ছোট্ট শিশু নাফি।
সবেমাত্র ক্লাস ওয়ানে পড়ে।
এই বয়সেই বেশ দুরন্ত ও চঞ্চল!
সবসময় টই টই করে ঘুরে বেড়ায়।
ঘুম থেকে ওঠে সবার আগে।
উঠেই তার ঘুরাঘুরি শুরু!
নাস্তা খাওয়ার সময়টুকুও যেন নেই তার। মায়ের সাথে স্কুলে গিয়েও সে চুপচাপ থাকার পাত্র নয়।
সব ক্লাসরুম যেন তার নিজের!
সব ক্লাস রুমেও চলে তার দুষ্টুমি।
সব শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যমণি এই ছোট্ট নাফি।
যেমন দুষ্টু তেমন চঞ্চল!
হেঁটে টই টই করতে আর ভালো লাগে না নাফির।
টিভিতে দুরন্ত বাইসাইকেলের বিজ্ঞাপন দেখেছে।
একদিন তার বাবার কাছে বায়না ধরল, তার বাইসাইকেল লাগবে।
নাছোড়বান্দা নাফি সাইকেল কিনে নিয়েই ছাড়ল।
তাও আবার বাবার সাথে নিজে গিয়ে পছন্দের লাল রংয়ের গিয়ার ওয়ালা দুরন্ত বাইসাইকেল।
এখন তার চঞ্চলতা আরো বেড়ে গেছে।
সবসময় সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।
প্রিয় সাইকেলটিকে রেখে যখন স্কুলে যায় তখন তার মন ছটফট করে সাইকেল চালানোর জন্য।
বাড়িতে ফিরেই খাওয়া-নাওয়া বাদ দিয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করে।
ধীরে চলে না নাফির সাইকেল।
মনে হয় যেন, একাই সে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তার কোন ক্লান্তি নেই।
মাঝে মাঝে ওর দাদু যখন মোটরবাইক নিয়ে বাজারে যায় তখন নাফিও তার দাদুর পিছু পিছু সাইকেল মেরে ধাওয়া করে দাদুকে। যেন, দাদুর সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
একদিন, ওর বাবাসহ স্কুল থেকে ফেরার পথে ওর বাবা দোকানে কিছু খরচ কিনতে চাইল কিন্তু নাফি খরচ কিনতে দিবে না, কিছুতেই দিবে না।
তার কথা-এখন খরচ কিনতে হবে না, আমি বাড়িতে গিয়ে সাইকেল নিয়ে বাজারে এসে খরচ নিয়ে যাবো।
নাছোড়বান্দা তাই করল।
তার বাবাকে খরচ কিনতেই দিল না।
পরে সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে খরচ নিয়ে এলো।
ভর দুপুরে প্রচ- রোদে সব মানুষ যখন একটু ছায়ায় বসতে চায়, দুরন্ত নাফি তখন রোদের মধ্যেই সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।
কারো কোন বাধা সে মানে না।
তার প্রিয় দুরন্ত বাইসাইকেলই যেন তার সব।

Share.

মন্তব্য করুন