সাকিবের স্কুল বন্ধ করোনা মহামারীর কারণে। এ জন্য তার মনটাও খারাপ। একে লেখাপড়া হয় না, তার উপর স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ, দুষ্টুমি, খেলাধুলা- সব বন্ধ আছে। তাই বলে পড়াশোনা বন্ধ নেই। গত জানুয়ারিতে বিনা পরীক্ষাতে ক্লাস এইটে উঠে গেছে। আগে খালি মনে হতো পরীক্ষা না থাকলে না জানি কত মজা হতো। কিন্তু গেল বছরের শেষে বার্ষিক বা তারও আগে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষাও দেয়া লাগেনি। কিন্তু তাই বলে সে মোটেও খুশি নয়। পরীক্ষা না থাকলে সে ফার্স্ট হবে কি করে, ক্লাস সেভেনে যেমনটা হয়েছিল!

এখন ক্লাস এইটের পড়া হয় বাসায় বসে, ইন্টারনেটে। ইন্টার মানে আন্ত আর নেট মানে জাল। এর অর্থ দাঁড়ায় ‘আন্তঃজাল’। কেউ কেউ বাংলা করেছে অন্তর্জাল। এখন ইন্টারনেট কথাটাই বাংলা হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের অর্থ ইন্টারকানেক্টেড বা ইন্টারওভেন। ১৯৪৭ সালে ইন্টারনেটওয়ার্ক (Internetwork) শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে ইন্টারনেট (Internet) শব্দের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে ইন্টারনেট অর্থে সাধারণভাবে ‘ইন্টারকানেক্টেড কম্পিউটার নেটওয়ার্কের গ্লোবাল সিস্টেম’ বুঝাতে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ঢুকতে গিয়ে দেখা যায় এটা আরেকটা মহাজগৎ। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, টুইটার কত নাম জড়িয়ে এর সাথে।

ফেসবুক দিয়েই শুরু করি। নেটে জুমে ঢুকে স্কুলের ক্লাস বা পড়ালেখা করতে করতে ফেসবুকের কথা জানতে পারে সাকিব। ফেসবুককে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। জানা যায়, সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এ হার আরও বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের রয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। ফেসবুকের মতো আরো ২০ বা তারও বেশি সংখ্যক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও আইফোনও। এগুলোর মাধ্যমেই নেট, ফেসবুক, জুম বা ভাইবার ইত্যাদি সংযোগ চালাতে হয়।

আবার ফেসবুকের কথায় ফিরে আসি। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো এই ফেসবুক, একথা আগেই বলেছি। এর ব্যবহার মানুষের যোগাযোগকে সহজ করেছে। বিশ্বের যে কোনো স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বন্ধুদের কাছে টেনে নেয়ার সুযোগ এ মাধ্যমটিই করে দিয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছু সময় কাটানোর একটি অন্যতম প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে ফেসবুক।

কিভাবে এলো ফেসবুক?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলোর মধ্যে ফেসবুক অন্যতম। অনেকে ফেইসবুকও বলে থাকেন। বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। ঘরে বসে আমরা এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারি। এই অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হলো ফেসবুক, যার মাধ্যমে দূরের মানুষকে একেবারে কাছে আনতে পারি। সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনো একটি বিষয় নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করা, মত প্রকাশ করা, স্বাধীনভাবে চ্যাট করার ভার্চুয়াল মাধ্যম এই ফেসবুক। ফেসবুক অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনের এমন একটি অংশে পরিণত হয়েছে, যা থেকে চাইলেও আমরা দূরে থাকতে পারি না।
ফেসবুক ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মালিক বা স্বত্বাধিকারী হলো আমেরিকার ফেসবুক ইনকর্পোরেশন, সংক্ষেপে ফেসবুক ইনক। এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। অনেকে জুকারবার্গও লিখে থাকেন। তিনি ঠিক একা এটি প্রতিষ্ঠা করেননি, তার কয়েকজন বন্ধু সহপাঠী মিলে কাজটা করেছেন।

জাকারবার্গ আমেরিকার বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তাঁর রুমমেট ও কম্পিউটার বিজ্ঞানবিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিৎস এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রসারিত হয় এবং আরো পরে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি এতটা সাড়া ফেলবে সে রকমটা হয়তো এর প্রতিষ্ঠিাতারাও ভাবেননি।
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্র থাকাকালে ২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস। এতে তিনি হার্ভার্ডের ৯টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়।
এজন্য মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা ‘হ্যাক’ করেন। ফেসম্যাস সাইটে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইনের মাধ্যমে ভোট দেন। ফেসম্যাস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ এর জানুয়ারিতে মার্ক তার নতুন সাইটের কোড লেখা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে দ্য ফেসবুক ডটকম এর উদ্বোধন করেন। কিছু দিনের মধ্যেই মার্ক জাকারবার্গের সাথে যোগ দেন ডাস্টিন মস্কোভিৎজ (প্রোগ্রামার), ক্রিস হুগেস ও এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন (ব্যবসায়িক মুখপাত্রও) এবং অ্যান্ডরু ম্যাককলাম (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট)। জুনে প্যালো আল্টোতে অফিস নেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়।

২০০৫ এর আগস্টে ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ নাম পাল্টে কোম্পানির নাম রাখা হয় শুধু ‘ফেসবুক’। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ লাখে। ২০০৬ এর আগস্টে ফেসবুকের সঙ্গে মাইক্রোসফট কোম্পানি সম্পর্ক স্থাপন করে। সেপ্টেম্বর থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আগে শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ছিলেন এর ব্যবহারকারী। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখে। এরপর ধাপে ধাপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তেই থাকে।
২০০৮ এ কানাডা ও ব্রিটেনের পর ফ্রান্স ও স্পেনে ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়। এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়। চ্যাট অর্থ খোশগল্প, আড্ডা। আগস্টে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটিতে। ২০১০ এর ফেব্রুয়ারিতে যে সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি, জুলাইয়ে সেই সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫৫ কোটিতে পৌঁছায়। ৩১ জুন ২০২০-এর হিসাব অনুযায়ী সক্রিয় ব্যবহারকারী হচ্ছে ২ দশমিক সাত শূন্য বিলিয়ন (২ লাখ ৭ হাজার কোটি। ১ বিলিয়ন = ১০০ কোটি, আর ১ মিলিয়ন = ১০ লাখ)। এর পর বর্তমান সময় পর্যন্ত আরো অনেক বেড়েছে। এর সদর দফতর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্ক নামক স্থানে। ফেসবুকের সর্বমোট সম্পত্তি পরিমাণ ২০১৯ এর হিসাব মতে ১৩৩ দশমিক ৩৭৬ বিলিয়ন ডলার। ১৩ হাজার ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

কে এই জাকারবার্গ?
জাকারবার্গের পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। জন্ম ১৪ মে, ১৯৮৪ নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনসে। তার পিতার নাম জাকারবার্গ ও মাতার নাম ক্যারেন। তারা দুজনেই চিকিৎসক, মা মনোচিকিৎসক ও পিতা দন্ত চিকিৎসক। জাকারবার্গের তিন বোন রয়েছে, র‌্যান্ডি, ডোনা এবং এরিয়েল। তিনি ২০১২ সালে প্রিসিলা চ্যানকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই সন্তান রয়েছে। জাকারবার্গ আর্ডসেলি হাইস্কুলে ও পরে ফিলিপস এক্সটার একাডেমিতে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় বেশ ভালো করেন ও পুরস্কৃত হন। তিনি শুরুতে অসি চালনা বা ফেন্সিং ক্রীড়ায় অংশ নেন এবং অসিক্রীড়া দলের অধিনায়ক ছিলেন। মার্কের পরিচয় একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে, যার আসল পরিচিতি হলো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তিনি বর্তমানে ফেসবুকের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়ন্ত্রক অংশীদার। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং সেখানেই তার সহপাঠী এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, এন্ড্রু ম্যাককলাম, ডাস্টিন মস্কোভিটজ এবং ক্রিস হিউজের সাথে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। এসব কথা আগেই বলেছি। তবে তিনি পড়াশোনা শেষ করে ডিগ্রি নেননি। বলতে গেলে তার আগেই তিনি নাম করে ফেলেন এবং বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন খুবই কম বয়সে। ২০০৭ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হন। ২০২০ সালের নভেম্বর নাগাদ জাকারবার্গের নিট সম্পদ প্রায় ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, যার কারণে তাকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা সবচেয়ে ধনী ২০ ব্যক্তির তালিকায় ৪০ বছরের কম বয়সী তিনিই একমাত্র ব্যক্তি। ২০১০ সালে ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মার্ক জাকারবার্গকে নিয়ে বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত সাপ্তাহিক ‘টাইম’ ম্যাগাজিন কভার স্টোরি করে, অর্থাৎ প্রচ্ছদে তার ছবি ও ভেতরে মূল নিবন্ধে তার কাহিনী ছাপা হয়। এটা একটা বিশেষ সম্মান। টাইম ম্যাগাজিন ঐ বছর তাকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা ব্যক্তি হিসেবেও মনোনীত করে। ২০১০ সাল থেকে টাইম ম্যাগাজিন বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব পুরস্কারের অংশ হিসাবে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে জাকারবার্গের নাম ঘোষণা করে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাকারবার্গ ফোর্বসের প্রকাশিত পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিদের তালিকায় দশম স্থানে ছিলেন।

কেন ফেসবুক প্রয়োজন?

খুব কম মানুষ আছে যাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আগেই বলেছি এর মাধ্যমে বিনা পয়সায় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পুরনো বন্ধু, আত্মীয় পরিজন ও নতুন নতুন বন্ধুর সাথে যোগাযোগ ও বাক্য বিনিময় করা যায়। হারিয়ে যাওয়া পুরনো বন্ধু- যেমন, স্কুলমেট-কলেজমেটদের খুঁজে পেয়ে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। যা হয়তো এটা বা এ ধরনের কোনো সামাজিক মাধ্যম না থাকলে কোন দিনই সম্ভব হতো না। জনপ্রিয় এই সাইটটির মাধ্যমে অনেকে যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছেন কেউ কেউ। সেই কথাটাও মাথায় রাখা দরকার। সবকিছুরই ভালো খারাপ দু’টো দিক আছে। মনে রাখতে হবে আমি ভালোটুকু নেব, খারাপটুকু নেব না।
দেখা যায়, কোনো রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে এই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বন্ধুদের জানিয়ে দেয় এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দাতা পাওয়া যায়, এজন্য কতগুলো আলাদা পেজও আছে। কাউকে অযথা হেনস্তা করা হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এই ফেসবুকেই। অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হলে সেটা ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করলে শেয়ার হয়, প্রতিবাদ হয় এবং যথারীতি বিচারও হয়। ফেসবুক এখন একটি শক্তিশালী অনলাইন মাধ্যম। অনেকে আবার নিজের একাকিত্ব দূর করার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে। এর মাধ্যমেই অনেকে তাদের পুরোনো সেই স্কুলজীবনের বন্ধুদের খোঁজ পেয়েছে। কেউ বা পেয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। যে কথা আগেই বলেছি। যারা লেখালেখি করেন, তারা সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন অন্য লেখকদের সঙ্গে। প্রযুক্তি আমাদের সম্প্রীতির বন্ধনটাকে অনেক দূর থেকে অনেক কাছে নিয়ে এসেছে।

তবু সতর্কতা জরুরি

আগেই বলেছি ভালো জিনিসের কিছু কিছু খারাপ দিকও থাকতে পারে। নিতে হবে ভালোটা। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকে মিথ্যে পরিচয়ে বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষতিও করে ফেলতে পারে। সে ব্যাপারে সতর্কতা জরুরি। মনে রাখতে হবে, দুষ্টরাও বসে নেই এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারে। কারো সাথে খুব বেশি গাঢ় সম্পর্কে জড়ানো উচিত হবে না- যদি সে পূর্ব পরিচিত না হয়। সে ফেক বা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সুযোগ নিতে পারে, করতে পারে আর্থিক ক্ষতি। সবচেয়ে বড় কথা, দিনের বা রাতের অনেকটা সময় কাজ বা পড়াশোনার ক্ষতি করে ফেসবুক ব্যবহার উচিত নয়। এটা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। ফেসবুক যেন বইয়ের বিকল্প না হয়ে ওঠে, যদিও এতে ‘বুক’ শব্দটি আছে। ফেসবুকে ফেস বা চেহারা আছে বটে তবে ‘বুক’ বা ‘বই’ আসলে নেই। এটা যোগাযোগের মাধ্যম আর বই হচ্ছে জ্ঞান ও বিনোদনের মাধ্যম। ইন্টারনেটে জ্ঞান পাওয়া যায় বটে, শতভাগ সঠিক তথ্য সেখানে নাও থাকতে পারে, বইয়ের তথ্য সঠিক থাকে। আর গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস ইত্যাদি পড়ার জন্য বইই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো উৎস। বইয়ের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। ফেসবুক যেন বই পড়ার বা অন্যান্য কাজের সময়টা কেড়ে না নেয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। নতুন জিনিসের প্রতি ছোটদের বা তরুণদের একটা বাড়তি আকর্ষণ থাকে। সেই আকর্ষণ যেন জীবনের অগ্রগতিকে ব্যাহত না করে সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যে তথ্য বা বিষয়- যাকে আজকাল বলে কনটেন্ট, তা যদি আমার খুব বেশি প্রয়োজনে না আসে তার পেছনে অধিক সময় নষ্ট করা বোকামি। এটা মাথায় রাখতে হবে। শুরু করে শেষ করতেও জানতে হবে, দেখা যাবে তাতেই ভালো কাজ দিচ্ছে।

অনেকে লোক ঠকানোর জন্য ফেক বা ভুয়া আইডির সাহায্য নেয়। কিছু সময় ফলো করলেই সেসব আইডি ধরে ফেলা যায়। সেগুলো ব্লক করে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কেউ চাইলে প্রোফাইল লক করে রাখতে পারে।
ফেসবুকের গুরুত্ব অনেক। তবে ফেসবুক ব্যবহার করতে হবে নিজের প্রয়োজনে। ভালো-মন্দ মিলিয়ে ফেসবুক এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয় মাধ্যম। তবে ভার্চুয়াল এ জগৎ যেন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে। অসংখ্য মানুষ ফেসবুকের কারণে হতাশায় ভুগছেন, এমনটাই মনে করেন গবেষকরা। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক বলেছেন, ফেসবুক মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনলেও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হতাশ হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে এ হতাশা তরুণ সমাজের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে বেশি। তারা ফেসবুক আসক্তিতে জড়িয়ে দিনের কর্মঘণ্টাকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। এটা হতে দেয়া উচিত হবে না।
নানা ক্ষতিকর প্রভাব সত্ত্বেও ফেসবুক এখন মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। যান্ত্রিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষ ক্রমেই যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে। এই যন্ত্রনির্ভরতা নিয়ন্ত্রিত হওয়া চাই। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করেন অনেকেই। এর ফলে অন্য কাজ করার সময় থাকে না বলে জীবনে ও কর্মক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে।

ফেসবুক আসক্তির ফলে
আর যা যা ঘটে :

১. আবেগ-অনুভূতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে; ২. হতাশা ও দুশ্চিন্তা পেয়ে বসে; ৩. একাকিত্ব বোধ জন্মে এবং মানুষ নিজেকে দোষী ভাবতে শুরু করে; ৪. কাজের সময় ঠিক থাকে না, কাজের আগ্রহ কমতে থাকে; ৫. সময়জ্ঞান লোপ পায়; ৬. নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার ফলে ঈর্ষাবোধ হতে শুরু করে; ৭. দায়-দায়িত্ব ভুলে মনোযোগ ডুবে থাকে ফেসবুকে; ৮. সম্পর্ক নষ্ট হয়; ৯. অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- পিঠব্যথা, মাথাব্যথা, স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ডে সমস্যা, ওজনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, ইনসমনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা, চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি। তাই ফেসবুক ব্যবহারে আমাদের সংযত হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগের
অন্যান্য মাধ্যম

টুইটার : ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় মাধ্যম। ৩২০ মিলিয়ন (৩২ কোটি) মানুষ ১৪০ অক্ষরের মধ্যে মনের কথা বিনিময় করেন এতে। ২০০৬ সালের ২১ মার্চ এটি চালু হয়।
লিংকডইন : ২০০২ সালে ১৪ ডিসেম্বর তৈরি। তৃতীয় বৃহত্তম মাধ্যম। আনুষ্ঠানিক শুরু ২০০৩ সালে ৫ মে। ব্যবহারকারী ৪০০ মিলিয়ন। ২৪টি ভাষায় ব্যবহার করা যায়।
গুগল প্লাস : আগের তিনটি যখন ছিল না তখন থেকে এটি জনপ্রিয়। গুগল+ লেখা হয় ইংরেজিতে। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু। ৪১৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী।
ইউটিউব : এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা, সাবেক পেপাল কর্মচারীর হাত ধরে। ২০০৬ সালে ১ দশমিক ৬৫ ডলারে এটি কিনে নেয় গুগল। ১ বিলিয়নের মতো দর্শক রয়েছে এর।

পিনটারেস্ট : ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পিন করে রাখে এতে। ২০১০ সালে তৈরি। ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী।
ইনস্টাগ্রাম : চালু হয় ২০১০ সালের অক্টোবরে। রয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। এটিতে ফেসবুকের মালিকানাধীন ফ্যাশন শিল্প ভ্রমণবিষয়ক তথ্য পোস্ট করা হয়।
টাম্বলার : ২০০৭ এ প্রতিষ্ঠিত ডেভিড কার্পের হাতে। এটি ব্লগ ভিত্তিক মাধ্যম, যাতে ২০ মিলিয়নের বেশি ব্লগ আছে। এটি ব্যবহার একটু কঠিন।
ফ্লিকার : অনলাইনভিত্তিক হোস্টিং মাধ্যম। ২০০৪ সাালে জন্ম, পরের বছর ইয়াহুর অন্তর্ভুক্ত হয় এই মাধ্যমটি। ৬৩ দেশে ১১২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী।
রেডডিট : ২০০৫ সালে বিনোদন ভিত্তিক এই মাধ্যম প্রতিষ্ঠিত। ৩৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। ২৩১ মিলিয়ন দর্শক। জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমও এটি।
স্ন্যাপচ্যাট : আমেরিকান মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং অ্যাপ বা মাধ্যম। স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রেজি ব্রাউন, ইভান স্পিজেল ও ববি মারফি এটি তৈরি করেন। ২০১১ সালে চালু হয়, ২০১৫ সালের মধ্যে ব্যবহারকারী দাঁড়ায় ১০০ মিলিয়ন।
হোয়াটসঅ্যাপ : এটি মেসেঞ্জার, স্মার্ট ফোন, পিসি ও ট্যাবলেটগুলোর জন্য তৈরি। ২০১০ এ চালু। বন্ধুদের কাছে ছবি, মেসেজ ও কাস্টমারের কাছে পণ্যের ছবি পাঠাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কুয়োরা : কৌতূহলকে পুঁজি করে এটি একটি উদ্ভাবনী ধারণা, যা ২০০৯ সালে এ নামে বাস্তবায়িত হয়। তৈরি করেন চার্লি শেভার। ৮০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী, এর অর্ধেকই মার্কিন।

ভাইন : ভিডিও প্রকাশের মাধ্যম। ৪০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। ২০১২ সালে তৈরি। টুইটার এটি কিনে নেয় শুরু থেকেই।
পেরিস্কোপ : এটি আয়নাযুক্ত একটি যন্ত্র, যা দিয়ে দেয়ালের ও পাশের জিনিস দেখা যায়। এটি একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। ২০১৪ সালে কেভন বেকপুর ও জো বার্ননস্টেইন এটি তৈরি করেন। ২০১৫ সালে টুইটার কিনে নেয় ১০০ মিলিয়ন ডলারে। ব্যবহারকারী ১০ মিলিয়নের বেশি। অ্যাপল ২০১৫ সালে একে সেরা মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করে।
বিজসুগর : ব্যবসায়ীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০০৭ সালে তৈরি। প্রকাশনা সরবরাহ করে পুরস্কার পায়।
স্টাম্বল আপন : অনলাইন শপভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ৮০ হাজারের বেশি ব্র্যান্ডও প্রকাশক রয়েছে। পণ্য খুঁজতে ও কিনতে সাহায্য করে।
ডেলিসিয়াস : ওয়েব বুকমার্ক তৈরি, ভাগ করে দেয়ার জন্য জনপ্রিয়। ২০০৩ সালে পিটার গ্যাডজোকভ ও জোশুয়া শ্যাচটার এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৫ সালে টুইটার এটি কিনে নেয়। তাদের ৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ও ১৮০ মিলিয়ন বুকমার্ক আছে বলে দাবি।
ডিগ : সংবাদ সংগ্রহকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ১১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী বলে তারা দাবি করে।
ভাইবার : বার্তা প্রেরণকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এইট ভয়েস ওভার আইপি বা ভিওআইপি মাধ্যমে তৈরি। এর সাহায্যে অডিও, ভিডিও চিত্র, স্থির চিত্র পাঠানো যায় মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এটা দিয়ে বিনামূল্যে যখন তখন বিশে^র এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ফোনের মতো কথা বলা যায়, ভিডিও কল দিয়ে কথার পাশাপাশি পরস্পরকে দেখাও যায়। প্রয়োজন হয় স্মার্টফোনের বা কম্পিউটার/ ট্যাবের।
ইমু : ইমুও ভাইবারের মতোই। এটি দিয়েও কল বা ভিডিও কল করা যায়।

আরো কিছু শব্দের পরিচয়

নেট দুনিয়ায় বহু নতুন নতুন শব্দের ব্যবহার করা হয়। এগুলো সবই মূলত ইংরেজি শব্দ, বা ইংরেজি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। অধিক ব্যবহারে এগুলোও আমাদের পরিচিত হয়ে গেছে এবং বাংলা শব্দের সাথে মিশে গেছে। তবুও এগুলোর মূল অর্থ বা মূল শব্দ জানা থাকা দরকার।

ইন্টারনেট : এর কথা শুরুতেই বলেছি। ইন্টারনেটেড (internetted ) শব্দটি ১৯৪৯ সালে প্রথম ব্যবহার হয় বলে জানা যায়। এর অর্থ ইন্টারকানেক্টেড বা ইন্টারওভেন (interconnected or interwoven)। ১৯৪৭ সালে ইন্টারনেটওয়ার্ক (Internetwork) শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে ইন্টারনেট (Internet) শব্দের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে ইন্টারনেট অর্থে সাধারণভাবে ইন্টারকাক্টেড কম্পিউটার নেটওয়ার্কের গ্লোবাল সিস্টেম বুঝাতে ব্যবহার করা হয় (the global system of interconnected computer networks,)

ব্লগ : ব্লগ শব্দটি ইংরেজি ইষড়ম থেকে এসেছে, যা এক ধরনের ব্যক্তিগত দিনিলিপি। ব্লগ শব্দটি ওয়েবলগ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়েবলগ বা ব্লগ অর্থ দাঁড়াচ্ছে ওয়েব দুনিয়ায় নিজস্ব পরিচিতির স্থান। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলে। ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন বার্গার নামে এক ব্যক্তি সর্ব প্রথম ওয়েবলগ (weblog) শব্দটি উদ্ভাবন করেন। ওয়েব মানে মাকড়সার জাল, যা জাল বা নেটের মতোই। লগ (ষড়ম) হচ্ছে পরিচিতি জ্ঞাপক, নেট দুনিয়ায় একে বলা যায় এক প্রকার অপারেটর। আর এর আরো অর্থ আছে। পরে পিটার মেরহোলজ তার নিজস্ব ব্লগ পিটার্ম ডট কমে ওয়েবলগ শব্দটিকে কৌতুক করে ব্লগ লেখেন ১৯৯৯ সালের মার্চ বা এপ্রিলে। এর পর থেকে ব্লগ শব্দের ব্যবহার বাড়তে থাকে এবং তা এ নামেই পরিচিতি পেতে শুরু করে। ইভান উইলিয়াম নামের এক ব্যক্তি ব্লগার শব্দটি উদ্ভাবন করেন। তিনি ব্লগ শব্দটিকে বিশেষ্য ও ক্রিয়াপদ দু’ভাবেই কাজে লাগান। আবর লগ ইন, লগ আউট কোন গুগল ইয়াহু ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনে ঢোকা বা বের হবার নাম। আরো বহু ক্ষেত্রেই এগুলো ব্যবহৃত।

অ্যাপ : মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ মোবাইল অ্যাপ। আরো সংক্ষেপে অ্যাপ। অ্যাপ হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটঅয়্যার অ্যাপ্লিকেশন।

অ্যান্ড্রয়েড : অ্যান্ড্রয়েড (ইংরেজি Android) একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যেটি মডিফাইড লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড বর্তমান বিশে^র সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। গুগল এটির উন্নয়ন করছে। জানা যায় এর পেছনে আছে অ্যান্ডি বা অ্যান্ডি রুবিন (Andy Rubin) নামের এক লোক, যিনি অ্যাপল কোম্পানির একজন কর্মী ছিলেন। তিনি রোবট ভালবাসেন বলে তার সঙ্গে কর্মরতরা ১৯৮৯ সালে তার ছদ্ম নাম বা নিক নেম দেন অ্যান্ড্রয়েড। অ্যান্ড্রয়েড শব্দটি অ্যান্ডির মতো শোনায় বলে এ রকম জল্পনা কল্পনা আছে। স্মার্টফোন : ইন্টারনেট চালাতে এই ফোন ব্যবহার করা হয়। স্মার্টফোন হচ্ছে একটি পোর্টেবল ডিভাইস বা বহনযোগ্য ডিভাইস যাতে একই সাথে মোবাইল টেলিফোন ও কম্পিউটিং ফাংশন রয়েছে। স্মার্ট শব্দের বাংলা হচ্ছে চৌকস বা কেতাদুরস্ত। আবার বুদ্ধিমানও স্মার্ট। স্মার্টফোন বাটনের পরিবর্তে টাচের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এতে টাচ ফোনও বলা হয়।

ট্যাব : ট্যাবলেট পিসি (পারসোনাল কম্পিউটার) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ট্যাব। এটিও এক ধরনের মোবাইল ফোন, তবে আকারে বড়, এর স্ক্রিনও বড়। আরো বিভিন্ন ধরনের ট্যাব রয়েছে।

Share.

মন্তব্য করুন