একটি পাখি সাগর দ্বীপে জন্মেছিলো
মায়ের সাথে মৎস্য খেয়ে
কাটতো বেলা জলে নেয়ে
সেই পাখিটার মনে অনেক সুখ ছিলো।
দ্বীপের ঝোঁপে ঐ পাখিদের ঘর ছিলো।
হঠাৎ সেদিন ঘটে গেলো
দ্বীপে নতুন পাখি এলো
মানুষ নামের প্রাণী আছে তাদের কাছে জেনে,
মানুষ দেখার স্বাধ জেগেছে এই পাখিটার মনে।
বিশ্ব জুড়ে মানুষ নাকি
প্রাসাদ সাজায় কাজল আঁখি,
সেই মানুষের মায়ায় সেথায় হাজার পাখির বাস
সেথায় গিয়ে পরম সুখে করবে বসবাস।
মায়া ছেড়ে প্রবাল দ্বীপের
উড়াল দিলো মানব দেশের,
পাখির মনে উতাল করা মানুষ দেখার সাধ
সবুজ গায়ে পাতা ছিলো পাখি ধরার ফাঁদ।
এক শিকারী ধরলো চেপে
সরল পাখি উঠলো ক্ষেপে,
বন্দী হলো খেতে পেলো শক্ত কিছু ছোলা,
প্রবাল দ্বীপের মধুর স্মৃতি পাখির মনে দোলা।
স্বাধীনতা হারিয়ে যে আজ,
খিটখিটে হয় পাখির মেজাজ
মানুষরা খায় রান্না করে প্রাসাদ বানায় পরাণ ভরে
বাঁচবে ক’দিন ভাবে না তা পূঁজি করে মারে মরে।
এমন খারাপ হিংস্র প্রাণী
এই গ্রহে সে মহা জ্ঞানী,
অস্ত্র বানায় যুদ্ধ করে জমিয়ে রাখে ধন,
রক্তচোষা খারাপ প্রাণীর নেই যে কোমল মন।
মনের দুঃখে কাঁদছে পাখি
এতো দুঃখ কোথায় রাখি?
পোষ মেনেছি ভেবে মালিক খাঁচা দিলো খুলে,
ক’দিন পরেই পালায় পাখি লাথি মানব কূলে।
সরল মনে উড়ে এসে
ফাঁসে পাখি মানব দেশে
দূর আকাশে উড়ে পাখি যাচ্ছে সাগর দ্বীপ,
মানুষ দেখার সাধ মিটেছে চায় না চিকেন ভীপ।

Share.

মন্তব্য করুন