সাঁতার কাটি বরফ জলে ভাসি রাত্রিদিন
বরফরাজ্যে বাস আমাদের নামটা পেঙ্গুইন।
নেইতো উড়াল তবুও সবে পাখি বলেই ডাকে
আমরা থাকি অ্যান্টার্টিকায় লক্ষ কোটি ঝাঁকে।
পিঠটা কালো পেটটা সাদা দারুণ মোলায়েম
দূর বহরে দেখতে লাগে কোট পরা এক ফ্রেম।

থাকি আমরা সমাজবদ্ধ আহার করি মাছ
ক্ষুধার সময় খেতে পারি জলের নরম গাছ।
পা দুটোতো খুবই ছোট হাঁটার সুযোগ নেই
ছোট্ট পাখায় ভর দিয়ে তাই চলি গড়িয়েই।

আমরাতো নই হিংস্র প্রাণী আনন্দিত মন
মেতে উঠি জলজ খেলায় নাচি সর্বক্ষণ।
বরফ ঘিরে জন্ম মোদের বরফ থাকার ঘর
বরফ নিয়েই খেলাধুলা বিশ্ব চরাচর।

ইচ্ছে করে চিলের মতো উড়ব নীলিমায়
পাখি হলেও এমন সুযোগ দেননি বিধাতায়।
আমরাও আজ অর্থকরী আসেন পর্যটক
তোলেন ছবি হরেক রকম যাদের যেমন সখ।
পালক আমার ওয়াটারপ্রুফ শুকনো বৃক্ষ পাতা
জলে ডুবি বৃষ্টি হলেও নেই প্রয়োজন ছাতা।

আমাদেরও পালক ঝরে দেখতে ফাটা বালিশ
লুকিয়ে শরীর গভীর জলে  স্রষ্টাকে দেই নালিশ!
আতঙ্কেতে কাটছে প্রহর ধ্বংস পরিবেশ
বিরূপ কালে ডাইনোসরও হয়েছিল শেষ।

মানবজাতি বেহিসেবি মাছ হলে সাবাড়
কোথায় পাব খাদ্য তখন আসবে অন্ধকার।

আমরা দেখো শান্তিবাদী হিংসা দ্বন্দ্ব নাই
গড়ে উঠুক এমন বিশ্ব হৃদয় খুঁড়ে চাই।

Share.

মন্তব্য করুন