বিশ্রাম মানুষের অন্যতম প্রয়োজন। আর বিশ্রামের জন্য মানুষকে প্রথমত বসতে হয়। বসার জন্য ব্যবহার হয় অনেক ধরনের আসবাব। তবে এ ক্ষেত্রে চেয়ারই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ কথা সবাই বলবে। তবে এই চেয়ার কিন্তু বাংলা শব্দ নয়। ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা কেদারা। বাংলায় কেদারা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা cathedra থেকে। আর এই চেয়ার কিন্তু সবসময় একরকম ছিল না। সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়েছে এর ধরন ও মান। ব্যবহারের ধরন ও বসার সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন নকশার ও আকারের চেয়ার দেখ যায়। চেয়ার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। চেয়ার সাধারণত কাঠ, ধাতু এবং অন্যান্য শক্ত জিনিস হতে তৈরি হয়। এ ছাড়াও কোন কোন সময় চেয়ার তৈরিতে একাধিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, চেয়ারের পা কাঠ নির্মিত এবং বসার স্থান ও হেলান দেয়ার অংশ প্লাস্টিক দ্বারা নির্মিত হতে পারে। চেয়ার কাঠ, ধাতু, প্লাস্টিক বা অন্যান্য উপকরণ বা হার্ড পৃষ্ঠতলের কিছু বা সব হার্ড পৃষ্ঠতলের থাকতে পারে অথবা গৃহসজ্জার সামগ্রী অথবা প্যাডিং এর সঙ্গে আবৃত করা হতে পারে।  ছাড়াও বিভিন্ন চেয়ার তৈরিতে লৌহ, অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের আজকের আলোচনা বায়োনিক চেয়ার নিয়ে। এখন যুগ হচ্ছে ওয়্যারেবল ডিভাইসের। ডিজিটাল ডিভাইস এখন মানুষ পরিধানে অভ্যস্ত। তা সেটা স্মার্ট চশমা হোক, কিংবা স্মার্ট ফোন। তাই বলে চেয়ার? হ্যাঁ, একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কিন্তু এমন চেয়ারই উদ্ভাবন করেছে। শুধু তাই-ই নয়। তারা ইতোমধ্যেই এটি বাজারে আনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহও করে ফেলেছে।
অ্যাস্ট্রাইড বায়োনিক্স নামের এই স্টার্টআপ ‘লেক্স’ নামের বায়োনিক চেয়ার তৈরি করেছে, যা শরীরের একটি অঙ্গের মতোই ঝুলে থাকবে। আর যখন খুশি, যেখানে খুশি এক দণ্ড বসতে পারবে। তা সেটা বাস স্টেশন হোক, কিংবা টিকিট কাটার লাইন, তোমার ‘সিট’ নিশ্চিত করতে অ্যাস্ট্রাইড বায়োনিক্স আবিষ্কার করেছে লেক্স। লেক্স বেল্টের সাহায্যে কোমর থেকে ঝুলতে থাকবে। দুটি অ্যালুমিনিয়ামের পা পেছন দিকে ঝুলে থাকবে, অস্বস্তি বলতে এটুকুই। যদি কেউ এই অংশটুকু সহজে মেনে নিতে পারে, তবে তার জন্য ক্লান্ত হওয়ার সুযোগ কম। কেননা যখনি ক্লান্ত বোধ করবে তখনি চাইলেই বসতে পারবে। তবে আমাদের দেশে এখনো এটা এসে পৌঁছেনি। সুতরাং একটু অপেক্ষা কিন্তু করতেই হবে!

Share.

মন্তব্য করুন