ফারুক হোসেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ছড়াশিল্পী। ছড়ায় যারা বিশিষ্টতা অর্জন করেছেন তিনি তাদের অন্যতম একজন। তিনি ব্যবহারে মিষ্টিভাষী। আচরণে অমায়িক, বিনয়ী এবং শিল্পীত। ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব। বর্তমানে আছেন আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তুখোড় ছড়া লেখেন তিনি। লেখেন ছোটদের ছড়া। বড়দের জন্যেও। সম্প্রতি কিশোর পাতার সাথে মন খুলে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
মেজবাহ মুকুল

কেমন আছেন? আপনার কৈশোরের গল্প শুনতে চাই।
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। তিন বছর বয়সে আমি মাতৃহীন হই। মাতৃহীন শৈশব-কৈশোর ছিলো নিকটজনের আদর ও করুণায় উপচে পড়া জলাধারের মতো। যেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কেটেছি, তারপরও মনে হয়েছে শুকনো জায়গায় ছটফট করছি। আবেগ, অনুরাগ, খুনসুটি, মর্জির চর্চা আমার শৈশবে কৈশোরে ছিলো না। কৈশোরকালের দুরন্তপনাও আমাকে স্পর্শ করেনি তেমন। জীবনটা ছিলো শান্ত ¯িœগ্ধ ঢেউহীন জলের প্রবাহের মতো। অনেকেই বলতেন পুকুরের জলেও ঢেউ আছে, আমাদের মধ্যে নেই। মনে পড়ে সেই দিনের অনেকের এমন মন্তব্য।
মায়ের শূন্যতা অনুভব থেকেই কি সবসময় শান্তশিষ্ট থাকতেন?
হয়তো তাই। মর্জি করা, বায়না ধরা, রাগ করে না খাওয়া এমন ধরনের আচরণ আমার জীবনে কখনও ছিলো বলে আমার মনে হয় না।
কৈশোরে কী হতে চাইতেন, কী ধরনের স্বপ্ন দেখতেন?
স্বপ্ন দেখতাম বিজ্ঞানী হবো। আবার মনে হতো বড় কর্মকর্তা হবো। কখনও কখনও স্বপ্ন দেখেছি ডাক্তার হবো। এ তো হলো জীবনের লক্ষ্য নিয়ে স্বপ্ন। আবার এমন স্বপ্ন দেখেছি, লেখক হবো, সঙ্গীতশিল্পী হবো। নানা স্বপ্ন বিভোর করে রেখেছিলো আমাকে। স্বপ্নগুলো ছিলো এলোমেলো। আবার স্বপ্ন দেখতাম সৎ আদর্শবান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ পরোপকারী একজন মানুষ হয়ে উঠবো। তাতে সবাই আমাকে প্রশংসা করবে।
শিশুসাহিত্যিক হয়ে লেখনীর মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলছেন, সে হিসেবে পরোপকারী হয়ে আদর্শবান মানুষ হওয়ার স্বপ্ন কি পুরোপুরি পূরণ হয়নি?
সেটা আপেক্ষিক। যতটা পরোপকারী, তার চাইতে আরও বেশি হতে চাই। যতটা আদর্শবান তার চাইতে আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন। স্বপ্ন অনেক বড়, বাস্তব অনেক ছোট। স্বপ্ন দেখতে কোনো বাধা নেই।
কোনো দুরন্তপনার গল্প মনে পড়ে কি?
বড়বোনের শ্বশুরবাড়িতে যাবো না বলে রাগ করে সারাদিন লুকিয়েছিলাম বাড়ির সবচেয়ে উঁচু আমগাছের একদম চূড়ায়। যেখানে কেউ আমাকে দেখেনি। সাথে নিয়েছিলাম চাকু। আমি সারাদিন বসে বসে আম কেটে খেয়েছি। সারাদিন কাটিয়েছি। দিন কেটে গেলে নেমে এসেছি। যখন আর সেখানে যাবার চাপ দেয়ার সুযোগ নেই। এটি অভিমানের দুরন্তপনা। গ্রামের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর এপার থেকে ওপারে সাঁতরে অতিক্রম করাও ছিলো আমার কৈশোরের আরেকটি দুরন্তপনা।
সে সময় পুকুরের চেয়ে নদীর ব্যবহার কি খুব বেশি ছিল?
দুটোর ব্যবহারই ছিলো সমানতালে। আমাদের বাড়ির পাশেই নদী, এটি আমাদের সুবিধার একটি। সহজেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছি। আর ভ্রমণে, যেকোনো গন্তব্যে যেতে, উৎসবে, অর্থনৈতিক দিক থেকে নদীর কাছেই অনেক বেশি গিয়েছি। নদীকেই বেশি ব্যবহার করেছি।
কৈশোরে দেখা স্বপ্ন জীবনে কতখানি পূরণ করতে পেরেছেন?
অনেকখানি। কর্মকর্তা হয়েছি। আবার লিখছিও। পাশাপাশি গানও গাই মাঝে মাঝে। এসব তো আমার স্বপ্নের ভেতর থেকেই এসেছে। নাটকে অভিনয় করেছি, রেডিও-টেলিভিশনে। ও হেনরীর ‘শেষ পাতা’ ও মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকে আমি মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছি।
লেখালেখি ছাড়াও দেখছি আপনি আরও অনেক বিষয়ে পারদর্শী, তা কোন ধরনের গান করতেন এবং প্রিয় একটি গানের কথা বলুন?
সিনেমার গান। মধুর কণ্ঠের নির্মল শব্দে গাঁথা হৃদয়ছোঁয়া গান। যেমন, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, বাতাসের আছে কিছু গন্ধ’, ‘তুমি কি দেখিছো কভু জীবনের পরাজয়, দুঃখের দহনে করুণ রোদনে তিলে তিলে তার ক্ষয়’, ‘গল্পলোকে গল্পকথার, এক যে ছিলো রাজার কুমার’, ইত্যাদি।
শিশু-কিশোরদের বিকাশের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বলুন।
নিপীড়ন- শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, পারিবারিক। যেকোনটিই শিশু-কিশোর জীবনের বিকাশকে রুদ্ধ করে। কিশোরের উদ্যমকে আটকে দেয়। মনকে ভেঙে দেয়। স্বাধীন চিন্তা ও চর্চার মানসিকতাকে মেরে ফেলে। প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে।
কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পিতা-মাতার কর্তব্য কী হতে পারে?
পিতা-মাতার কর্তব্যই প্রধান। মায়ের কর্তব্য শুরু হয় শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকাল থেকে। মায়ের গর্ভে থাকা শিশু যখন পৃথিবীতে আসে এবং শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দেয়, তার পরের বিকাশ-এর ভিত্তি শৈশব থেকে। কৈশোরকালে বাবা-মার ভালোবাসা, সার্বক্ষণিক সংস্পর্শ, আচার-আচরণ, কিশোরকে মুক্তচর্চার সুযোগদান, ভালো মানুষ হয়ে ওঠার উপাদানগুলো তুলে ধরা (নিজেদের চর্চার মধ্য দিয়ে)- সব কিছুই কৈশোরের বিকাশে ভূমিকা রাখে। আর তাই মা-বাবার কর্তব্য সীমাহীন।
আপনার সময়ের কৈশোর আর এখনকার সময়ের কিশোরদের কৈশোর জীবনে পার্থক্য কেমন দেখছেন?
আমার কৈশোর কেটেছে গ্রামে। গ্রামের কিশোররা আজ কিশোর হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি দেয় কোনো না কোনোভাবে। আমাদের সময়ের কৈশোরে ছিলো প্রকৃতিপ্রেম, সবুজের প্রতি ভালোবাসা, বর্ষার জলের প্রতি আগ্রহ, খোলা মাঠে ছুটে বেড়ানো, প্রতিদিন হেঁটে স্কুলে যাওয়া- এমন অনেক কিছু। এখন সেই গ্রামের কিশোর বড় বেশি ভালোবাসে নাগরিকতা, সম্পর্ক তার শহরের দিকে। গ্রামকে ভেতর থেকে আজকের কিশোররা তেমন করে ভালোবাসে না।
শহরের কিশোরদের গ্রাম ও গ্রামের ঐতিহ্যের শেকড় চেনাতে কী করা প্রয়োজন?
সবাইকে মাঝে মাঝে গ্রামে গিয়ে সময় কাটাতে হবে। মিশতে হবে আপন আলোর মানুষগুলোর সঙ্গে। চিনতে হবে গ্রামের আত্মীয় স্বজনকে। মন খুলে উপভোগ করতে হবে গ্রামের সৌন্দর্য সবুজ-ফসল, কাঁচা মাটির সড়ক, সকালের সূর্য ওঠা আর সন্ধ্যার সূর্যাস্ত। পুকুরের জলের সীমাবদ্ধ ঢেউ। হাট-বাজারের সমাবেশ ও কোলাহল, খোলা মাঠের খেলাধুলা। এই ক্ষেত্রে বাবা-মা’সহ বড়দের ভূমিকা অপরিহার্য।
অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন হাতে পেয়ে কিশোররা পড়াশোনা ছেড়ে গেমস্ খেলার দিকে ঝুঁকেছে এবং এতে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে কয়েকজন কিশোর ইতোপূর্বে আত্মহত্যাও করেছে!
এখন প্রশ্ন হলো : এই ভয়ঙ্কর আসক্তি থেকে ফেরাতে কিশোরদের জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?
এটি একটি বড় ধরনের গবেষণার বিষয়। কোভিড-১৯ আমাদের শিশু-কিশোরদের যে জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে সেটি পরিস্থিতির শিকার। দ্রুত সময়কে সমন্বয় করার পদক্ষেপ। আসলে কিভাবে এই পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করবো, তার পেছনে ব্যাপক কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। একটি স্মার্ট ফোন দিয়েই সবকিছু সমাধানের চেষ্টা। এর যে নেতিবাচক ফলাফল আসবে তার জন্য জাতিকে অনেক মূল্য দিতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের সকল বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ, বিশেষজ্ঞকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং গবেষণা করে পথ বের করতে হবে আমাদের কী করা প্রয়োজন। প্যারাসিটামলের মতো একটি স্মার্ট ফোন অ্যান্টিবায়োটিক মার্কা সমাধান টেকসই সমাধান হতে পারে না।
এই আধুনিক সময়ে শিশুরা বই-বিমুখ হচ্ছে কেন?
তথ্য-প্রযুক্তির প্রভাব, পরিবারের বিলাসী জীবন যাপনে অতি আগ্রহ, মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা, পারিবারিক জীবনে আবেগ-অনুভূতি-আন্তরিক সম্পর্কচর্চার অভাব বই-বিমুখ করছে শিশু কিশোরদের। অগ্রজদের বই-বিমুখ হওয়াও অনুজকে বই-বিমুখ হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
এই বিষয়টা আমরা সবাই বুঝলেও কিশোরদের হাতের স্মার্টফোনের বদলে বই তুলে দিচ্ছি না কেন?
শিশু-কিশোরদের বায়নার ক্ষেত্রে আমরা অগ্রজরা এখন আর ‘না’ বলতে পারি না। ওরা চায় স্মার্টফোন, আমরাও তাই তুলে দিই। আর নিজ হাতে সর্বনাশ করছি ছোটদের। সর্বনাশ যে করছি, সেটিও আমরা সবাই বুঝি।
কিশোরদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেমন হওয়া উচিত?
শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, জীবনে সফল হওয়ার প্রতিটি উপায় উপকরণ এর শিক্ষা বিতরণের জায়গা হতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
আরও জানা বা জ্ঞান অর্জনের জন্য আর কী ধরনের বই পড়া দরকার?
ইতিহাস, বিজ্ঞান, রূপকথা, মনীষীদের জীবন, ভ্রমণরচনা- এসব পড়তে হবে। যার যে দিকটা ভালো লাগে সে সেই দিকটায় পড়বে। এভাবেই তার মধ্যে জেগে উঠবে পাঠাভ্যাস। গড়ে উঠবে চিন্তার পরিপক্বতা। প্রসারিত হবে কল্পনার জগৎ। বাড়বে বোঝার বা উপলব্ধির ক্ষমতা। ছোটদের জন্য মন ও মনন গঠনের এই প্রস্তুতির এখন বড়ই অভাব।
বড় হতে হলে ও ভালো মানুষ হতে হলে কিশোরদের কী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে মনে করেন?
বড় হওয়ার এবং ভালো মানুষ হওয়ার প্রথম চাবিই হচ্ছে নৈতিকতা। এই যোগ্যতার চর্চা শুরু হয় পরিবার থেকে। তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সামাজিক অবস্থানে, কর্মস্থলে। নৈতিকতার জায়গাটিই এখন হুমকির মুখে। খুব সূক্ষ্মভাবে বড়রাই ছোটদের অনৈতিক হতে উৎসাহিত করছে।
নৈতিক শিক্ষা তো শুধু বইয়ে লেখা থাকে না, পরিবেশ থেকেও শিখে-বুঝে জীবনে প্রয়োগ করতে হয়। সে পরিবেশ কি এখন নেই?
নৈতিক শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে নিজের ঘর, পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানেই শিশু-কিশোর জড়িয়ে আছে সেখানেই। সব মিলিয়েই এক একটি পরিবেশ। অন্যকে দেখে শেখা ও ভালো কাজের চর্চা করাই নৈতিকতাকে পুষ্ট করে। এ কথা বলতে আমার দ্বিধা নেই, আমাদের পরিবেশ শিশু-কিশোরের নৈতিক শিক্ষার অনুকূলে নয়। অশুভ প্রতিযোগিতা, অর্থ ও বিলাসী জীবনের প্রতি আগ্রহ, ছোটদের সামনে বড়দের অশোভন আচরণ ও মিথ্যে চর্চা, অন্যের কল্যাণ ভাবনা থেকে দূরে থাকা, মায়ামমতা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা- এসবই এখন পরিবেশ। সেখানে কী করে ছোটরা নৈতিক শিক্ষা পাবে!
বড়দের সাথে কিশোরদের আচরণ কেমন হওয়া দরকার?
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার। ছোটদের অনুধাবন করতে হবে, বা-মা যা করেন ওদের ভালোর জন্যই করেন। তাদের কোনো পদক্ষেপে ছোটদের অনমনীয়তার কোনো স্থান নেই। এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যাতে বাবা-মা কষ্ট পেয়ে ‘উহ্’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। প্রতিনিয়ত বাবা-মাকে সহায়তা করা, তাদের যত্ন নেয়া, তাদের আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী জীবন যাপন করা- এগুলো ছোটদের বড় মাপের আচরণ, যা তাদের কাছ থেকে বাবা-মা আশা করে।
কিশোরদের বায়না ও একগুঁয়েমি কীভাবে দেখেন?
বায়না তো থাকবেই। একগুঁয়েমিও কিছুটা থাকবে। কারণ বয়সটি কৈশোরের। পাওয়া না-পাওয়ার মধ্যে আনন্দ আছে, উল্লাস আছে। এ সময় বায়না করে পাওয়া একধরনের ভালোবাসারই চর্চা। তবে এই মর্জি, আবদার, অনুরাগ, দাবি যাতে বেয়াদবিতে পরিণত না হয়।
কিশোররা কেমন স্বপ্ন দেখবে?
যে স্বপ্ন তাকে আলোকিত করবে, তারকা বানাবে, জয়ের পথ করে দেবে, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের যোগ্য করে তুলবে।
সে স্বপ্ন অর্জনে কেমন কাজ করবে?
যে কাজ নিজেকে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে, যে কাজ মা-বাবাসহ পরিবারের সবার কল্যাণের জন্য, যে কাজ সমাজকে আলোকিত করবে, যে কাজ দেশের প্রয়োজনে আসবে, সর্বোপরি যে কাজ মানবতাকে উচ্চকিত করে- সে কাজই ছোটদের করা চাই। আর তাতেই তার স্বপ্ন প্রসারিত হবে এবং স্বপ্ন অর্জনের পথ সুগম হবে।
নাগরিক সচেতন হয়ে গড়ে উঠতে আমাদের কিশোরদের মননে কী শিক্ষা প্রয়োজন?
এই শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক নয়, সামাজিক, শৃঙ্খলা, নিয়ম প্রতিপালনের শিক্ষা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের এ শিক্ষা রয়েছে।
ছোটবেলায় মা-দাদী থেকে শোনা একটি শিক্ষণীয় গল্প বলনু?
যে নিষ্ঠুর ও দুষ্টু বুড়ি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর চলার পথে কাঁটা দিতো, তার অসুস্থতার কথা শুনে নবীজীই তাঁকে দেখতে গেলেন, এই গল্পই দাদী শোনাতেন মাঝে মাঝে। এই গল্প দিয়ে দাদী শত্রুর প্রতি ভালোবাসার আচরণ লালনের কথা বোঝাতে চাইতেন।
আবার যদি কৈশোর ফিরে পাওয়া যায় তবে কী হতে চাইবেন?
প্রায়ই ইচ্ছে হয়, যদি কৈশোর ফিরে পেতাম, আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতাম, সবচাইতে ভালো ফল করতাম, খাওয়া-দাওয়া ও শরীরচর্চা দিয়ে সবচাইতে সুস্থ জীবন তৈরি হতো, সততা, সভ্যতা, পরিশ্রম, দেশপ্রেম, অন্যকে ভালোবাসা- এসব চর্চায় জীবন ভরিয়ে তুলতাম। কিন্তু তা কি আর সম্ভব!

Share.

মন্তব্য করুন