সিম শব্দটা সবার পরিচিত হলেও ই-সিম সম্পর্কে অনেকেই জানে না। ই-সিমের টেকনিক্যাল পূর্ণরূপ হচ্ছে এম্বেডেড সিম কার্ড (বসনবফফবফ ঝওগ). ফোনে থাকা ট্র্যাডিশনাল সিম কার্ডটি যেভাবে এবং যে প্রযুক্তিতে কাজ করে ফোনকে সেল নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট করে, ই-সিমও একই স্টাইলে কাজ করে। কিন্তু ট্র্যাডিশনাল সিম কার্ড থেকে ই-সিমের আকার অনেক ছোট আর এটা ফোনের ভেতরে লাগানো থাকে। এর মানে ই-সিম তোমাকে খুলতে হবে না, লাগাতেও হবে না।
এটা ভার্চুয়ালভাবে রি-রাইটেবল, মানে এতে ইচ্ছা মতো আলাদা আলাদা সিম রাইট করা যাবে এবং আগের সিম আন-ইনস্টলও করা যাবে। এর মানে ই-সিমে নতুন সিম লাগানো আরো বেশি সহজ, অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে না, নতুন কোন ফিজিক্যাল সিম কার্ডও কিনে আনতে হবে না। জাস্ট কল করে বা অপারেটরের কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করেই নতুন সিম রেজিস্টার করতে পারবে।
ই-সিমের সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হচ্ছে এটা সাইজে ছোট। ন্যানো সিমের চেয়েও অন্তত ৩ গুণ ছোট। এর জন্য আলাদা কোন সিম ট্রেও থাকে না। সরাসরি মাদারবোর্ডে লাগানো থাকে। তাই অনায়াসে অনেক স্পেস বাঁচানো সম্ভব হয়। ফলে বড় ব্যাটারি লাগানো যেতে পারে। আরো বেটার ওয়াটার প্রুফ সুবিধা প্রদান করা যায়। সিঙ্গেল সিমের ফোনে ই-সিম কার্ড সহজেই ডুয়াল সিমের সুবিধা প্রদান করতে পারে। মানে সহজেই ফোনে ওয়ার্ক এবং পার্সোনাল নাম্বার আলাদা করতে পারবে। বিদেশে ঘুরতে গেলে সহজেই ই-সিমের মাধ্যমে সেখানকার লোকাল সিম নিয়ে নিতে পারবে।
ই-সিম ব্যবহার করতে চাইলে স্মার্টফোন এবং মোবাইল অপারেটর দু’টোতেই এটা সমর্থন করতে হবে। সম্প্রতি অনেক নতুন স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে গ্রাহকদের মধ্যে চলছে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা। এ তালিকায় রয়েছেÑ আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, এক্সআর, ১১, ১১ প্রো এবং ১১ প্রো ম্যাক্স। আইফোনের বাইরে গুগল পিক্সেল ২, ৩, ৩এ, ৪ মডেলেও যুক্ত করা হয়েছে এটি। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড মডেল, মটোরোলা রেজর, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০, এস২০ প্লাস মডেলে থাকছে ই-সিম।

Share.

মন্তব্য করুন