ঈদ এলেই মনের কোণে আনন্দ খেলা করে। রোজার ঈদে যেমন নতুন জামার ঘ্রাণ তেমনি ঈদুল আজহার সময় কোরবানির উৎসব। আল্লাহকে ভালোবেসে ঘরে ঘরে পশু কোরবানির উৎসব শুরু হয়ে যায়। গ্রামের বাড়িতে অনেকেই পোষা ছাগল-ভেড়া, গরু কোরবানি দিয়ে থাকে। কেউ বা হাট থেকে গরু ছাগল কিনে কোরবানি দেয়। শহরের প্রায় সকল মুসলমানই কোরবানি করে কেনা পশু দিয়ে। কেনা পশুর চেয়ে ঘরে পোষা প্রাণীর কোরবানিতেই বেশি মজা। আল্লাহ কাছে প্রিয় পশুটাকেই কোরবানি দেয়ার নিয়ম। তাইতো প্রিয় পোষা প্রাণীটাকে কোরবানি দিয়ে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়ার সুযোগ বেশি।
দাদুভাই আমাদের প্রায়ই কোরবানির গল্প শোনাতেন। তিনি বলতেন, এটা শুধু পশু কোরবানি নয়। মানুষের ভেতরে একটা পশু বাস করে। তাকেও কোরবানি দেয়া। তিনি খুব মজা করে গল্পগুলো কুরআন হাদিস থেকে বয়ান করতেন। আমরাও শুনতাম খুব আগ্রহ ভরে। তিনি বলতেন, কোরবানি শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো উৎসর্গ বা ত্যাগ। ঈদের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু জবেহ করাকে কোরবানি বলা হয়। ঈদের দিন, তার পরের দিন এবং ঈদের তৃতীয় দিনেও কোরবানি করা যায়। কোরবানি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম ও অনুপম আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম কোরবানি ছিলো হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর দু’পুত্র হাবিল ও কাবিলের কোরবানি। হযরত আদম আ: ছিলেন পৃথিবীর প্রথম মানুষ। তিনি আমাদের আদি পিতা। আর হযরত হাওয়া আ: ছিলেন পৃথিবীর প্রথম নারী। তিনি আমাদের আদি মাতা। আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে আগমন করলে তাদের মাধ্যমে প্রতিপর্বে যমজ হিসেবে একজন পুত্র ও একজন কন্যা সন্তান জন্ম হতো। তারা সম্পর্কে ভাই বোন হতো। অথচ ভাই-বোন বিয়ে জায়েজ নেই। তাই মহান আল্লাহ বিধান দিলেন যে, একই সাথে যে যমজ পুত্র ও কন্যা জন্ম গ্রহণ করবে, তারা পরস্পর সহোদর ভাইবোন হিসেবে গণ্য হবে। তাদের মধ্যে বিবাহ হারাম হবে। কিন্তু যমজ ভাইবোন ছাড়া ছোট-বড় ভাইবোনের বিয়ে বৈধ হবে।
কাবিল আর আকলিমা ছিলো যমজ। অন্যদিকে হাবিল এবং গাজা ছিলো যমজ। তাই জুটি ভেঙে বিয়ে দিতে হবে। কাবিলের যমজ বোন আকলিমা ছিল খুবই সুন্দরী। সে তাকেই বিয়ে করতে চায়। কিন্তু নিয়ম অনুয়ায়ী হাবিলের সাথে তার বিয়ে ঠিক করা হয়। কিন্তু কাবিল তা কোনোভাবেই মানবে না। তাই হযরত আদম আ. হাবিল ও কাবিল দু’জনকেই আল্লাহর জন্য কোরবানি পেশ করার কথা বললেন। যার কোরবানি কবুল হবে, সেই আকলিমাকে বিয়ে করবে। তখন কোরবানি কবুল হওয়ার একটি নিয়ম ছিল। আকাশ থেকে আগুন এসে কোরবানিকে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে যেত। আর যে কোরবানিকে আগুনে পুড়তো না, সেটাকে কবুল হয়নি বলে গণ্য করা হতো। হাবিল ভেড়া, দুম্মা ইত্যাদি পশু পালন করত। সে একটি সুন্দর দুম্বা কোরবানি করল। কাবিল কৃষি কাজ করত। সে কিছু শস্য, গম ইত্যাদি কোরবানির জন্য পেশ করল। নিয়মানুযায়ী আকাশ থেকে আগুন এসে হাবিলের কোরবানিটি পুড়িয়ে দিয়ে গেল আর কাবিলের কোরবানি যেমন ছিল তেমনি পড়ে রইল। এ সময় থেকেই শুরু হলো কোরবানি।
মুসলমানদের কোরবানি-সুন্নাতের মডেল হলেন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে মহান আল্লাহ তাঁকে পুত্রসন্তান দান করেন। তাঁর নাম ইসমাঈল। তিনি সবেমাত্র কৈশোরে পা দিয়েছেন। সে সময় স্বপ্নের মাধ্যমে মহান আল্লাহ একমাত্র প্রিয়পুত্র ইসমাঈলকে কোরবানি করতে আদেশ করেন। তখন হযরত ইসমাঈলের বয়স ছিল তেরো বছর। নির্দেশ পেয়েই হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তা পালনের জন্য তা পালনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। তিনি তার পুত্র ইসমাঈলকে বললেন, হে প্রাণপ্রিয় পুত্র আমার! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ করছি। সুতরাং তুমি চিন্তা ভাবনা করে দেখ এবং এ স্বপ্নের ব্যাপারে তোমার অভিমত কী? তা বল। যেমন বাপ, তেমন বেটা। পুত্রও ছিলেন যেন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম এর মতো পাক্কা ঈমানদার। তিনিও তো সামনের দিনের নবী। তাই তখনি মাথা অবনত করে জবাব দিলেন। বললেন, হে আমার পিতাজি! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।
পুত্রের দৃঢ়তা, হিম্মত এবং আল্লাহর আনুগত্যের জয্বা দেখে আনন্দিত হলেন হযরত ইবরাহিম আ:। পিতা-পুত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কোরবানির নির্দেশ পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং এ কাজ সমাধার জন্য তারা মিনা প্রান্তরে গমন করেন।
শয়তান কিন্তু বসে থাকেনি। সে কোরবানির মহান এ কাজে বিভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করে। সে প্রথমে মা হাজেরা ও ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে খারাপভাবে বুঝিয়ে এ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। কিন্তু মা-ছেলে দু’জনেই শয়তানের কথাকে কোন পাত্তা দিলেন না। মরদুদ শয়তান হযরত হাজেরা আলাইহিস সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে ধোঁকা দিতে না পেরে নিরাশ হয়ে পড়ে। সে আবার মিনা যাওয়ার পথে ‘জামরায়ে আকাবাহ’, ‘জামারায়ে উসত্বা’ এবং ‘জামরায়ে উলা’ এই তিন জায়গায় তিনবার হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম প্রত্যেকবারই তাকে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেন। এখনো এ প্রশংসনীয় কাজের স্মৃতিস্বরূপ মিনার ঐ তিনটি স্থানে হাজি সাহেবগণ কঙ্কর নিক্ষেপ করে থাকেন। এটা শরিয়তের বিধানে ওয়াজিব হিসেবে আজো পালিত হয়ে আসছে।
অবশেষে পিতা-পুত্র উভয়েই মহান কোরবানি পালনের উদ্দেশ্যে মিনায় পৌঁছলেন। ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম কোরবানি করার জন্য ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে শুইয়ে দিলেন। সে সময় পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাম পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে বললেন আব্বাজান! আমার হাত-পা খুব শক্ত করে বেঁধে নিন যাতে আমি নড়াচড়া করতে না পারি। আর আপনার পরিধেয় বস্ত্রাদি সামলে নিন, যাতে আমার রক্তের ছিটা না পড়ে। অন্যথায় এতে আমার সওয়াব কমে যেতে পারে। এ ছাড়া রক্ত দেখলে আমার মা খুব ব্যাকুল হবেন। আপনার ছুরিটি ধার দিয়ে নিন এবং আমার গলায় দ্রুত চালাবেন, যাতে আমার প্রাণ সহজে বের হয়ে যায়। কারণ, মৃত্যু বড় কঠিন ব্যাপার। আপনি আমার আম্মাজানের নিকট আমার শেষ বিদায়ের সালামটুকু অনুগ্রহপূর্বক পৌঁছে দিবেন। যদি আমার জামা তার নিকট নিয়ে যেতে চান, তবে নিয়ে যাবেন।
আদরের একমাত্র সন্তানের মুখে এমন কথা শুনে পিতার মানসিক অবস্থা দুর্বল হবার কথা। আল্লাহর আদেশের কাছে সন্তানের মায়া অনেক তুচ্ছ। তাই তিনি দৃঢ়তার সাথে জবাব দিলেন, আমার প্রাণ প্রিয় বৎস! আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য তুমি আমার চমৎকার সহায়ক হয়েছ। অতঃপর তিনি পুত্রকে আদর করে চুম্বন করলেন এবং অশ্রুসজল নয়নে তাঁকে বেঁধে নিলেন। তারপর তাঁকে সোজা করে শুইয়ে দিয়ে তাঁর গলায় ছুরি চালালেন। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার যে, বারবার ছুরি চালানো সত্ত্বেও গলা কাটছে না। কেননা আল্লাহতায়ালা স্বীয় কুদরতে পিতলের একটা টুকরা মাঝখানে অন্তরায় করে দিয়েছিলেন। তখন পুত্র নিজেই আবদার করে বললেন, আব্বাজী! আমাকে উপুড় করে শুইয়ে নিন। কারণ, আমার মুখম-ল দেখে আপনার মধ্যে পিতৃ¯েœহ উথলে উঠে। ফলে গলা কাটা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ছুরি দেখে আমি ঘাবড়ে যাই।
পুত্রের কথা অনুযায়ী হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তাঁকে উপুড় করে শুইয়ে দিলেন এবং পুনরায় সজোরে প্রাণপণে ছুরি চালালেন। কিন্তু তখনও গলা কাটছে না। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। তাঁর এ রকম প্রাণান্তর প্রচেষ্টা দেখে মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন এবং হযরত ইসমাঈলকে বিনা যবেহেই তার কোরবানি কবুল করে নিলেন। তখন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম এর ওপর ওহি নাযিল হলো। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিলেন, এখন পুত্রকে ছেড়ে দিন এবং আপনার নিকট যে দুম্বাটি দাঁড়ানো রয়েছে, পুত্রের পরিবর্তে সেটাকে যবেহ করুন। তখন ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখেন, একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা দাঁড়ানো আছে। আল্লাহর শোকর আদায় করে তিনি সেই দুম্বাটিকে যবেহ করলেন। এটাই সেই কোরবানি যা আল্লাহর দরবারে এতই প্রিয় ও মাকবুল হয়েছিল যে, আল্লাহতায়ালা পরবর্তী সকল উম্মতের মধ্যে তা অবিস্মরণীয় রূপে বিরাজমান রাখার ব্যবস্থা করে দিলেন। যে কারণে মিল্লাতে ইব্রাহীমে তথা দ্বীন ইসলামে এক মহান ওয়াজিব ইবাদত হিসেবে এ কোরবানি আজও পালিত হয়ে আসছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা পালিত হতে থাকবে। তাই মহান আল্লাহ বলেন, “আর আমরা ভবিষ্যতের উম্মতের মধ্যে ইব্রাহীমের এ সুন্নাত স্মরণীয় করে রাখলাম।”
এভাবেই কোরবানির সুন্নাতকে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর উম্মতগণের জন্য ফরজ করা হয়েছে। তবে সেটি সন্তান নয়, পশু কোরবানির মাধ্যমে। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম রাজিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এ কোরবানি কী? রাসূল করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের পিতা হযরত ইব্রাহীমের সুন্নাত। বললাম এটা করলে আমরা কী পাব? তিনি বললেন, প্রত্যেকটি চুলের বিনিময়ে একটি করে নেকি। জিজ্ঞাসা করলাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ! পশমের ব্যাপারে কী হবে? বললেন, পশমের প্রত্যেকটি চুলের বদলে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।
তিরমিযী শরীফের একটি হাদিসে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোরবানির দিন কোন ব্যক্তি রক্ত ঝরানোর তুলনায় আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় অন্য কোন কাজই করতে পারে না। জবাই করা জন্তু কিয়ামতের দিন তার শিং, পশম ও ক্ষুর নিয়ে উপস্থিত হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট সন্তুষ্টির মর্যাদায় পৌঁছে যায়। অতএব তোমরা তাতে মনের সুখ ও সন্তোষ নিবন্ধ কর। অন্য হাদিসে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় দশ বছর অবস্থান করেন। এ সময় তিনি প্রতি বছর কোরবানি করতেন।
কোরবানি করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছেন, যে ব্যক্তি অর্থ সম্পদ ও অবস্থার দিক দিয়ে সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও কোরবানি করে না সে যেন আমার নামায পড়ার স্থানের নিকটেও আসে না। অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, সামর্থ্য থাকতে যে কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটেও না আসে।
কোরবানি করবেন বলে দাদুভাই নামাজের পূর্বে কিছু খেতেন না। নামাজের পর কোরবানির গোশত দিয়ে সকালের খাওয়া শুরু করতেন। কেউ কেউ এটাকে ছোটরোজা বলে আখ্যায়িত করতেন। আসলে এটা কোন রোজা নয়। তবে এটা সুন্নত তরিকা। ঈদের মাঠে যাবার সময় দাদুভাই মৃদুকণ্ঠে গেয়ে উঠতেন “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।” এটাকে বলা হয় তাকবিরে তাশরিক। এটা পড়া সুন্নত। তাই আজো আমরা এটা আমল করি। দাদুভাইয়ের সাথে ঈদগাহে যাওয়ার সময় যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতেন ফেরার সময় সে রাস্তা ব্যবহার না করে অন্য রাস্তায় নিয়ে আসতেন। এটা করাও সুন্নত। তাই আমরা ঈদের দিনে খুুব মজা করবো। কোরবানি করবো। গিবদের মাঝে কোরবানি গোশত বিলিয়ে দেবো। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যাবো। কোরবানির গোশত নিয়ে যাবো। সবাই মিলে খাবো আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবো। হে প্রভু! তুমি আমাদের কত নিয়ামত দিয়েছো। আমাদের জন্য সকলের বুকভরা ভালোবাসা দিয়েছো। এ নিয়ামত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য দাও। এতিমদের জন্য দাও। যাদের কেউ নেই তাদের জন্যও দাও। আমরা সবাই মিলে হাসতে চাই প্রাণ ভরে। সবাই মিলে বাঁচতে চাই সুখের দোলায়, প্রশান্তির হাওয়ায়। তুমি আমাদের দুআ কবুল করো প্রভু।

Share.

মন্তব্য করুন