নোট খাতার আত্মকাহিনি
প্রবীণ শিক্ষক তার বহু পুরোনো খাতা থেকে নোট ডিকটেশন দিচ্ছেন। সবাই মনোযোগের সঙ্গে লিখে নিচ্ছে। শুধু একটি ছেলে কোণের দিকে নির্বিকারভাবে বসে আছে।
শিক্ষক : কী ব্যাপার, তুমি নোট নিচ্ছ না যে?
ছাত্র : দরকার নেই, স্যার।
শিক্ষক : দরকার নেই! কেন?
ছাত্র : আব্বার নোট খাতা আমি খুঁজে পেয়েছি, স্যার। তিনিও আপনার ছাত্র ছিলেন।

রাতের খাবার
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্বামী বাসা থেকে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে মুঠোফোনে কথা হচ্ছে-
স্বামী : আজ রাতের খাবার কী?
স্ত্রী : বিষ আছে বিষ!
স্বামী : ঠিক আছে, তুমি খেয়ে শুয়ে পড়ো। আমার ফিরতে আরও দেরি হবে।

বিন্দু হাঁটতে বেরিয়েছে
শিল্পী পল ক্লিকে একবার প্রশ্ন করা হলো-
প্রশ্নকর্তা : আপনার আঁকা চিত্রটি আসলে কী?
পল ক্লি : আমার আঁকা চিত্রটি আসলে একটি বিন্দুর, যে কি না খানিকটা হাঁটতে বেরিয়েছে!

চোর হলেও সৎ থাকতে হবে
ভাগ-বাটোয়ার জন্যে কয়েকজন চোর মিলে সারারাতের চুরির টাকা হিসাব করছে। হিসাব করার সময় একজন চোর একখান হাজার টাকার নোট সরিয়ে ফেলতে গিয়ে ধরা পড়েছ। তখন চোরের সর্দার বললেন-
সর্দার : এই তোরে না একদিন কইছি ভালো হইয়া যা, ভালো হইতে পয়সা লাগে না?
চোর : ওস্তাদ ভুল হইয়া গেছে।
সর্দার : হুম, জীবনে সততার সঙ্গে কাজ করবি, উন্নতি করতে পারবি। চুরি-চামারি করবি তো জীবন শেষ!

আগের দিন যেমন ছিল
তরুণ : দাদাভাই, আগেকার দিনে তোমরা কীভাবে জীবন কাটিয়েছো ভেবে পাই না!
দাদাভাই : কেন রে?
তরুণ : তখন ছিল না তাক লাগানো কোনো টেকনোলজি। প্লেন ছিল না, কম্পিউটার ছিল না! আরও ছিল না ইন্টারনেট, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, গাড়ি, মোবাইল ফোন, থ্রি-ডি মুভির মজা।
দাদাভাই : ঠিকই বলছিস। তখন এসবের কিছুই ছিল না রে ভাই।
তরুণ : তাজ্জব লাগে দাদু। কীভাবে কাটিয়েছো তোমাদের তারুণ্যের সেসব দিন?
দাদাভাই : ঠিক তোমরা যেমন এখন কাটাচ্ছো- অনুশোচনাহীন, বিবেকহীন, লজ্জাহীন, সৌজন্যহীন, কৃতজ্ঞতাবিহীন, সমবেদনাহীন, আত্মশুদ্ধিহীন, ছোটদের প্রতি ভালোবাসাহীন আর বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাহীন। দাদুভাই, কীভাবে কাটাচ্ছো তোমরা এভাবে দিন!

Share.

মন্তব্য করুন