একদা সারাহ নামে একটি ছোট্ট মেয়ে ছিল যে তার বাড়ির উঠানে খেলা করতো। একদিন, সে একটি গাছের গোড়ায় একটি ছোট দরজা আবিষ্কার করলো। কৌতূহলী হয়ে, সে হামাগুড়ি দিয়ে দরজার ভিতর গেল এবং নিজেকে একটি জাদুকরী জগতে খুঁজে পেল।
সেখানে ঘাস ছিল বেগুনি, গাছগুলি ছিল গোলাপি এবং সর্বত্র কথা বলা প্রাণী ছিল। সারাহ দেখে অবাক হলো এবং চারদিকে ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নিলো। সে একটি ডানাওয়ালা ঘোড়ার দেখা পেলো এবং তার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। ঘোড়াটি তার পিঠে করে সারাহকে চারপাশে ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য রাজি হলো।
তারা যখন উড়ে যাচ্ছিল, তখন তারা কাছের একটি গুহা থেকে বিকট শব্দ শোনতে পেল। কৌতূহলী হয়ে তারা সেখনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। ভিতরে যেয়ে তারা একটি ড্রাগন খুঁজে পেলো যে তার কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছে। সে তার কণ্ঠস্বর ছাড়া নিঃশ্বাস এর সাথে আগুন বের করতে পারছিলো না এবং তাই সে খুব দুঃখী ছিল।
সারাহ একটা বুদ্ধি পেল। সে তার রেকর্ডার বের করলো এবং একটি সুন্দর গান বাজালো। তারপর নিজেও গানটি গাইতে লাগলো। গানটি এতোই সুন্দর ছিলো যে ড্রাগনটি গান শোনে নিজেও গাইতে চেষ্টা করলো। হঠাৎ তার কণ্ঠস্বর ফিরে এলো এবং সে আবার নিঃশ্বাসের সাথে আগুন বের করতে পারলো।
ড্রাগনটি কৃতজ্ঞ হয়ে সারাহকে একটি জাদুকরী ফুল দিলো যা চিরকাল ফুটবে। সারাহ ড্রাগন এবং ডানাওয়ালা ঘোড়াকে ধন্যবাদ জানাল এবং ছোট দরজা দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে তার নিজের জগতে ফিরে গেল। সে তার বাড়ির উঠোনে জাদুকরী ফুলটি রোপণ করল। ফুলটি বছরের পর বছর ধরে বেড়ে ওঠে এবং প্রস্ফুটিত হয়।

Share.

মন্তব্য করুন