ঈদের দিন আবান্নার ব্যস্ততা শুরু হয় যখন গোশত রান্না শেষ হয়, আম্মু একটি বাটিতে গোশত দিয়ে প্রতিবেশী সবার বাড়িতে পাঠান। আর ডেলিভারি দেয়ার কাজটা আবান্নাকেই করতে হয়। প্রথম প্রথম একটু বিরক্ত হলেও যখন আম্মুর কাছ থেকে যখন প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে জানতে পারলো তখন আর বিরক্ত হয়নি। এখন এই কাজে তার মন আনন্দ পায়। কেননা তার আম্মুর এই কাজে প্রতিবেশী সকলেই খুশি হয়। আম্মুকে সবাই ভালোবাসে কেননা সকল প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি আম্মু বাসার ভালোমন্দ রান্নাও সবার সাথে শেয়ার করেন। ইদানীং অনেক পরিবারও এই রীতি অনুসরণ করছে। তারাও আবান্নাদের বাড়ি ভালো-মন্দ খাবার রান্না হলে পাঠায়। এতে মহল্লার পরিবার সমূহের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ঈদের দিন পারিবারিক বৈঠকে আম্মু একটি হাদিস পাঠ করলেন, “আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সা.) থেকে বলেছেন হে মুসলিম রমণীগণ, তোমরা প্রতিবেশীর বাড়িতে সামান্য বস্তু পাঠানোকেও তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তা বকরির পায়ের সামান্য অংশও হয়।” (বুখারী, হাদিস নং ৫৫৫৭; মুসলিম, হাদিস নং ১৭১১)
হাদিসের মহান বাণী আবান্নার আম্মু বাস্তব জীবনে প্রতিনিয়ত পালন করেন। এর জন্য রান্না করা খাসির গোশত ক্লান্তিহীনভাবে পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি। যখন যার বাড়ি যায় তাদের আগ্রহ আবান্নাকে বিমোহিত করে। যতক্ষণ পাতিলে গোশত ছিল এভাবেই চললো বিতরণ। এমনকি ছাগলের একটি পায়াও পৌঁছে দিয়েছে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধা দাদিমার ঘরে। সেই দাদিমা কী যে খুশি! তা দেখে আবান্না আবেহ আপ্লুত হয়ে পড়ে। এই বিতরণে আবান্নার মনটা যেন এক জান্নাতি প্রশান্তি অনুভব করে।

Share.

মন্তব্য করুন