মন থাকে না ঘরের ভেতর সুনীল আকাশ ছেড়ে
জানলা দিয়ে বৃষ্টি ধরি হাত দু’খানি নেড়ে।
আর পারি না থাকতে ঘরে মন যে কেমন করে
ফুলে ফলে বাগবাগিচা গেছে নাকি ভরে।

পাখপাখালি বলল আমায় কিচিরমিচির করে-
‘কেমন করে থাকতে পারো একলা বদ্ধ ঘরে।
বাগান ভরা ফুলের হাসি দেখতে যদি চাও
নেচে গেয়ে হেসে হেসে বাইরে চলে যাও।’

মৌমাছিরা বলল ডেকে- ‘ভাঙো ঘরের তালা
যাও ফিরে যাও গুনগুনিয়ে গাঁথতে ফুলের মালা।
ফুলের মালা গলায় দিয়ে নাচবে যখন খুব
ফুলপরীরা দেবে তখন রূপ সাগরে ডুব।’

চুপিচুপি ফড়িং এসে খুললো যখন তালা
প্রজাপতি মুচকি হেসে বলল- ‘এবার পালা।’
যেই না আমি ঘর ছেড়েছি, ছেড়ে সকল দ্বন্দ্ব
সমীরণে ভেসে আসে মিষ্টি ফুলের গন্ধ।

খানিক দূরের পুকুর থেকে পুঁটিমাছে বলে-
‘সুখের খোঁজে যাচ্ছ বুঝি একলা পথে চলে?
চাও যদি ভাই, তোমার সাথে আমিও যাব চলে
বোয়াল মাছে ভেবে বলে সুখ খোঁজে নাও জলে।’

ও পুঁটি ভাই, জলেই জীবন স্থলে যাবে মরে
আজকে তারে দাও না ছেড়ে আর রেখো না ধরে।
হাওয়ার বেগে ছুটছি আমি ফুল পাখিদের কাছে
আজকে আমার মন হারাবো কল্পলোকের ধাঁচে।

Share.

মন্তব্য করুন