কিশোরকাল অন্যরকম! অন্য আনন্দের! সবকিছু ভেঙে চলার কাল হলো কিশোরকাল। কিশোরকালের ঈদের আনন্দও ছিলো অন্যরকম। আমরা কিশোরকালে বেশ আনন্দ করেছি। সাধারণ সময় যেমন, ঈদের সময়ও তেমনি।
আমাদের কিশোর কালের ঈদ এখনকার মতো ছিলো না। অবশ্য আমাদের সেই সময়ের পরিবেশ ও পরিস্থিতিও এখনকার মতো ছিলো না। আমাদের কৈশোরে ঈদ এখনকার মতো এতোটা আনুষ্ঠানিকতায় ছিলো না। এতো জাঁকজমকও ছিলো না। এখন ঈদের জন্য বিরাট অংকের টাকা খরচ করা হয়। আমরা এটি ভাবতেও পারিনি। আমরা ঈদের দিন সাদাসিধে পোশাক পরতাম। ঈদগাহে যেতাম। বন্ধুরা মিলে ঘুরতামও। কিন্তু এখন ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারটা একেবারে অন্যরকম। এখন ঈদসহ যেকোনো উৎসবে কিশোরদের বাবা মায়েরা ব্যাংকক, পাতায়া কিংবা কক্সবাজার ঘুরতে যায়। আমরা বড়জোর নানা বাড়ি যেতে পারতাম বা যেতাম।

ঈদে আমাদের বড় আনন্দ ছিলো, ‘নতুন জামা’। বছরের দু’টি ঈদে নতুন জামা কাপড় পেলে আমরা বেশ খুশি হতাম। সমপাঠীরা মিলে আনন্দ করতাম। আমাদের সময় সেলামির বিষয়টি তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। সালাম করে টাকা নিতে হবে এ আমাদের চিন্তায় ছিলো না। বরং যাকে শ্রদ্ধা করতাম তাঁকে শ্রদ্ধার জায়গা থেকেই সালাম করতাম। যে কারণে সালামীর কোনো স্মৃতি আমার নেই। এবং এ নিয়ে কোনো গল্পও বেড়ে ওঠেনি।
তবে আমাদের সময়ের ঈদ আমরা বেশ আনন্দে কাটিয়েছি। মিলেমিশে আনন্দ করেছি। কোলাকুলি করেছি। দল বেঁধে ছুটেছি। এখনও সে সময়গুলো খুব মনে পড়ে। মন চায় যেনো শৈশবে ফিরে যাই কিন্তু এটা তো সম্ভব না। কারণ সময় কখনো ফিরে আসে না। না শৈশব। না কৈশোর। না যৌবন। কিছুই ফেরে না। যায় তো চিরদিনের তরে যায়।

Share.

মন্তব্য করুন