স্নিগ্ধ কোমল ভোরের আকাশ মন মাতানো সব
কিচিরমিচির পাখির সুরে সতেজ অনুভব…
থোকায় থোকায় ফুল কলিরা হয় যেনো উন্মুখ;
যেদিক তাকাই সেদিকটাতেই হাত বাড়ালে সুখ!

মধ্যদুপুর পদ্যাকারে দিচ্ছে যখন ডাক
তখন আমার ধানের ক্ষেতে প্রজাপতির ঝাঁক
মনের ভেতর তাই পুষি না হরেক রকম দুখ;
মন ফেরাতেই তাকিয়ে দেখি হাত বাড়াতেই সুখ।

বিকেলটাতে খেলার মাঠে শিশুর দাপাদাপি
বন বাদাড়ে আনন্দ আর বড্ড লাফালাফি
শিশুর মেলায় তাই হয়ে যাই নজরুলে নজরুখ…
ঠিক তখনও কেবল আমার হাত বাড়াতেই সুখ।

মা ডেকে যান সন্ধ্যাবেলায় কইরে খোকা কই
মুরগি ডাকে কক্-করা-কক হাঁস ডাকে তৈ তৈ
বৃদ্ধা দাদী কাশতে থাকে খুকুর খুকুর খুক;
তারপরেও দেখছি আমি হাত বাড়াতেই সুখ।

এমনি হাজার সুখ পাখিরা দেয় আমাকে নাড়া
রাত গভীরে ঘুমের ঘোরে স্বপ্নরা দেয় সাড়া
উচ্ছ্বসিত ভাবনারা সব দেখায় প্রিয় মুখ;
তারপরেও দেখছি তাতে হাত বাড়ালেই সুখ।

আয়রে আমার শৈশবকাল আরেকটি বার আয়…
খুশির ডানায় পৌঁছে যাবো সুখের সীমানায়!

Share.

মন্তব্য করুন