এই তো শরৎ

তোমরা যখন শরৎ দেখো শিশির ছুঁয়ে
শিশির তখন ঘাসের ডগায় পড়ছে নুয়ে।
কোমল রোদের সোহাগ মেখে মুক্তোদানা
এই তো সকাল শরৎ সকাল সবার জানা।

তোমরা যারা রাত্রি ঠেলে ভোরকে আনো
বুকের কাছে নতুন দিনের আকাশ টানো।
শরৎ ঋতু ভেজায় তাকে কোমল জলে
মন ছুটে যায় আকাশ ভরা মেঘের দলে।

মেঘের বাড়ি কোন সুদূরে কোথায় জানি
কেমন করে মেঘের বুকে মিষ্টি পানি!
কেমন করে ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরতে থাকে
হাতের মুঠোয় বন্দী করে রাখছি তাকে।

শরৎ এলেই মেঘ হয়ে যায় দাদুর শাড়ি
আমার তখন দাওয়াত থাকে নদীর বাড়ি।
সেই বাড়িটার বুকের ভেতর আকাশ নামে
শরৎ পাখি পাঠায় চিঠি মেঘের খামে।

আহা কেমন সাদা সাদা মেঘের ভাষা
সেই সে ভাষার জন্য আমার ঘোর পিপাসা!
একলা আমি নদীর দিকে পড়ছি ঝুঁকে
ঢেউগুলো সব লাফিয়ে ওঠে আমার বুকে!

বুকের তলে ঢেউয়ের ছলাৎ শেষ অবধি
ভাবতে থাকি বুকটা আমার নয় তো নদী!
নয় তো কেনো আমার ভেতর স্রোতের ধারা
শব্দবিহীন শব্দে চলে কার ইশারা!

হঠাৎ হাওয়া দোল দিয়ে যায় কাশের বনে
কেউ কি কিছু বললো কথা সঙ্গোপনে!
বাতাস তাকে নিচ্ছে টেনে কোন অজানায়
আমার মনে স্বপ্ন তখন কানায় কানায়।

স্বপ্ন আমার শিশির হয়ে ঝরতে থাকে
কেউ কি আছো জাগবে নতুন ভোরের ডাকে!

Share.

মন্তব্য করুন