মহাজগতের বিপুল বিশাল ব্যপ্তির পার হতে
কারা আসে এই পৃথিবীর বুকে অবাক আলোর রথে?
কারা আসে এই সবুজ পৃথ্বী ঘুম গেলে মাঝরাতে?
তারা এ-ধরার মানুষের সাথে জড়াবে কি সংঘাতে?
কারা তারা, কারা? তারা কি অচিন গ্রহবাসী কোনো প্রাণ?
তাদেরও কি আছে মানুষের মতো স্নেহ মায়া অভিমান!
নাকি তারা কোনো ভ্রমণবিলাসী, ভিনজগতের কবি?
জানে না এ-কথা পৃথিবীর কোনো জ্ঞানী গুণী মৌলভী।
জানে না বিজ্ঞ বৈজ্ঞানিকেরা, করে মিছে গবেষণা…
ধরা জুড়ে ওরা ছড়ায় অযথা জল্পনা কল্পনা।

নাসা চেয়ে থাকে আশাবাদী হয়ে উড়াল চাকতি দেখে
আজব জীবের ঘটনা জানবে ওদের আটকে রেখে।
ভাবে এইবার হবে সমাধান কাহিনীর হবে ইতি;
চলছেই শুধু রিসার্চ নামের মিছে সাধনার রীতি।

কবে কোন কালে আকাশের থেকে চাকতি পড়েছে খসে…
দেখে সে কাণ্ড পেন্টাগনের ঝানুরা থাকেনি বসে।…
দেখেছে বিশাল আগুনে-শকট জ্বলছে দূরের মাঠে….
ইয়াংকিদের ভাবটা এবার হাঁড়ি ভেঙে দেবে হাটে।
শত শত সেনা রণসাজ সেজে বাগিয়ে কামান গোলা…
ঘিরে রাখে সেই আগুনে-যানের জীবনশূন্য খোলা।
এটা নিয়ে তারা গল্প বানালো, তথ্য ছড়ালো জবর
ওই যানে আছে ভিন-গ্রহবাসী অতীব গোপন খবর!
গোপন খবর গোপনই রইলো প্রকাশ পেলো না কিছু
শত শত কোটি ডলার খোয়ালো পেন্টাগনের পিছু।

মহাস্রষ্টার মহা-বিস্ময় ছড়ানো জগতজুড়ে…
মহাশূন্যের পার থেকে রোজই কতকিছু আসে উড়ে।
হয়তো সেসব অগ্নিবাহনে ঘোরে ভিনগ্রহী প্রাণী
ফ্লাইং সসার নামেই হয়তো আমরা সেগুলো জানি।…

কতো যে কাহিনী ফাঁদছে মানুষ কল্পকথার নামে…
কেউ বলে ওই উড়াল শকটে এলিয়েন এসে নামে।
সবই কল্পনা; জল্পনা-জালে বাঁধা সবই মিছুমিছু…
মহা-সৃষ্টির স্রষ্টাই শুধু জানেন সকল কিছু।

Share.

মন্তব্য করুন