বাবা ছেলেকে নতুন জুতা কিনে দিয়ে বলল, সিড়ি দিয়ে উঠার সময় দুইটা করে উঠবি। এতে জুতার উপর চাপ কমবে। জুতা বেশিদিন টিকবে। কিছু ছেলে বাবার চেয়ে আরো এক ডিগ্রি উপরে। সে বাবাকে খুশি করার জন্য তিনটা সিঁড়ি করে উঠছে। উপরে উঠার পর বাবা ছেলের গালে মারল জোড়ে এক চড়। ছেলের চিৎকারের শব্দে পাশের বাসার মহিলা এসে বলল, এতটুকু বাচ্চাকে কেউ এভাবে মারে? কেন মেরেছেন?
বাবা : ওকে বলেছি দুইটা সিঁড়ি করে উঠবি তাহলে জুতা বেশিদিন টিকবে আর ও উঠলো তিনটা করে।
মহিলা : ও তো ঠিকই করেছে। আপনার তো খুশি হওয়ার কথা!
বাবা : খুশি হব কিভাবে বলেন, ও দু’শো টাকার জুতার তলা বাঁচাতে গিয়ে ৮০০ টাকার প্যান্টের তলা ছিঁড়ে ফেলেছে!
হাবলু রাস্তা দিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছে। একসময় রাস্তার লাল বাতি জ্বলে উঠল। কিন্তু হাবলুর থামার কোনো নামগন্ধ নেই। লাল বাতি পেরোতেই ট্রাফিক পুলিশ হাবলুকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, রাস্তায় লাল বাতি জ্বলে উঠেছে, দেখতে পারছেন না? লাল বাতি জ্বলে উঠলে যে থামতে হয় তাও জানেন না, নাকি?
হাবলু : লাল বাতি জ্বলে ওঠা তো দেখেছি, কিন্তু আপনি যে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটা দেখতে পাইনি, স্যার।
তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী প্রথম দিন পরীক্ষা দেয়ার আগে সব পড়া ভালোভাবে পড়ে ও লিখে গেল। ছাত্রীটি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পর মায়ের সঙ্গে কথোপকথন-
মা : তোমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সব কমন পড়েছে তো।
ছাত্রী : না মা, ভালো পরীক্ষা দিতে পারিনি, কিন্তু খাতায় অনেক কিছু লিখেছি।
মা : যাই হোক, এবার জীবনে প্রথম খাতায় কিছু লিখেছিস, পাস নম্বর তো উঠবেই, তাই না।
ছাত্রী : না মা।
মা : কেন? তুই না বলেছিস অনেক কিছু লিখেছিস?
ছাত্রী : হ্যাঁ, লেখাগুলো ঠিক হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য খাতাটি বাসায় নিয়ে এসেছি। আগামীকাল শিক্ষকের কাছে খাতা জমা দিয়ে দেব!
আইনস্টাইনের আলোর গতির ওপর ক্লাস হচ্ছে।
শিক্ষক : এই উইন্ডোজ হোসেন বলো তো, আইনস্টাইন কীভাবে আলোর বেগ পরিমাপ করলেন?
উইন্ডোজ হোসেন : স্যার, আমার যা মনে হয় আলো যেহেতু অনেক বড় জিনিস, মানে বিশাল জিনিস, সেহেতু আইনস্টাইন প্রথমে একটা দুইশ’ গজ ফিতা নিয়েছিলেন, তারপর…
নান্টু : হয়নি স্যার। উইন্ডোজ কী ধরনের গাধা চিন্তা করেন! আরে, আলো কি জামা-কাপড় যে ফিতা দিয়ে মাপবো! আলো হইল আলুর মতো ভারী। তাছাড়া তখন গজফিতা আবিষ্কারই হয়নি। তাই তখন মাপামাপির কাজে দাঁড়িপাল্লা ছাড়া উপায় ছিল কোনো? বলেন স্যার, আপনিই বলেন?
শিক্ষক : আহা! তোদের কী প্রতিভা! তোরা তো একসময় আইনস্টাইনকেও ছাড়িয়ে যাবি। বাহ্!
সাকিব এবং রাকিবের মধ্যে কথা হচ্ছে-
সাকিব : রাকিব, তুই আমাকে ঠিক রাত ১০টায় ফোন দিস তো। তোর সঙ্গে কথা আছে।
রাকিব : ঠিক আছে। তুই তাহলে আমাকে ঠিক ৯টা ৫৯ মিনিটে ফোন দিয়ে মনে করিয়ে দিস।
এক বন্ধু ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কোনোমতে জীবন রক্ষা করে সুস্থ হয়ে উঠার পর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। বন্ধু বলল, ‘দোস্ত, চল রাস্তা থেকে ঘুরে আসি।’
‘না দোস্ত, আমি বাইরে যাব না, সমস্যা আছে।’
‘কেন? কী সমস্যা?’
‘ওই ট্রাকের পেছনে লেখা ছিল, ধন্যবাদ! আবার দেখা হবে!’
এক ছাত্র ক্লাসে বসে ঝিমুচ্ছিল। দেখে শিক্ষক বলল, ‘এই ছেলে, দাঁড়াও! এখন বলো আকবর কে ছিলেন?’
ছাত্র : জানি না স্যার।
শিক্ষক : জানবে কীভাবে? ক্লাসের দিকে একটু মনোযোগ দাও, জানতে পারবে।
ছাত্র : আচ্ছা স্যার, আপনি জানেন পলাশ কে?
শিক্ষক : না, কে উনি?
ছাত্র : স্যার, আপনার মেয়ের দিকে একটু মনোযোগ দিন। জানতে পারবেন।

Share.

মন্তব্য করুন