সিলেট শহরে যাওয়ার পিচঢালা পথ চলে গেছে মালনী ছড়া আর লাক্কাতুরা চা বাগানের বুকের উপর দিয়ে। বিমানবন্দর সড়কের পাশেই পর্যটন হোটেল। বিমানবন্দর রোডে আরো আছে নামীদামি হোটেল যেমন: পলাশ, কাশ্মীর, শাহপরাণ ইত্যাদি …। দৈনিক ছয়টি পত্রিকাও আছে যেমন: দৈনিক সিলেটের ঢাক, দৈনিক সিলেটের বাণী, দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক জালালাবাদ, দৈনিক সুরমা ও দৈনিক মানচিত্র। দৈনিক মানচিত্রে আবার নারায়ণগঞ্জের তরুণ লেখকের লেখা নিয়মিত প্রকাশ হয়। পর্যটক ও ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য সিলেটে প্রধান আকর্ষণ হযরত শাহজালাল রহ: এবং হজরত শাহপরাণ রহ:-এর মাজার। মাজার দুটি যথাক্রমে শহরের দরগাহ গেট ও খাদেম নগরে অবস্থিত। শহরের নাইওর পুলে আছে বঙ্গবীর ওসমানী জাদুঘর। চৌকিদেখি এলাকায় আছে একটি প্রাচীন মসজিদ। লোকশ্রুতি অনুসারে এই মসজিদটি রাজা গৌর গোবিন্দ আমলের। চৌকিদেখি হতে ১ কিলোমিটার দূরে লাক্কাতুরা চা বাগান। সেখানে আছে ছোট ছোট টিলা, টিলার পাশ দিয়ে চলে গেছে চিতল মাটি গ্রাম। সেখানে বসবাস করে চা শ্রমিকেরা। সারা দিন কাজ শেষে তারা লাড়কি মাথায় বাড়ি ফিরে। প্রতিদিন বিকালে অনেক তরুণ এ পাহাড়গুলোতে এসে ঘোরা ফিরা করে। ছবি তোলে। পিকনিক করে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে, খেলাধুলা করে। মালনী ছড়া হতে সামনে গেলেই চোখে পড়ে ক্যাডেট কলেজ, জাফলং সিলেটের সর্ব উত্তর প্রান্তে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষা স্থলবন্দর তামাবিল। তামাবিল ছাড়িয়ে অল্প দূরে জাফলং। সেখানে সিনেমার শুটিং বেড়ানো এবং পিকনিকের জন্য ভালো স্থান পাথর আর বালুময় নদীতীর সারাক্ষণ থাকে পিকনিক পার্টির পদচারণায় মুখর। সিলেট শহর হতে প্রায় ৯০ কিলোমিটার জাফলংয়ের দূরত্ব জাফলং যাওয়ার পথে জৈন্তা রাজবাড়ী এবং শ্রীপুর পার্ক দেখা যায়। জাফলং এলাকার যাতায়াত খুব ঝটুকিপূর্ণ। সেখানে রাতে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। দিনে গিয়ে আবার দিনে দিনে ফিরে আসতে হয়। সিলেট শহরের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে। যেমন: ওসমানী মেডিক্যাল, শাহজালাল ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আল হামরা সিটি কমপ্লেক্স। আরো আছে শ্রীমঙ্গলে মৌলভীবাজারের চা বাগান, ছাতকের কমলা বাগান ইত্যাদি।

Share.

মন্তব্য করুন