে মধুহাসি ফোটে। পাতা নড়ে তাল ঝরে ধুপধাপ জলে নির্ভয়ে…

থৈ থৈ পানি কী হয় জানি! খেপেছে বাদল কন্যা চারিদিকে বন্যা! ঘরবাড়ি ডুবে যায় দাঁড়াবার ঠাঁই নাই। মানুষের আহাজারি ভারী থেকে হচ্ছে ভারী! কী যে হয়…

ভূতলি থাকে বোনের সাথে জংলী ভূতের ঘরে বোন ছাড়া তার স্বজনেরা সবাই গেছে মরে। মানুষজনে ভয় দেখাতে ঘুরতে বেরোয় রাতে মটকাতে চায় মানুষের ঘাড় লম্বা চিকন…

এবার ঈদে আসবে না আর স্বজনেরা কেউ, মনের কোণে উঠছে তাইতো সেই বিষাদের ঢেউ। পাবো না আর কারো থেকে ঈদ সালামীর টাকা, সেই দুঃখেতে হৃদয় আমার…

ইচ্ছে করে যাই ছুটে যাই শরৎ আসা গাঁয়ে সারাটা দিন কাটিয়ে দেবো উজান ভাটির নায়ে। দেখবো আমি কাশের দোলন নদীর ধারে গিয়ে কেমন করে ডাক হেঁকে…

পুকুর পাড়ে ঝোপের ভেতর মাটির অনেক নিচে, লুকিয়ে রাখা গুপ্তধন নয়তো খবর মিছে। কেউ জানে না আমি জানি বললো নসিমন আসলে ঠিক কোথায় আছে লুকিয়ে গুপ্তধন।…

সবুজ আঁচল নীল শাড়িতে শরৎ যেনো লাজুক পরি আলো আঁধার মেঘ বাড়িতে নীল নায়রীর গড়াগড়ি। মেঘের বধূ আছড়ে পড়ে হিমেল বেড়ি শীতল পায়ে রোদের বেটা নিবাস…

শ্যামলী সজীব প্রাণ আমাদের গাঁয়ে খালের আইল পাড়ে তালবীথি ছায়ে- চলো তবে বসে পড়ি তুমি আর আমি অল্প বিরাম শেষে খালে গিয়ে নামি। শাপলা শালুক নয়…

এইতো ছিল রঙিন সকাল স্বর্ণ আলোর ছটা, চোখ ফেরাতেই আকাশ জুড়ে কালো মেঘের জটা। আলো ছায়ার লুকোচুরি মেঘের ফাঁকে ফাঁকে, শরৎ বেলার এই ছবিটা কোন কবি…

বললেম আমি ফুলের কাছে তোমার কতো সুনাম আছে সুরভি আছে সুবাস আছে রূপের মেলা বনের গাছে কি এমন গো যাদু আছে মন ছুটে যায় ফুলের কাছে…