ওই যে আকাশ বিশালতায় এই পৃথিবীর ছাদ,
অবুঝ মনে প্রশ্ন আমার জানার অনেক সাধ।
সন্ধ্যারাতে মন ছুটে যায় লক্ষ তারার থালায়,
কার ইশারায় তারা খসে আবার আলো জ্বালায়?

নবীন রোদের সূর্য দিনে, রাতে চাঁদের আলো,
পাখির মতো শান্ত ভোরের ছবি কে বাঁধালো?
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে আকাশ কেন কাঁদে?
ঋতুর পালাবদল আসে প্রফুল্ল আহ্লাদে।

গেলাম ছুটে সবুজ মাঠে জুঁই ঘাসিয়ার কাছে
ঘাসফুলেরা বলল ‘বালক গল্প বলার আছে….
কোথায় থাকো? যাবে কোথা, তোমায় তুমি জানো?
রিজিকদাতা, পালনকর্তা- তাঁর কথা কি মানো?

নীল পাহাড়ও বলল ডেকে ‘দূর দেবে কি পাড়ি?
ক্লান্ত তুমি, একটু বসো? দাওয়াত আমার বাড়ি
কম সময়ের এই দুনিয়ায় জড়িয়ে মায়ার জালে
লাভ কী বলো? যেতেই হবে অসীম পরকালে।

উদাস মনের ভাবনা আমায় জাগায় সারাক্ষণ
কোন সে নূরের ঝুমদেয়াতে ভিজলো মানব মন?
ঠিক তখনি বললো আমায় মাঠের বুনোফুল
শোনো বালক নবী তোমার মোহাম্মদ রাসুল।

রঙ বদলের মেঘালয়ে হারাই যখন আমি
রঙের উৎস খোঁজাই আমার হয় কি বোকামি?
আকাশ ছুঁয়ে পাতাল ফুঁড়ে কিংবা সাগর তলে
সৃষ্টি জুড়েই মহান প্রভুর শোকর গুজার চলে।

জিকির করে বৃক্ষ-পাখি, জিন মাখলুকাত
কার তরে হয় পাক মোনাজাত ওঠাও দুটি হাত?
হাতছানি দেয় নীল সাগরও- নাও শুনে হে বালক,
সৃষ্টি রূপে মুগ্ধ করেন তোমার প্রতিপালক।

Share.

মন্তব্য করুন