আপনার কৈশোরকাল কেমন ছিল?
আমার আব্বার একটা মক্তব ছিল। ঐ মক্তব ঘরের সামনে একটা মাঠ ছিল। ঐ মাঠে ধর্মসভা হতো। এই ধর্মসভা আমরা সাজাতাম। আর মক্তবে পড়তাম। ক্লাস ফোর পর্যন্ত এখানে পড়ার পর পাবনা জেলার তারমি নগর জুনিয়র মাদ্রাসায় ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়ি। তারপর ফরিদপুর মইজউদ্দিন হাই মাদ্রাসায় আসি। ওখান থেকে হাই মাদ্রাসা পাস করি ১৯৪৫ সালে। হাই মাদ্রাসায় আমি বাংলা এবং আসামের মধ্যে সেকেন্ড স্ট্যান্ড করি। কিন্তু আমি যখন স্কলারশিপ পেয়ে গেলাম তখন তো আর বাবার টাকার ওপর নির্ভর করিনি। আমি প্রথমে চেষ্টা করলাম হুগলি কলেজে যেতে। কিন্তু হুগলির পারিপার্শ্বিক পরিবেশ আমার পছন্দ হয়নি। বেশি কাটখোট্টা আর অনেক মিল চারিদিকে এবং সবসময় ধোঁয়া উড়ছে। তো আমার আগে থেকে ইচ্ছে ছিল হুগলি যদি না হয় তাহলে ঢাকায় আসবো এবং চলে এলাম। যেহেতু আমি স্ট্যান্ড করেছি এ জন্য আমার বেশ কদর বেড়ে গেল। এখানে আমার আগে একজন ছাত্র পড়তেন এনামুল হক নামের। বাড়ি বোয়ালমারী, রাজবাড়ী জেলা, ফরিদপুর। ওনার মাধ্যমে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের নওয়াব বাড়ির পাশে একটা হোস্টেল ভর্তি হলাম। স্কলারশিপের কারণে আমার ভর্তি ফি মাফ, টিউশন ফি মাফ। তখন ৮ টাকা ম্যাস চার্জ ছিল। শুধু সেই ৮ টাকা দিতে হতো। অথচ আমি ১৬ টাকা স্কলারশিপ পেতাম। হোস্টেল থেকে ভোরবেলায় বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে খুব সাঁতরায়ে গোসল করতাম। তখন বুড়িগঙ্গার পানি এখনকার মতো নোংরা ছিল না।

হোস্টেল থেকে কতদূর ছিল বুড়িগঙ্গা?
খুব কাছেই ছিল। নওয়াব বাড়ির যে আহসান মঞ্জিল, এর পাশেই তো বুড়িগঙ্গা। ৪ নম্বর আহসান উল্যাহ রোডে হোস্টেল ছিল। এখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই যাওয়া যেত।

কৈশোরে কী কী স্বপ্ন দেখতেন?
একটা পাগলাটে স্বপ্ন দেখতাম। আমার যে মক্তব ছিল ঐ মক্তবে আমার এক চাচা হেডমাস্টার ছিল। উনি আমাকে খুব মারতেন। আমি ক্লাসে ফার্স্ট হই তবুও মারতেন। আমি ছোটবেলায় খুব মার্বেল খেলতাম, হা-ডু-ডু খেলতাম। মারার কারণ ছিল আমি যেন খেলাধুলার দিকে নজর না দিই। যার কারণে আরো ভালো রেজাল্ট করতে পারবো। কিন্তু কেন আরো ভালো রেজাল্ট করি নাই এজন্য মারতেন। তখন আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় হয়ে মাস্টার হব এবং উনার ছেলেকে পেটাবো। হা হা হা…। তবে আমার আরেক স্বপ্ন ছিল আমি দেশের একজন সেবক হবো।
তমদ্দুন মজলিসের সাথে থেকে ভাষা আন্দোলন করে দেশের সেবক কি হননি?
হ্যাঁ, এটা আমি হয়েছি। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবুল কাসেম। উনি একদিন এক মিটিংয়ে আমাদের বললেন যে, এমন দু-একজন লোক দরকার যারা নিজেরা কোনো বড় হওয়ার চেষ্টা করবে না, বিয়ে করবে না, চাকরি করবে না। শুধুমাত্র জাতির সেবাই করবে। তো অন্য কেউ রাজি হলো না, কিন্তু আমি রাজি হয়ে গেলাম। তমদ্দুন মজলিসের অফিস ছিল তখন ১৯ নম্বর আজিমপুর রোড। উনার বাসায়। আমি তখন জায়গির বাড়ি ছেড়ে উনার বাসায় গিয়ে উঠলাম। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এভাবে দেশের সেবা করেছি। পরবর্তীতে আব্বার দিকে তাকিয়ে ১৯৫৮ সালে বিয়ে করি।

কোনো দুরন্তপনার গল্প মনে পড়ে?
আমি ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। আমার বড় যারা তাদেরকে দমাতাম। একবার তো বর্ষাকালে একজনকে হাঁটু পানির নিচে চিৎ করে শোয়ায়ে ফেলি। অবস্থা এমন হলো যে আরেকটু হলে সে মারা যেত। এরকম দুরন্তপনা আরকি! হা হা হা…।

শিশুদের জন্য কিছু বলুন।
শিশুদেরকে ভালোবেসে আদর করে সৎ পথে রাখতে হয়। তাদের যদি জোর করা হয় তবে উল্টো ফল হতে পারে। কঠিন শাসনের বিরুদ্ধে তারা ক্ষেপে যেতে পারে। তাই তাদের স্নেহ করে ভালো ভালো উপদেশ দিয়ে ভালোভাবে মানুষ করতে হবে এবং এটাই উচিত।

শিশুকিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পিতা-মাতার কর্তব্য কী?
পিতা-মাতার কর্তব্য অবশ্যই রয়েছে। বিশেষ করে মায়ের তো কর্তব্য অনেক। মায়ের কাছেই তো শিশু বেশি থাকে। আমার আব্বাও আমাকে শাসন করতেন আবার আদরও করতেন। শাসন করতেন ভালোর জন্য। সেটা এখন বুঝতে পারি। উনি চাইতেন যে প্রত্যেকেই কিছু কিছু কাজ করুক।

সেই কাজগুলো কী ছিল?
আব্বা যখন কৃষি ক্ষেতে কাজ করতেন তখন আমাদের উপর জোর হুকুম ছিল যে, আমাদের যে কোনো বই নিয়ে ক্ষেতের আলের উপর গিয়ে পড়তে হতো। এত কড়াকড়ি ছিল যেন জীবনের সময়টা যাতে নষ্ট না হয়।

আপনার কৈশোরকালের সঙ্গে এখনকার কিশোরদের কৈশোরকালের পার্থক্য কেমন দেখছেন?
এই আধুনিক সময়ে কিশোররা এখন অনেক অল্প কষ্টেই লেখাপড়া করতে পারছে। যা আমাদের সময় ছিল না। আমরা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি এবং মুসলমানদের ভেতরে তখন শিক্ষিত লোকও কম ছিল। এই দেখেন না, আমি ক্লাস টেন পড়বার জন্য ফরিদপুর শহরে গেছি। আমার বাড়ি থেকে ২৭ মাইল দূরে। আবার ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়বার জন্য পদ্মাপাড়ে পাবনা জেলায় গেছি। সেখানে তারিম নগর জুনিয়র মাদ্রাসায় ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়েছি। তখন আমার বাড়ির পাশে কোনো জুনিয়র মাদ্রাসা ছিল না। এত ছোট বয়সে অতদূর গিয়ে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি ভাবা যায়!
এখনকার কিশোরদের কথা বলতে গেলে দুঃখই হয়। তারা নানা রকম খেলার মধ্যে মত্ত হয়ে গেছে। তাদের পড়াশোনার দিকে নজর কম। নিজেদেরকে শিক্ষিত জাতি হিসেবে কিভাবে গড়ে তুলতে হবে এসব চিন্তা তাদের ভেতরে কম বলেই মনে হয়। আমাদের সময় যতটা আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম এখন তো তাদের পিছিয়ে পড়া নাই। তবু তাদের পড়াশোনা নিয়ে ভালো চিন্তাও নাই। তারা মোবাইলে কী কী খেলে এটা তো আমি বুঝতেও পারি না। এসব বাদ দিয়ে তাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত।

অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন হাতে পেয়ে কিশোররা পড়াশোনা ছেড়ে গেমস্ খেলার দিকে ঝুঁকেছে এবং এতে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে কয়েকজন কিশোর ইতোপূর্বে আত্মহত্যাও করেছে! এই ভয়ঙ্কর আসক্তি থেকে ফেরাতে কিশোরদের জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?
এখন যে আধুনিক টেকনোলজি সেটা তো আর বাদ দেয়া যাবে না। টেকনোলজি থাকতে হবে কিন্তু তাদের প্রতি জাতির যে কর্তব্যবোধ আছে, সেটা জাগিয়ে তুলতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে, তোমরা যদি জাতির প্রতি কর্তব্য না কর তাহলে এ জাতি পিছিয়ে যাবে এবং তাতে তোমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ কিশোররা জাতির ভবিষ্যৎ। এরা যদি সঠিকভাবে গড়ে ওঠে তাহলে জাতিরও ভবিষ্যৎ থাকবে।

এই আধুনিক সময়ে শিশুকিশোররা বই বিমুখ হচ্ছে কেন?
বই থেকে আমরা যেভাবে শিখতাম এখনকার কিশোররা সেভাবে শিখছে না। তারা সহজে রেডিও, টিভি, নেট থেকে শিখছে এবং শিখে দায়িত্বজ্ঞানহীন হচ্ছে। কারণ ঐ যে সহজে পাওয়া যায়। সহজে যা পাওয়া যায় তার প্রতি বেশি মমতা থাকে না। আমরা তো সহজে পেতাম না। আমাদের তো অনেক কঠিন করে লেখাপড়া শিখতে হয়েছে।
কিশোরদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেমন হওয়া উচিত?
শিক্ষার দুটো দিক আছে। প্রথমত- থিওরেটিক্যাল, দ্বিতীয়ত- প্র্যাক্টিক্যাল। প্র্যাক্টিক্যালভাবে শিখে তারা যাতে প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে তার জন্য চেষ্ট থাকতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার ভেতরে এটা রাখতে হবে। যেটা এখন কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে।

আপনি কি কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলছেন?
কারিগরি শিক্ষার ব্যাপার না। এমনিতেই নৈতিকতা শিক্ষার যে দিক, যেটা মানুষের চরিত্রকে উন্নত করে। দায়িত্বশীল করে। সমাজের প্রতি মমতাবোধ সৃষ্টি করে। এসব শিক্ষা এখন অনেকটা কমে যাচ্ছে। কারণ এখন সবকিছু সহজে পাওয়া যায়, যার ফলে তাদের ভেতরে পাওয়ার জন্য যে নিরলস চেষ্টা-সাধনার যে তীব্র আকাক্সক্ষা কাজ করতো, সে আকাক্সক্ষাটা কমে গেছে।

বড় হতে হলে ও ভালো মানুষ হতে হলে কিশোরদের কী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে মনে করেন?
বড় হতে হলে ও ভালো মানুষ হওয়ার তো একমাত্র পথ হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। ধর্মীয় মূল্যবোধ যাদের ভেতরে নেই, মানুষ হওয়ার শিক্ষা তারা পাবে কোথায়। এটা অনেকটা আবার পারিবারিক ব্যাপারও বটে। পরিবারে পিতা-মাতা যদি এ ব্যাপারে সজাগ না হয় তাহলে কিন্তু এটা সম্ভবপর না। তাই শুধুমাত্র শিক্ষকরাই ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা দেবে আর পিতা-মাতা বাড়িতে কোনো পদক্ষেপ নেবে না, এটা হতে পারে না। তাই পারিবারিকভাবেও পিতা-মাতার চেষ্টা থাকতে হবে শিক্ষকদের ভেতরেও সে দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। দুই জায়গা থেকে যদি এ শিক্ষা সমানভাবে দেয়া হয় এবং সমাজেও যেন সেই আবহ সৃষ্টি হয়। সমাজে যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকে তারা যদি কিশোরদের প্রতি তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করে তাহলে কিশোররা সুশিক্ষার মাঝে বেড়ে উঠতে পারে। দেশের রাষ্ট্রনেতা যারা তারা এ বিষয়ে যদি সজাগ না থাকে তাহলে কিশোররা ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না। এসকল দিকেই সকলের সুনজর থাকতে হবে।

বড়দের সাথে কিশোরদের আচরণ কেমন হওয়া দরকার?
বড়দের প্রতি কিশোরদের আচরণ শ্রদ্ধাপূর্ণ হওয়া দরকার। তারা যেন বড়দের কাছ থেকে শিখতে পারে তার জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। কিন্তু এখানে আবার বড়দেরও কর্তব্য আছে। বড়রা যদি কিশোরদের প্রতি স্নেহশীল না হয়, দায়িত্ববান না হয় তাহলে তারা বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না। তাই তাদের স্নেহ দিয়ে, দরদ দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এই দুই দিকেরই একের প্রতি অপরের দায়িত্ব আছে।

পিতা-মাতার কাছ থেকে কোন কিছু বায়না করে না পেলে, কিশোরদের একগুঁয়েমি করা কি ঠিক?
একগুঁয়েমি করা ঠিক না। তবে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পিতা-মাতারও কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাদের মন জয় করতে হবে। কেননা কিশোররা অল্প বয়সী। তাদের অভিজ্ঞতা কম। তাই বোঝেও কম। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, দায়িত্বটা কিন্তু পিতা-মাতারই বেশি।

তখন কেমন সান্ত্বনা দেয়া উচিত?
তাদেরকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখিয়ে বাস্তব জ্ঞান দিয়ে বোঝাতে হবে যে, দেখো, অনেক শিশুকিশোর তোমার চাইতে খারাপ অবস্থায় আছে। এটা হাদিস থেকেও কিন্তু পাওয়া যায় যে, যখন কেউ কোনো ব্যাপারে না পাওয়ার জন্য দুঃখ করে তখন তাদেরকে দেখিয়ে দেবে সেই সব ছেলেমেয়েদের- যারা তাদের চাইতে আরো খারাপ অবস্থায় আছে। তাই সান্ত্বনা দেয়ার জন্য এই পথটাই সত্যিকারের পথ।

কিশোররা কেমন স্বপ্ন দেখবে?
কিশোররা যেহেতু জাতির ভবিষ্যৎ, এ জন্য কিশোররাই তো স্বপ্ন দেখবে। অবশ্য পিতা-মাতা এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে, তোমাদের ভবিষ্যৎ তোমাদের হাতে। জীবনটা তোমাদের, স্বপ্ন তোমাদের দেখতে হবে। আমি তো দু’দিন পর মরে যাবো। তাই তোমাদের ভবিষ্যৎ তোমাদের গড়তে হবে। দায়িত্বটা তোমাদের বেশি। তাদেরকে ঠিকভাবে বোঝাতে হবে যে, তোমাদের কাজ সঠিক সময় যদি তোমরা না করো, তাহলে আমি কবর থেকে উঠে এসে তোমাদের সাহায্য করতে পারবো না। তখন তারা নিজেদের কাজ মনে করবে।

সচেতন নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে আমাদের কিশোরদের মননে কী শিক্ষা প্রয়োজন?
কিশোরদের বোঝাতে হবে, তোমরা কি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়তে চাও, নাকি চাও না। এটা চিন্তা কর। তোমরা কি একটা অধঃপতিত জাতি হবে না উন্নত জাতি হবে। এই সঠিক এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা যদি তাদের মনে বসানো যায় তাহলে পরে সত্যিকার কাজ হবে।

আপনি তো শিশুসাহিত্যের জন্যও লিখেছেন জানি, কিন্তু কী কী লিখেছেন?
ছোটদের উপযোগী কিছু বই লিখেছি। একটা হলো স্বাধীনতার গল্পসমূহ। আরেকটা হলো আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই বইতে লিখেছি- কিভাবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম পলাশীতে চলে যায়। তারপর আস্তে আস্তে কি করে আমরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করি এবং প্রত্যেক লড়াইয়ে আমরা পরাজিত হই। কারণ হিন্দুরা এটাতে সহযোগিতা করেনি। পরবর্তীকালে ইংরেজদের সাথে কিছুটা মিল রেখে কাজ করার চেষ্ট করি। এটা মুনশি মেহেরুল্লাহর পর থেকে। এভাবে নিজেদের সমর্থনেও না আবার অন্ধ বিরোধিতাও না। এভাবে করতে করতে আমরা পাকিস্তান পেলাম। এই বইটা পড়ে তারা নিজেদের শিকড়কে জানতে পারবে।

আবার যদি কৈশোর ফিরে পাওয়া যেতো তবে কী হতে চাইতেন?
সবাই তো কৈশোর ফিরে পেতে চায়। কৈশোর ফিরে পেলে তো ভালোই হতো। ফিরে যে পাবো না, এইতো দুঃখ।

Share.

মন্তব্য করুন