স্বচ্ছ আমার বুকের কাচে দুঃখেরা ঘাড় ফুলিয়ে নাচে, তবু স্বপ্ন-সাধের বাসা গড়ি স্বপ্ন বোনার আঁচে। আমি শোক সাগরে ভাসি তবু মুক্ত মনে হাসি আমি লক্ষ বুকে…
ছোট্ট শিশুর হাসি দেখে মনে যেন হয় ফুল পাতা আর সবুজ দিয়ে বিশ্ব করবে জয়। বুকের মাঝে তখন আমার দোলা দিয়ে কয় ছোট্ট শিশু স্রোতের ধারা…
হয় না কথা পাখির সাথে ফুলের সাথে মেলা নদীর পানে ডুব সাঁতারে হাঁসের সাথে খেলা। গাঁয়ের বাঁকা গহিন পথে হয় না দেয়া পাড়ি বৃষ্টি এলে দল…
নদীর পাশে সবুজ গাঁয়ে আঁকা আমার বাড়ি, ফুলের ঘ্রাণে পাখির গানে দিন কাটাতে পারি। যখন আমি ভোরবেলাতে জড়িয়ে থাকি ঘুমে, সূর্যি মামা রোজ-প্রভাতে আমায় এসে চুমে।…
গাছের পাতায় জমছে শিশির যেন হীরের কণা, শীত সকালে বাইরে যাওয়া মা করেছেন মানা। খেজুর গাছে ঝরছে যে রস টুপ টুপ টুপ টুপ, ইচ্ছে করে সে…
এই যে নবীন ফুলকলি সব গোলাপ বেলি জুঁই সুঘ্রাণে মন যাও কি সবার ব্যাকুল করে ছুঁই? কেউ বেশি আর কম পাবে কেউ এমন কিন্তু নয় উঁচু…
দেখে যাও প্রিয় জ্ঞানী-গুণীজন বাংলাকে ভালোবেসে হৃদয় ক্যামেরা অন করে সবে ছবি তোলো যত এসে। শুধু দক্ষিণে তুমি দেখবে কতই পল্লীর সব কৃষ্টি হাহাকার ঘেরা উল্টো…
শীত এসেছে পল্লীগাঁয়ে থির-থিরানো রসে, পিঠার লোভে হয় না পড়া পাঠে কি মন বসে! ভাপাপিঠা জামাইপিঠা রসে ভেজা চিতে, কী যে দারুণ মজার খাবার রোদ মাখানো…
শীত আসে গীত নিয়ে গরিবের ভীত নিয়ে শীত আসে মাঠে আর শীত আসে পাড়াতে, সাহসী মন নিয়ে প্রতিবেশী জন নিয়ে গরিবের পাশে সব পারি না কি…
শিশিরে গা ধুয়ে আসে শীত ভোর ঘোলাটে নীল আকাশ কুয়াশার দোর ঠেলে জাগে পুবে সূর্যটা ঘুম ফেলে, ঝিরিঝিরি বয় কাঁপন জাগানো উত্তুরে হিম বাতাস রোদের ঝিলিক…