Monthly Archives: December, 2018

কবিতা বিজয় আসে
বিজয় আসে । মিজান ফারাবী

বীর বাঙালির হৃদয় প্রাণে স্বাধীনতার রেশের টানে এই দেশেরই বিজয় আসে দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ শেষে। স্বপ্ন দেখি মায়ের কথায় যুদ্ধ হবে যুদ্ধ কোথায় মুক্ত করি অবশেষে…

কবিতা বিজয় মানে
বিজয় মানে । শাহজাহান শাহেদ

বিজয় মানে শিশুর দলে সবুজ মাঠে খেলতে ছুটে সাঁতার কাটে পুকুর ঘাটে খুনসুটি আর দুষ্টমিতে আড্ডা জমায় হাস্যমুখে নিত্যদিনই ইশকুলে যায়। বিজয় মানে হাওড়-নদে সুজনমাঝি বৈঠা…

কবিতা ঋণ
ঋণ । মোরশেদা হক পাপিয়া

একটা শিশু ফুটপাথে উদোম কাটে দিন শঙ্কা বুকে ঘুরছে পথে শীত আসে শিন শিন। কোথায় পাবে গরম কাপড় কোথায় পাবে কাঁথা? শীতটা এলেই বুকের ভেতর কষ্টে…

কবিতা হেমিলনের বংশীঅলা
হেমিলনের বংশীঅলা । সায়ীদ আবুবকর

হেমিলনের বংশীঅলা, হাতে কালো বাঁশি, বটবৃক্ষের মতো মানুষ, আকাশছোঁয়া শির হাসে যখন, ঝরে পড়ে মুক্তা রাশি রাশি যে চায় তাঁর মুখের দিকে, বলে, বিশাল বীর! দৃপ্ত…

কবিতা লাল-সবুজের-পতাকা
লাল-সবুজে পতাকা । আ. শ. ম. বাবর আলী

স্বাধীনতার বিজয় দিবস ষোলই ডিসেম্বরে, আনন্দ ঢেউ এলো সেদিন সব মানুষের ঘরে। নয়টি মাসে কত ত্যাগে ঝরিয়ে রক্ত কত, স্বাধীনতার যুদ্ধে ছিল বীর বাঙালি যত। জমাট…

বিশেষ রচনা আমাদের মহান বিজয় দিবস
আমাদের মহান বিজয় দিবস । জাকির আবু জাফর

আমরা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিজয় অর্জন করেছি। এ বিজয় আমাদের বিজয়। আমাদের ইতিহাসের বিজয়। বাংলাদেশের বিজয় এবং আমাদের স্বাধীন চিন্তার বিজয়। এই ঘটনা আমাদের ইতিহাসে হাজার…

কবিতা কী লিখি আজ মা-মনিটার জন্য! ফুল পাখি না অন্য কিছু, অন্য? যার চিবুকে খেলনা খেলে চন্দ্র-তারা চোখের মাঝে ফুলের কলি আত্মহারা। পাখির সাথে সখ্য যার দিবা-রাত্রি বুকের মাঝে আটকে রাখে সহযাত্রী। তার জন্য আজ কী যে লিখি, কী যে দেই! সাগর তলে এমন কিছু আর কি নেই? আকাশটাকে দিতে পারলে কেমন হতো? এই জগতে আর কি আছে দেবার মতো! আশার আলো দেখার জন্য চোখটি খুলি জীবনটাকে রঙিন করে ক্যামনে তুলি! মাথার ওপর এই দেখো মা সূর্য হাসে লাল-সবুজ পতাকাটি হাওয়ায় ভাসে! এসব মাগো অনেক দামি রক্তে কেনা বিশ্বজুড়ে তাইতো তুমি অনেক চেনা! কে শুধোবে ঋণটা তোমার, কারা? সাহস ভরা শক্তি রাখে যারা! আলোক লতা স্বর্ণসুখ দূর্বা ঘাসে মা-মনিটার জন্য আজ বিজয় হাসে!
মোশাররফ হোসেন খানের কবিতা । বিজয়টা তোমার

কী লিখি আজ মা-মনিটার জন্য! ফুল পাখি না অন্য কিছু, অন্য? যার চিবুকে খেলনা খেলে চন্দ্র-তারা চোখের মাঝে ফুলের কলি আত্মহারা। পাখির সাথে সখ্য যার দিবা-রাত্রি…

নিয়মিত গ্রামের খোলা দিগন্তে যাদের বেড়ে ওঠা, তারা একটু দুরন্তই হয় বটে! আর কেউ না হলেও অন্তত আদনানের ক্ষেত্রে কথাটা শতভাগ ঠিক। নদীতে সাঁতার কাটা, বন-বাদাড়ে পুলিশ সেজে গাছকে পেটানো, কলাগাছে সুঁই ঢুকিয়ে ডাক্তারি করা থেকে শুরু করে এমন কোনো দুষ্টুমি নেই, যা সে করে না। আসল কথা তো বলাই হয়নি। তার অদ্ভুত এক শখ রয়েছে। তা হচ্ছে, পাখির বাসা ভেঙে তা দিয়ে খেলাঘর সাজানো। আর বাসায় যদি কোনো পাখির ছানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। ধরে নিয়ে আসবে। ক’দিন পরেই হয়তো মায়ের স্নেহবঞ্চিত ছানাটা মারা যায়। কিন্তু তাতে তার কী? নতুন আরেকটা ধরে আনতে তার কতক্ষণ সময়ইবা লাগে! আদনানের বড় ভাই আফফান কবিতা লেখে। পড়াশোনা করে ঢাকায়। সে জানে, সবুজ ও পাখির কাকলিবিহীন শহর কতটা প্রাণহীন। এবার বাড়িতে গিয়ে আফফান ছোট ভাই আদনানকে উপহার দিলো একটি কিশোর পত্রিকা। যেখানে তার লেখা একটি কবিতা ছাপা হয়েছে। আদনান পড়া শুরু করল- তোমার বাড়ির আঙিনাতে ফুলের মাচা ফুলের ঘ্রাণেই প্রজাপতির হচ্ছে বাঁচা। সেই ফুলে তো মধু খোঁজে ভ্রমর মেয়ে- এমন মধুর দৃশ্য যদি দেখেই থাকো কে আর আছে সৌভাগ্যবান তোমার চেয়ে? কিন্তু তুমি নিজেই যদি পুষ্প ছেঁড়ো ভাঙো যদি নবজাতক পাখির বাসা- এই প্রকৃতি না পায় যদি তোমার কাছে একটু আদর, একটু স্নেহ-ভালোবাসা- কেমন করে তুমি সবুজ জীবন পাবে কেমন করে করতে পারো বাঁচার আশা? পড়া শেষে আমিন বলল, ভাইয়া! তোমার লেখাটা দারুণ হয়েছে কিন্তু বলো তো, ফুল ছিঁড়ে, পাখি ধরে আমরা যদি একটু আনন্দ না করতে পারি, তাহলে এসবের প্রয়োজনই বা কী ছিল? আফফান বলল, এগুলো আল্লাহ আমাদের উপকারের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তাই এগুলো যেখানে যেভাবে আছে, সেখানে সেভাবেই রাখতে হবে। না হলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে আসবে। যেমন তিনি বলেছেন, ‘তোমরা কি দেখ না! আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, আল্লাহ সবই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করে দিয়েছেন।’ (সূরা লুকমান : ২০) আদনান ভাবল, নাহ্! আল্লাহর দেয়া এই প্রকৃতির সাথে সে আর অন্যায় আচরণ করবে না। প্রকৃতি বাঁচুক প্রকৃতিতেই।
প্রকৃতির জন্য ভালবাসা । আবু মিনহাল

গ্রামের খোলা দিগন্তে যাদের বেড়ে ওঠা, তারা একটু দুরন্তই হয় বটে! আর কেউ না হলেও অন্তত আদনানের ক্ষেত্রে কথাটা শতভাগ ঠিক। নদীতে সাঁতার কাটা, বন-বাদাড়ে পুলিশ…

আলাপন এসো দেশকে ভালোবাসি
এসো দেশকে ভালোবাসি

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছো। পড়ন্ত বিকেলে নিকেল কড়া রোদে বসে তোমাদের সাথে করছি এই আলাপন। আশা করছি, তোমরাও যে যার কাজে…