Ξ এক ভদ্রলোকের গাড়ি পার্কিং থেকে চুরি হয়ে গেল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও গাড়ির হদিস পেলেন না। তবে দুই দিন পর হারানো গাড়িটাকে আগের জায়গায় দেখে অবাক হলেন। হারানো বাহন ফিরে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত হয়ে দৌড়ে গাড়ির কাছে গেলেন। ড্রাইভিং সিটে একটা মুখবদ্ধ খাম। খুলে দেখলেন ভেতরে দেওয়া চিরকূটে লেখা, ‘মায়ের শরীর হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু একে তো রাত, তার ওপর ছুটির কারণে কোনো গাড়ি না পাওয়ায় আপনার গাড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
বিনীত ভঙ্গিতে আরো লেখা রয়েছে, ‘আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। গাড়িতে যত পেট্রল ছিল, সব আগের মতো আছে। তাছাড়া আপনার গাড়ির খারাপ তালাটাও ঠিক করে দিয়েছি। গাড়ি ব্যবহারের বিনিময়ে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ১০টা সিনেমার টিকিট দিলাম। এই চিঠির খামের মধ্যেই সেগুলো পাবেন। টিকিটগুলো আগামীকালের, নাইট শো। আমি জানি, আপনার বাসার কাজের মেয়েসহ আপনারা ১০ জন। আপনাদের খাবারের জন্য রাখা আছে সিনেমা হলের ফুড কোর্টের ভাউচারও (বিল পরিশোধিত)। সিনেমা দেখার পর যা ইচ্ছা খেয়ে নেবেন।’ সব শেষে আবারো বিনীত অনুরোধ, ‘আমার অনন্যোপায় অপরাধের জন্য ক্ষমা করে দেবেন!’
১৫ লাখ টাকা দামী গাড়িটা ফেরত পাওয়ায় পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি। পরদিন উপহার পাওয়া টিকিট নিয়ে সবাই চলে গেল সিনেমা দেখতে। ছবি দেখা শেষ করে মনের মতো স্পেশাল চিকেন-রাইস-কফি-আইসক্রিম খেয়ে বের হল সবাই; কিন্তু গাড়ি তো নেই পার্কিংয়ে! আবারো চুরি হলো গাড়িটা!
উপায় না পেয়ে ট্যাক্সি ডেকে বাড়ি ফিরে তারা দেখলো, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা। ঘরের সব দামি জিনিস, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, গয়না চুরি হয়ে গেছে। ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা। বাইরে টেবিলে একটি খাম পড়ে আছে। তাতে লেখা, ‘সিনেমা কেমন দেখলেন? গাড়িটা আবার চুরি করে নিয়ে গেলাম। আপনি কেন গাড়ির লক আর চাবি বদলাতে ভুলে গেলেন? ওদিকে বাসা একেবার ফাঁকা রেখে কেউ সিনেমা দেখতে যায়? দেখলেন তো, এতটুকু বোকামির জন্য কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

Ξ দুই অর্থনীতিবিদ, একজন অভিজ্ঞ ও অন্যজন অনভিজ্ঞ, কোন এক বিকেলে পথ ধরে হাঁটছিলেন। দেখতে দেখতে তাঁদের সামনে পড়লো একটা গোবরের স্তুপ।
অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ বললেন, ‘তুমি যদি স্তুপে থাকা গোবর খেতে পারো তা হলে তোমাকে আমি বিশ হাজার ডলার দেব।’
অনভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ চিন্তা করে দেখলেন, গোবর খেয়ে যদি বিশ হাজার ডলার পাওয়া যায় তো এই দুর্মূল্যের বাজারে তাই বা কম কিসের। অনেক লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে শেষমেষ তিনি গোবর খেয়ে প্রতিশ্রুত অর্থ আদায় করে নিলেন। কিছুদূর যেতেই আরেকটা গোবরের স্তুপ তাঁদের সামনে পড়লো। এবার অনভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ বললেন, ‘তুমি যদি স্তুপে থাকা গোবর খেতে পারো তাহলে তোমাকেও আমি বিশ হাজার ডলার দেব।’ এই কথা শুনে অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ভাবলেন, কোনদিনতো বাজিতে হারিনি; কিছুক্ষণ আগে হেরে গিয়ে বিশ হাজার ডলার খোয়ালাম। বেইজ্জতের ব্যাপার! নাহ, আমাকে ঐ অর্থ ফেরত আনতেই হবে। অনেক হিসাব করে সেও স্তুপে থাকা গোবর খেয়ে বিশ হাজার ডলার ফিরে পেলেন। চলার পথে অনভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ আক্ষেপের সুরে বলছেন, ‘খামোখাই কিন্তু আমরা গোবর খেলাম।
আমাদের দু’জনের অর্থের অবস্থা আগের মতোই; কোন উন্নতিই হয়নি, একদম অপরিবর্তনীয়।’
অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ একটা বিজ্ঞের হাসি দিয়ে জানান দিলেন, ‘উন্নতি হয়নি মানে? এরইমধ্যে ৪০ হাজার ডলারের মতো অর্থের লেনদেন হয়েছে, সেটা কি কম কথা ?’

Ξ ছোট্ট অন্তুকে ক্লাসে তার ম্যাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলো তো আমি তোমাকে একটা আপেল, আরেকটা আপেল, এবং আরেকটা আপেল দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা আপেল হলো?’
‘চারটা ম্যাম।’
ম্যাম ভাবলেন অন্তু হয়ত শুনতে একটু গড়বড় করে ফেলেছে। তাই তিনি আবার বললেন, ‘ভাল করে শুনে বলো অন্তু। আমি তোমাকে একটা আপেল, আরেকটা আপেল এবং আরেকটা আপেল দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা আপেল হলো?’
অন্তুও একটু ভেবে আবারো বলল,
‘চারটা ম্যাম ।’
কিন্তু সে দেখল তার ম্যামের মনটা খারাপ হয়ে গেলো। সেও বুঝতে পারছে না, কি ভুল সে করছে। ম্যাম অন্তুর কাছ থেকে এরকম উত্তর আশা করে নাই। তিনি ভাবলেন, অন্তুর হয়ত আপেল পছন্দ না, তাই সে ভুলভাল উত্তর দিচ্ছে।
এবার তিনি ভাবলেন আপেলের বদলে অন্য কিছু বলবেন। আচ্ছা অন্তু, আমি তোমাকে একটা লিচু, আরেকটা লিচু
এবং আরেকটা লিচু দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা লিচু হলো?’
‘তিনটা ম্যাম।’
‘এইতো ঠিক হয়েছে। ভেরি গুড! তাহলে আপেলের বেলায় তুমি চারটা বলছিলে কেন?’
‘বারে! আমি তো ঠিকই বলেছি। বলতে বলতে সে ব্যাগের চেইন খুলে একটা আপেল বের করল যেটা তার মা আজকে টিফিন হিসাবে দিয়ে দিয়েছে। সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না, তার ভুল কোথায়!’

Ξ টনি ব্লেয়ার একবার আমেরিকায় সফরে গেলেন। হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বুশ ব্লেয়ারের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করলেন।
খাওয়ার সময় ব্লেয়ার বুশের সাথে হাসিঠাট্টা করতে করতে বুশকে একটা ধাঁধা জিজ্ঞেস করলেন,‘আমার বাবা মায়ের একটা সন্তান, কিন্তু সে আমার ভাইও না বোনও না; বলেন তো মিস্টার প্রেসিডেন্ট সে কে?’
বুশ উত্তর দিতে পারলেন না। তখন ব্লেয়ার জবাব দিলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ওটা হলো আমি।’
বুশ খুব মজা পেলো। সে ঠিক করলো সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাথে দেখা হলে তাকে এই ধাঁধা জিজ্ঞেস করে জব্দ করবে! বেটা ক্লিনটন খালি জ্ঞানের বাহাদুরি দেখায়। এরমধ্যে এক অনুষ্ঠানে বুশের সাথে ক্লিনটনের দেখা হলে বুশ তাকে ধাঁধাটি জিজ্ঞেস করলো।
ক্লিনটন একটু চিন্তা করে জবাব দিলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ওটা হলো আপনি।’
এবার বুশ অট্টহাসি দিয়ে বললেন, ‘হয়নি মিস্টার ক্লিনটন, এর উত্তর হলো টনি ব্লেয়ার!’

Share.

মন্তব্য করুন