আমার বোশেখ আনন্দময় রূপ দেখেছি তার
সেই বোশেখের স্বপ্নগুলো ভারী চমৎকার!
কখনও সে ফুল হয়ে যায় কখনও হয় পাখি
কখনও সে রোদ্র ছায়ায় নিঝুম মাখামাখি।

তালতমালে কিংবা ধরো বনবনানীর বাঁকে
দুঃসাহসী বোশেখ আমার দ্রোহের ছবি আঁকে।
অত্যাচারী মানুষগুলোর ভেঙে দিতে হাত
আচম্বিতে বজ্র আনে বিজলি অকস্মাৎ!

হঠাৎ হাওয়ায় মেঘ হয়ে ফের বৃষ্টি হয়ে ঝরে
মেঘের দেহে রঙধনু হয় উদার দিগন্তরে।
মেঘের শরীর ভেঙে প্রখর রোদের আকাশ আনে
নতুন পথে চলার কথা বৈশাখী ঝড় জানে!

কেমন করে চলতে হবে তোমরা কি তা জানো
জানলে কেনো আলস্যকে নিজের দিকে টানো!
ঝর্ণা হয়ে ছুটছো না কেন্ কোন সে বাধা বলো
টগবগানো রক্ত তবু হিম হয়ে কেন্ চলো!

ভাঙো সকল বাধার পাহাড় সকল ভয়ের ঘের
সামনে দেখো হাসছে সকাল ভীষণ আনন্দের!
দুই চোখে নীল আকাশ রাখো বুকের কাছে নদী
মনের দেশে জোছনা রেখে হওনা স্বপ্নামোদী!

অসুন্দরের সকল দেয়াল ভেঙে করো খান
এই পৃথিবীর কান ধরে দাও হ্যাচকা জোরে টান!
কার কি এমন সাহস আছে ঠেকায় তোমার হাত
তুমুল তুফান তুলে করো জীবন বাজিমাত!

Share.

মন্তব্য করুন