একটি মুরগির বাচ্চা লাফাতে লাফাতে এসে মাকে জিজ্ঞাসা করল-
বাচ্চা: মা, মানুষের জন্ম হলে তাদের বাবা-মায়েরা কত নাম রাখে। কিন্তু আমাদের নাম নেই কেন?
মুরগি: আমাদেরও নাম রাখা হয় বাবা, তবে মরার পর।
বাচ্চা: কী নাম রাখা হয়?
মুরগি: চিকেন টিক্কা, চিকেন কাবাব, চিকেন পাকোড়া, চিকেন পক্স, চিকেন কোরমা, চিকেন তন্দুরি ইত্যাদি! আর যে মুরগি মানুষে মারার আগে নিজে নিজে মরে যায়, তার নাম দেয় মরা মুরগি।
মালিক তার কর্মচারীকে বোকাই জানতেন। আর তাই-
মালিক: আমি বাইরে যাচ্ছি, যদি কোনো ক্রেতা আসে তাহলে বলবি, সোনার মূল্য দ্বিগুণ।
কর্মচারী: ঠিক আছে।

কিছুক্ষণ পর মালিক এসে-
মালিক: আমি যেমন বলেছিলাম; তেমন করেছিস তো?
কর্মচারী: হ্যাঁ, এক লোক সোনা বিক্রি করতে এসেছিল। সে ১ ভরি ৪৪ হাজার টাকা চাইল। আমি বললাম, ৮৮ হাজারের চেয়ে এক টাকাও কম দেওয়া সম্ভব না। এই দামে ১০ ভরি কিনে ফেলেছি।
চকলেটের দোকানে খোকার সঙ্গে দেখা হলো এক ভদ্রলোকের-
ভদ্রলোক: খোকা, এত চকলেট খেও না। তোমার দাঁতে পোকা হবে, পেট খারাপ হবে, অল্প বয়সেই রোগ হবে।
খোকা: আপনি বুঝি অনেক দিন বাঁচতে চান?
ভদ্রলোক: অবশ্যই।
খোকা: আমার দাদির বয়স ১০৭ বছর।
ভদ্রলোক: তোমার দাদি নিশ্চয়ই ছোটবেলায় এত বেশি চকলেট খেতেন না।
খোকা: সেটা জানি না। তবে দাদি কখনোই অন্যের ব্যাপারে নাক গলান না।
বস: কী ব্যাপার! আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?
কর্মী: চুল কাটাতে গিয়েছিলাম।
বস: কি! আপনি অফিস টাইমে চুল কাটাতে গিয়েছিলেন?
কর্মী: তাতে কী হয়েছে? চুলটাও তো অফিস টাইমে বড় হয়েছিল।
বস: সেটা তো বাড়ি থাকাকালীনও বড় হয়েছে।
কর্মী: তাই তো একেবারে টাকলু হয়ে যাইনি। যতটুকু অফিসে বড় হয়েছিল; ততটুকু কেটেছি!
জুতা পছন্দ করতে গিয়ে দোকানের প্রায় সব ডিজাইন উল্টেপাল্টে দেখছেন এক তরুণী। এতে জুতার শো-রুম একেবারে তছনছ হয়ে গেল। কিন্তু পছন্দ হলো না একটিও। এ সময় তার নজর পড়ল অন্যরকম একটি বাক্সের ওপর-
তরুণী: ওই বক্সটা একটু দেখান, প্লিজ। ওটার ভেতরে যে ডিজাইনটা আছে, তা দেখবো।
দোকানদার: দয়া করেন আপা, ওইটা আর দেখতে চাইবেন না!
তরুণী: এটা কেমন কথা! কাস্টমার দেখতে চাচ্ছে।
দোকানদার: আপা, ওইটা আমার লাঞ্চ বক্স!
কাক বসেছিল গাছের ডালে। নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল খরগোশ।
খরগোশ: কিরে কাক, তুই কী করছিস?
কাক: কিছুই না। এমনি বসে আছি।
খরগোশ: বেশ মজা তো! আমিও বসে থাকি কিছু না করে?
কাক: থাকো।

হাত-পা গুটিয়ে খরগোশ বসল গাছের গোড়ায়। ঝোঁপের আড়াল থেকে খেঁকশিয়াল দেখল খরগোশ বসে আছে চুপচাপ। ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে খেয়ে ফেলল। পুরো ঘটনাটাই কাক দেখল গাছের ডালে বসে এবং ভাবল, খরগোশকে একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, কিছু না করে বসে থাকলে চলে কেবল তাদেরই; যারা বসে থাকে উপরে।

Share.

মন্তব্য করুন