♦ জীবনে প্রথম জেব্রাকে দেখে এক ঘোড়া প্রশ্ন করলো আরেক ঘোড়াকে, ‘ওটা আবার কে?’
‘ওটাও ঘোড়া। জেলখানায় ছিলো নিশ্চয়। মনে হয় পালিয়েছে, তবে পোশাক পাল্টানোর সময় পায়নি এখনো।’

♦ দেশের সীমান্তে দালালের কাজ করে পিঁপড়ে।
একদিন হাতি তাকে বলল, ‘আমাকে বর্ডারটা পার করিয়ে দাও না ভাই!’
‘ঠিক আছে, আমার সঙ্গে চলো। বলল পিঁপড়ে।’
দু’জন হাঁটতে শুরু করল সীমান্তের উদ্দেশ্যে।
পিঁপড়ে সামনে, হাতি পেছনে। এমন সময় সীমান্তরক্ষী চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, ‘কে?
কে যায় ওখানে?’
‘এটা আমি, পিঁপড়ে।’
‘আরে তা তো দেখতেই পাচ্ছি, কিন্তু সঙ্গে ওটা কে?’
রীতিমতো রেগে উঠে বলল পিঁপড়ে, ‘কে মানে?
সঙ্গে করে খাবারও নিতে পারব না নাকি!’

♦ অফিসে দুই সহকর্মীর মধ্যে কথা হচ্ছে। প্রথম সহকর্মী বলছে, ‘বুঝলেন ইদ্রিস সাহেব, বুদ্ধি থাকলে সবই হয়। আমার বুদ্ধি আছে বলেই বড় খরচের হাত থেকে বেঁচে গেলাম।’
দ্বিতীয় সহকর্মী এতক্ষণ কাজে ডুবে থাকলেও যখন খরচ থেকে বেঁচে যাওয়ার কথা শুনল তখন কান খাড়া করল, ‘কী রকম?’
প্রথম সহকর্মী আবার বলতে শুরু করল, ‘সেদিন আমার ছোট ছেলেটা চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য বায়না ধরল। অনেক করে বোঝালাম। কিন্তু কে শোনে কার কথা। চিড়িয়াখানায় সে যাবেই। অজগর সে দেখবেই। এরপর আমি বুদ্ধি করে বাড়িতে বসিয়েই অজগর দেখিয়ে দিলাম।’
দ্বিতীয় সহকর্মী বেশ অবাক হলেন, ‘বলেন কী! বাড়িতে অজগর পেলেন কোথায়?’
প্রথম সহকর্মী হাসতে হাসতে বললেন, ‘একটা কেঁচো ধরে আনলাম। তারপর একটা আতশী কাঁচ দিয়ে এই কেঁচোটাই দেখিয়ে বললাম, এই দেখো অজগর।’

♦ মৌখিক পরীক্ষা চলছে। বিষয় পদার্থবিদ্যা। এক ছাত্রকে শিক্ষক প্রশ্ন করছেন-
শিক্ষক : আচ্ছা, বলো তো আলোর বেগ বেশি না শব্দের?
১ম ছাত্র : স্যার, আলোর।
শিক্ষক : গুড। তা একটা উদাহরণ দাও তো?
১ম ছাত্র : আমরা যখন কম্পিউটার অন করি তখন আগে আলো জ্বলে কিন্তু তার অনেক পরে শব্দ শুনতে পাই। অতএব আলোর বেগ শব্দের চেয়ে বেশি।
শিক্ষক : গর্দভ কোথাকার! এটা কি কোন উদাহরণ হল!
এবার শিক্ষক আরেক ছাত্রের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন।
শিক্ষক : বলো তো কার বেগ বেশি? আলোর না শব্দের?
২য় ছাত্র : স্যার, অবশ্যই আলোর।
শিক্ষক : (একটু খুশি হয়ে) তা বাবা একটা উদাহরণ দিতে পারবা?
২য় ছাত্র : এই যেমন ধরেন স্যার, আমরা যখন মোবাইল ফোন অন করি তখন আগে আলো দেখি তারপর ওয়েলকাম টিউন শুনি। সুতরাং আলোর!
শিক্ষক : ভাগো, ভাগো এখান থেকে! যত গাধা এসে জুটেছে এখানে।
৩য় ছাত্রকে ডাকার আগে শিক্ষক ভাবছেন আমি মনে হয় একটু কঠিন করে প্রশ্ন ধরছি। ঠিক আছে এবার একটু সহজ করে ধরি।
শিক্ষক : ধরো, তুমি একটা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছো। এমন সময় দূরের একটা পাহাড়ের চূড়া থেকে কামানের গোলা ছোঁড়া হল। তাহলে কি হবে? তুমি গোলা ছোড়ায় যে শব্দ হল সেটা আগে শুনতে পাবে নাকি কামানের মাথায় যে আগুন জ্বলেছিল সেই আলোটা আগে দেখবে?
৩য় ছাত্র : (হাসতে হাসতে) স্যার, এটার উত্তর তো খুব সোজা। আলো আগে দেখতে পাবো।
শিক্ষক : (উদ্ভাসিত চোখে) বাহ! বাহ! এই তো পারছো। একেই বলে মেধাবী ছাত্র। তা বাবা, এর ব্যাখ্যাটা কি দেবে?
৩য় ছাত্র : কারণ স্যার, আমার চোখ যে কানের থেকে একটু সামনে।

# গ্রন্থনা : সামির রায়হান

Share.

মন্তব্য করুন