বন্ধুরা, ঈদ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। নেই
এ নিয়ে ভাবনারও কোনো কূলকিনারা। তাই এসো,
আজকে আমরা প্রমেই জেনে নিবো ঈদ কী? আর কেমন
করেই বা এলো ঈদ।
ঈদুল ফিতর শব্দটি আরবি। শব্দটি মিলেমিশে একাকার
হয়ে গেছে। আমাদের ভাষা ও সমাজ সংস্কৃতির সাথে
ঈদুল ফিতর একটি যৌগিক পরিভাষা, যা ঈদ ও ফিতর
শব্দের সংমিশ্রণে গঠিত। ঈদ শব্দের শাব্দিক অর্থ বারবার
ফিরে আসা। অবশ্য ঈদ শব্দটি এখন আমাদের সমাজে
আনন্দ বা উৎসব অর্থে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। পবিত্র
কুরআনুল কারীমের সূরা আল মায়িদার ১৪৪ নম্বর
আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে- মহান আল্লাহ তা’য়ালা
এখানে বলেন “মারইয়াম পুত্র ঈসা বললো, হে আল্লাহ,
হে আমাদের রব আসমান থেকে আমাদের জন্য
খাবারপূর্ণ দস্তরখান বা মায়িদা নাজিল করুন, এটা হবে
আমাদের, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য ঈদ বা
আনন্দ উৎসব। আর আপনার পক্ষ থেকে হবে এটি
একটি আয়াত বা নিদর্শন।”
অপর দিকে ফিতর শব্দটি ফিতরাত বা স্বাভাবিক অবস্থা
অর্থে ব্যবহৃত হয়। আবার কোনো কিছু শেষ করা অর্থেও
ব্যবহৃত হয় এই ফিতর শব্দটি। আবার কারো কারো মতে
ফুতুর থেকে শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ নাস্তা। সুতরাং
ঈদুল ফিতর
আমাদের জীবনে এবার
এক নতুন আনন্দ
যৌগিকভাবে ঈদুল ফিতরের শাব্দিক অর্থ দাঁড়ায় রমজান
মাসের সিয়াম শেষ করে সকাল বেলার নাস্তা গ্রহণ করার
মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আনন্দ বা
উৎসব।
যেভাবে এলো ঈদ: ৬২২ ঈসায়ী সালে আমাদের প্রিয়
নবী হযরত মুহাম্মাদ সা. মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত
করলেন। হাদীসের ভাষ্যকার ও ঐতিহাসিকদের মতে,
সেখানে গিয়ে তিনি দেখলেন জাহেলি রসম অনুযায়ী
সেখানকার লোকেরা বছরের নির্দিষ্ট দু’টি দিনে অশ্লীলতায়
পরিপূর্ণ নাচ-গান, জুয়ার আসরসহ বিনোদনের নামে
পূতিগন্ধময় আনন্দ উৎসব করছে। মহানবী সা. অংশগ্রহণ
না করলেও এর আগে মক্কায় দেখেছেন। হাজার হাজার
বছরের ঐতিহ্যম-িত ‘উকাজ মেলা’। মহানবী সা.
জিজ্ঞেস করলেন, হে মদীনার লোকেরা! তোমরা এসব কী
করছো? তারা জবাব দিলেন, আমরা বছরে দু’দিন
‘নওরোজ ও মেহেরজান’ উৎসব পালন করছি। মহানবী
সা. সংস্কারের মনোভাব নিয়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য
প্রবর্তন করলেন। ‘ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার’।
যেখানে রয়েছে আনন্দ উৎসবের সাথে সাথে মহান
আল্লাহ তা’য়ালার স্মরণ। এভাবেই ইসলামের ইতিহাসে
যুক্ত হলো অপবিত্র ‘নওরোজ ও মেহেরজান’ এর
পরিবর্তে বৈধ আনন্দ উৎসবের নতুন সংস্কৃতি। ‘ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আযহা’ ।
আবু দাউদ ও নাসায়ী শরীফের হাদীসে এসেছে। হযরত
আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. যখন মক্কা থেকে
মদীনায় হিযরত করে এলেন তখন তিনি দেখলেন,
সেখানকার মানুষ বছরে দু’টি নির্দিষ্ট দিনে খেলাধুলা ও
আনন্দ উপভোগ করে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন,
এ দু’টি দিন কেমন? তারা বলেন, আমরা ইসলাম
আগমনের পূর্বে এ দু’টি দিনে খেলাধুলা, তামাশা ও
আনন্দ উপভোগ করতাম। তখন রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,
আল্লাহ এ দু’টি দিনের পরিবর্তে দু’টি উৎকৃষ্ট দিন
নির্ধারিত করে দিয়েছেন। একটি ঈদুল ফিতর এবং
অন্যটি ঈদুল আযহা।
এ থেকেই অনুধাবন করা যায় মুসলিম উম্মাহর ঈদুল
ফিতরের উৎসব, নিছক কোনো তথাকথিত উৎসব নয়।
এর রয়েছে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক
এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য। ধরা যাক, ঈদুল
ফিতর একটি ধর্মীয় উৎসব। এটি একটি ইবাদাত, যা
অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালার
নির্দেশিত ফরজ ইবাদাত পালনের পর। রমজানের পুরো
মাসব্যাপী বিশ্ব মুসলিমদের সাওম পালনের পরই তারা এ
উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসবকে পুরোপুরি উৎসব
হিসেবে পালন করতে হলে অবশ্যই তাকে সিয়াম পালন
করে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে হবে। সিয়ামের উদ্দেশ্য
সম্পর্কে আল কুরআনের সূরা আল বাকারার ১৮৩ নম্বর
আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ওহে তোমরা যারা ঈমান
এনেছো, তোমাদের জন্য রমজানের সিয়ামকে ফরজ করা
হয়েছে, যেমনভাবে ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের
পূর্ববর্তী জাতির ওপর যেনো তোমরা তাকওয়া বা
আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।”
রমজানের মাসকে মুসলিম উম্মাহ যাতে আর ক’টা
সাধারণ মাসের মতো মনে না করে। পরিপূর্ণ গুরুত্ব
প্রদান করে এইভেবে যে, এ মাসটা হিদায়াতের মশাল
আল কুরআন নাজিলের মাস। মহান আল্লাহ সূরা আল
বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে বলেন, “রমজান মাস! এ
মাসেই নাজিল করা হয়েছে আল কুরআন। যেটি
বিশ্বমানবতার হিদায়াত এবং সত্য-মিথ্যার মধ্যে সুস্পষ্ট
পার্থক্যকারী।” সুতরাং এর ধর্মীয় গুরুত্ব কতটুকু তা
সহজেই অনুমেয়। ঈদুল ফিতরের দিনে রয়েছে
দু’রাকায়াত সালাত আদায়ের বিধান। এ সালাতের গুরুত্ব
এতটাই যে, এ সালাতের ঈদগাহে যাওয়ার জন্য
মহিলাদেরকেও তাকিদ দিয়েছেন প্রিয় নবী হযরত
মুহাম্মাদ সা.।
আবার, পবিত্র ঈদুল ফিতর পুরোপুরি একটি সামাজিক
উৎসবও বটে। সামাজিক জীব হিসেবে এদিনে মানুষ
একে অপরের খোঁজ খবর নেয়। একে অপরের সুখে
দুঃখে শরিক হয়। দলে দলে ঈদগাহে যায়। জামায়াত
বদ্ধভাবে সালাত আদায় করে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে করে
সুদৃঢ়, করে আরো মজবুত। মুসলিম মিল্লাতে তৈরি করে
সৌহার্দ্যরে সীসা ঢালা প্রাচীর আর ঐক্যের স্মৃতিসৌধ।
কারণ মহান আল্লাহ তা’য়ালা সূরা আল হুজুরাতের ১০
নম্বর আয়াতে বলেছেন, “নিশ্চয়ই মু’মিনরা পরস্পর ভাই
ভাই, সুতরাং তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে ইসলাহ
বা মীমাংসা করে দাও এবং আল্লাহক ভয় করো, যাতে
করে তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।” পবিত্র ঈদুল ফিতরের এ
দিনে এ দৃশ্যই যেনো ভেসে ওঠে প্রত্যেকটি মুসলিম
হৃদয়ের মানসপটে, ইসলামী সমাজ তথা মুসলিম উম্মাহর
মাঝে।
হ্যাঁ, বন্ধুরা! ঈদুল ফিতরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য
রয়েছে সীমাহীন। এ দিনটিতে বিশ্ব মুসলিম শুধু ব্যক্তিগত
আনন্দ আর ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে না। এ আনন্দ
উৎসবে শরিক করে তাদের ভাই। সমাজে পিছিয়ে পড়া
মানুষ গরিব ও দুঃখীদেরকে। তারা পালনে ব্যস্ত হয়ে
পড়ে ইসলামের সুমহান শিক্ষা ও নির্দেশ সাদকায়ে ফিতর
আদায়ের জন্য। কারণ রাসূল সা. বলেছেন, “সাদকাতুল
ফিতর আদায় না করা পর্যন্ত সাওম পালনকারী ব্যক্তির
সাওম আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায়
বিরাজ করে, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না।” বাধ্যতামূলক
এ সাদাকা আদায়ের সাথে সাথে এ মাসেই বেশি
সাওয়াবের আশায় মানুষ বেশি বেশি যেমন দান করে
তেমন আদায় করে থাকে আর্থিক ইবাদাত জাকাতও।
ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না বন্ধুরা, মুসলিম উম্মাহর জন্য
ইসলামে রয়েছে এক অনন্য সংস্কৃতি। তার প্রভাব রয়েছে
পবিত্র ঈদুল ফিতরেও। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এক
শ্রেণির ধান্দাবাজ তথাকথিত সংস্কৃতিসেবীরা ভূতের মতো
উল্টো চলছে। আবার হতে পারে এটা তাদের অজ্ঞতারই
ফসল। তারা পবিত্র ঈদের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ভুলিয়ে
দেয়ার চμান্তে সদা তৎপর ও লিপ্ত। ঈদকে তারা চিত্রিত
করে উদ্দেশ্যহীন এক আনন্দ উৎসব হিসেবে। ঈদুল
ফিতর যে আসে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর,
আনন্দময় ইফতার, পরিশুদ্ধ হওয়ার ইবাদাত ইতিকাফ ও
সালাতুত তারাবিহসহ বিশেষ ইবাদাত বন্দেগির পর।
মহান আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শুকরিয়ায় মস্তক
অবনত করে। আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাকি এগারো মাস
চলার অঙ্গীকার শাণিত করে। তা নিমিষেই ভুলিয়ে দেয়া
হয় ধার করা সংস্কৃতির বাহন ঢাক-ঢোল-তবলা-বাঁশি
বাজিয়ে, নাচে গানে মাতোয়ারা করার মাধ্যমে। নোংরা
ফ্যাশন শো-তে নেমে পড়ে আগামীর ভবিষ্যৎ নতুন
প্রজন্ম যুবসমাজ। সিয়াম সাধনার মর্মবাণী ত্যাগের শিক্ষা
সংযম, শ্লীলতা ও মানবতার কল্যাণ সাধনের মনোবৃত্তি
দূরে ঠেলে দিয়ে অপবিত্র আমোদ প্রমোদের করা হয় নানা
আয়োজন। তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু করা হয় রমজানের
বার্তাকে পরিহার করার। ধর্মীয় বিধানে আবদ্ধ ঈদুল
ফিতর পরিণত হয় ঈদকার্ড বিতরণ, এসএমএস বিনিময়
ও ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রদান ও জুয়ার আড্ডা খ্যাত মেলা
উদযাপনের মাধ্যমে।
কী আজব তাদের রুচি! ঈদের নাটক, ঈদের নাচ, ঈদের
গান, ঈদের কনসার্ট, ঈদের ফ্যাশন শো, ঈদের রেসিপি
ইত্যাকার বিচিত্র সব বিষয়ের কথা। আসলে কি ঈদের
সঙ্গে এ সবের আদৌও কোনো যোগসূত্র আছে? নাহ!
নেই, তবুও ঈদ উপলক্ষে এসব হাজির হয় আমাদের
সামনে। ঈদকে তার আপন মহিমা থেকে হটিয়ে ভিনড়বতর
এক মাত্রায় উপস্থাপন করে। বিশেষ করে নবীন প্রজন্মের
সামনে ঈদকে একটা হই-হুল্লোড়, রঙ তামাশা,
গান-বাজনা, গলাগলির বিষয় বানিয়ে। তাদের বিবেচনায়
‘ঈদ মানে শুধুমাত্র দুনিয়ার আনন্দ স্ফূর্তি। ঈদ যে
রমজানের শিক্ষা-সংযম, ত্যাগ ও তৌহিদী চেতনার মধ্যে
সম্পাদ্য একটি ধর্মীয় আচার ও ইবাদাতের অংশ, তা
ভুলিয়ে দিয়ে নবীন প্রজন্মকে ভিনড়ব দিকে ধাবিত করা হয়
অত্যন্ত সুকৌশলে।’
এসো বন্ধুরা, শপথ করি। অপসংস্কৃতির এই কালো থাবা
থেকে ঈদুল ফিতরকে ফিরিয়ে আনতে হবে তার আপন
মহিমায়। দূর করতে হবে শরিয়াহর বিধিবিধান-বহির্ভূত
যাবতীয় কুসংস্কার। গ্রহণ করতে হবে ঈদের প্রকৃত
শিক্ষা। আল কুরআনের আলোয় জীবন আলোকিত করে
মানবতার কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণের মানসিকতা তৈরি
করতে হবে ঈদের আনন্দ উপভোগের মাধ্যমে। ঈদ যে
তাদের জন্য নয় সে অনুভূতিও জাগ্রত করতে হবে
আমাদেরকে। যারা সিয়াম পালন করেনি, সিয়ামের শিক্ষা
জীবনে বাস্তবায়ন করেনি, করেনি কুরআন অধ্যয়ন,
কুরআনের আলোয় আলোকিত করেনি নিজের জীবন।
এ কারণেই ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর রা.
ঈদের দিন সকালে কানড়বা শুরু করে দিলেন। কানড়বার কারণ
জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, আসলেই কি আমার জন্য
ঈদ? আমি কি সাওমের হক আদায় করতে পেরেছি?
মহান আল্লাহ কি আমাকে রমজানে ক্ষমা করেছেন?
কাজেই উত্তম সংস্কৃতির মাস হলো মাহে রমজান।
রমজান মাস শেষে ঈদুল ফিতরও একটি অনুষ্ঠানের নাম।
তবে নামসর্বস্ব অনুষ্ঠান নয় বরং মুসলমানদের কৃষ্টি
কালচারের পরিচয়, যা দিয়ে লাভ করে অন্যান্য জাতি ও
ধর্ম থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের ঈদ।
বন্ধুরা, তোমরা তো জানোই এবারে ঈদটা এসেছে একটা
ভিনড়ব প্রেক্ষাপটে। জালিমদের জুলুমের কারণে গজব, আর
মু’মিনদের ঈমানী পরীক্ষার জন্য। আমাদের প্রিয়
মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশ করোনা
নামক ভাইরাসের আμমণে আμান্ত। বিশেষজ্ঞগণ
বলেছেন মানবসমাজে এরকম দুর্যোগ আর সহসা
আসেনি। আমাদের দেশের শতাধিকসহ বিশ্বে মারা গেছে
দুই লক্ষাধিক মানুষ। তোমরা কি ভাবতে পারো,
আমাদের হৃদয়ের মিনার বায়তুল্লাহ আজ তাওয়াফশূন্য।
মসজিদগুলো মুসল্লি ছাড়া। সবার মধ্যে ‘ইয়া নাফসি,
ইয়া নাফসিভাব’। এ যেনো কিয়ামতের পূর্বে আরেক
কিয়ামত। ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে। তবে আমরা
হতাশ হবো না, ভড়কে যাবো না। আল্লাহর বিধানকে
জানাবো স্বাগত, আদায় করবো শুকরিয়া। অবস্থা
আমাদের যাই হোক, থাকি সুখে অথবা দুঃখে। মেনে
চলবো আল্লাহর বিধান। দাঁড়াবো গরিব অসহায়দের
পাশে। হবো স্বাস্থ্য সচেতন। ভালো রাখবো আমাদের
দেশ ও সমাজকে। পৃথিবীকে আবার গড়ে তুলবো
নতুনভাবে। এটাই হবে এবার আমাদের অন্যরকম ঈদের
আনন্দ।
তাই আমাদের অবশ্য কর্তব্য রমজান, সিয়াম ও
কুরআনের হক যথাযথভাবে পালন করে তথাকথিত
অনুষ্ঠান সর্বস্বতা থেকে মুক্ত হতে হবে। আমাদের ঈদ
সংস্কৃতিকে শরিয়াহ নির্দেশিত পন্থায় পালন করতে হবে।
তবেই ঈদ ভাস্বর হয়ে উঠবে আপন মহিমায়। বয়ে
আনবে আমাদের যাপিত জীবনে অনাবিল সুখ শান্তি ও
সমৃদ্ধির সোনালি সোপান, যা চিত্রিত হয়ে ফুটে উঠেছে
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নিম্নোক্ত-
কবিতায়:
“আল্লাহর রাহে দিতে পারে যারা/ আপনারে কোরবান
নির্লোভ নিরহঙ্কার যারা/ যাহারা নিরাভিমান,
দানব-দৈত্য কতল করিতে/ আসে তলোয়ার লয়ে,
ফিরদৌস হতে এসেছে যাহারা/ ধরায় মানুষ হয়ে,
অসুন্দর আর অত্যাচারীরে/ বিনাশ করিতে যারা
জন্ম লয়েছে চির নির্ভীক/ যৌবন-মাতোয়ারা
তাহাদেরই শুধু আছে অধিকার/ ঈদগাহে ময়দানে।”

Share.

মন্তব্য করুন