নদীর বহমান পানির দৃশ্য, আর তাতে সাঁতার কাটা অনেক মজার একটা অনুভূতি। শৈশবে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অপরূপ স্মৃতি সত্যিই অনেক মজাদার।
যদি এমন হয় যে, নদীতে ডুব দিলে আর যখন ভেসে উঠে দেখলে তোমার গায়ে কিছুই নেই, শুধু হাড়গুলো ছাড়া। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? এমন আশ্চর্য এক নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যে নদীতে ডুব দিলেই একেবারে গোশত ছাড়া কঙ্কাল হয়ে উঠতে হবে! আমরা কখনও এমনটি ভাবতেও পারবো না। ঘটনাটি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর পড়ে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। নদীটি স্পেনে অবস্থিত। স্প্যানিশ উচ্চারণ (ri.o tinto) এর মানে হলো লাল নদী। রিও টিন্টো নদীর একটি অনন্য লাল এবং কমলা রঙ আছে। দক্ষিণ পশ্চিম স্পেনের একটি নদী যা আন্দালুসিয়ার সিয়েরা মোরেন পাহাড়ে থেকে বয়ে চলছে।
এটি সাধারণত দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে হুয়েল ভাতে কাদিজ উপসাগরে পৌঁছায়। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০০ মাইল (৬২ কিলোমিটার)। প্রাচীনকাল থেকেই, কপার, রুপা, সোনা এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের জন্য নদীর তীরে খনন করা হয়েছে। জানা গেছে, স্পেনের ‘রিও টিনটো’ নামের এই নদীর পানির অত্যন্ত আম্লিক (pH-1.7-2.5) যা ভারি ধাতু সমৃদ্ধ। ওই নদীর জলে রয়েছে প্রচুর ফেরিক আয়রন। সে কারণেই নদীর পানি অত্যন্ত ভয়ানক।
স্পেনের দক্ষিণ পশ্চিম দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটির উৎস আন্দালুসিয়া পর্বতে। জানা যায়, এই নদীটি মাইন খননের সময় উৎপন্ন হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে এখান হতে কপার তোলা হয়েছে। প্রায় ৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে, আইবেরিয়ানস এবং টারার্টেসিয়ানরা প্রথম নদীর তীর খনন শুরু করে। এরপরে একে একে আসে গ্রিক, রোমান ভিজিগথস এবং মুরসরা।
এরপরে দীর্ঘ সময় খনিগুলো পরিত্যক্ত থাকার পরে ১৫৫৬ সালে একে আবার পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। এবং ১৭২৪ সালে স্পেনের সরকার এখানে আবার খনিজ পদার্থ উত্তোলন শুরু করেন। এই নদী খননের প্যাটার্ন অর্থাৎ নদীটি এতোটাই দৃষ্টি নন্দিত যে, এটি দেখলে মনে হবে চাঁদের ভূমি। তবে দেখতে যতই সুন্দর হোক, এটাকে স্পর্শ করলেই মহাবিপদ! একেবারে কঙ্কাল হতে হবে। এই নদীর পানিতে অক্সিজেন নেই এবং এর পানি খুব অম্লীয় এবং ভারী ধাতু সমৃদ্ধ। নদীর পানিতে রয়েছে প্রচুর ফেরিক আয়রন। এই কারণে নদীটি এত ভয়ঙ্কর।
নদীর বহমান পানির দৃশ্য, আর তাতে সাঁতার কাটা অনেক মজার একটা অনুভূতি। শৈশবে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অপরূপ স্মৃতি সত্যিই অনেক মজাদার। যদি এমন হয় যে, নদীতে ডুব দিলে আর যখন ভেসে উঠে দেখলে তোমার গায়ে কিছুই নেই, শুধু হাড়গুলো ছাড়া। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? এমন আশ্চর্য এক নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যে নদীতে ডুব দিলেই একেবারে গোশত ছাড়া কঙ্কাল হয়ে উঠতে হবে! আমরা কখনও এমনটি ভাবতেও পারবো না। ঘটনাটি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর পড়ে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। নদীটি স্পেনে অবস্থিত। স্প্যানিশ উচ্চারণ (ৎর.ড় ঃরহঃড়) এর মানে হলো লাল নদী। রিও টিন্টো নদীর একটি অনন্য লাল এবং কমলা রঙ আছে। দক্ষিণ পশ্চিম স্পেনের একটি নদী যা আন্দালুসিয়ার সিয়েরা মোরেন পাহাড়ে থেকে বয়ে চলছে। এটি সাধারণত দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে হুয়েল ভাতে কাদিজ উপসাগরে পৌঁছায়। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০০ মাইল (৬২ কিলোমিটার)। প্রাচীনকাল থেকেই, কপার, রুপা, সোনা এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের জন্য নদীর তীরে খনন করা হয়েছে। জানা গেছে, স্পেনের ‘রিও টিনটো’ নামের এই নদীর পানির অত্যন্ত আম্লিক (ঢ়ঐ-১.৭-২.৫) যা ভারি ধাতু সমৃদ্ধ। ওই নদীর জলে রয়েছে প্রচুর ফেরিক আয়রন। সে কারণেই নদীর পানি অত্যন্ত ভয়ানক। স্পেনের দক্ষিণ পশ্চিম দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটির উৎস আন্দালুসিয়া পর্বতে। জানা যায়, এই নদীটি মাইন খননের সময় উৎপনড়ব হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে এখান হতে কপার তোলা হয়েছে। প্রায় ৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে, আইবেরিয়ানস এবং টারার্টেসিয়ানরা প্রম নদীর তীর খনন শুরু করে। এরপরে একে একে আসে গ্রিক, রোমান ভিজিগথস এবং মুরসরা। এরপরে দীর্ঘ সময় খনিগুলো পরিত্যক্ত থাকার পরে ১৫৫৬ সালে একে আবার পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। এবং ১৭২৪ সালে স্পেনের সরকার এখানে আবার খনিজ পদার্থ উত্তোলন শুরু করেন। এই নদী খননের প্যাটার্ন অর্থাৎ নদীটি এতোটাই দৃষ্টি নন্দিত যে, এটি দেখলে মনে হবে চাঁদের ভূমি। তবে দেখতে যতই সুন্দর হোক, এটাকে স্পর্শ করলেই মহাবিপদ! একেবারে কঙ্কাল হতে হবে। এই নদীর পানিতে অক্সিজেন নেই এবং এর পানি খুব অম্লীয় এবং ভারী ধাতু সমৃদ্ধ। নদীর পানিতে রয়েছে প্রচুর ফেরিক আয়রন। এই কারণে নদীটি এত ভয়ঙ্কর। এই নদীর কারণেই দেশটির অনেক গ্রামও স্থানান্তর করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নদীটি বেশ কয়েকটি আস্ত পাহাড়কেও গ্রাস করেছে। তবে এখনও কিছু জীবন বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করছে এখানে। নদীর পাড়ে পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই সব ব্যাকটেরিয়া এমন কঠিন পদার্থ মিশ্রিত পানিতে বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকতে পারে। আন্দালুসিয়ার এই রিও টিনটো নদীটি এস্ট্রো জীববিজ্ঞানী ও নাসার মনোযোগকে আকৃষ্ট করেছে। নাসা বিশ্বাস করে যে মঙ্গলের ভূগর্ভস্থ এই রকম পরিবেশে ব্যাকটেরিয়াল জীবন টেকসই হতে পারে। উচ্চ অম্লতা মানুষকে এই নদীর পানি থেকে দূরে রাখলেও বিজ্ঞানীদের করেছে আকৃষ্ট। এই পানিতে এক্সট্রিমোফিল বায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া সৌরজগতের অন্যান্য অঞ্চলে পাওয়া যেতে পারে এমন ধারণা বিজ্ঞানীদের। উদাহরণস্বরূপ, বৃহস্পতির আগেড়বয়গিরি যুক্ত চাঁদ ইউরোপার পৃষ্ঠের নিচে এই রকম একটি অম্লীয় সমুদ্র আছে বলে মনে করা হয়। রিও টিনটো নদীর ব্যাকটেরিয়া আয়রন এবং ভূগর্ভের পাথরে থাকা সালফাইড খনিজ পদার্থ খেয়ে বেঁচে থাকে। নদীটি এতোটাই দৃষ্টিনন্দন যে দেখলে মনে হবে এটি অন্য কোনো গ্রহের নদী।এই নদীর কারণেই দেশটির অনেক গ্রামও স্থানান্তর করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নদীটি বেশ কয়েকটি আস্ত পাহাড়কেও গ্রাস করেছে। তবে এখনও কিছু জীবন বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করছে এখানে। নদীর পাড়ে পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই সব ব্যাকটেরিয়া এমন কঠিন পদার্থ মিশ্রিত পানিতে বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকতে পারে।
আন্দালুসিয়ার এই রিও টিনটো নদীটি এস্ট্রো জীববিজ্ঞানী ও নাসার মনোযোগকে আকৃষ্ট করেছে। নাসা বিশ্বাস করে যে মঙ্গলের ভূগর্ভস্থ এই রকম পরিবেশে ব্যাকটেরিয়াল জীবন টেকসই হতে পারে। উচ্চ অম্লতা মানুষকে এই নদীর পানি থেকে দূরে রাখলেও বিজ্ঞানীদের করেছে আকৃষ্ট। এই পানিতে এক্সট্রিমোফিল বায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া সৌরজগতের অন্যান্য অঞ্চলে পাওয়া যেতে পারে এমন ধারণা বিজ্ঞানীদের। উদাহরণস্বরূপ, বৃহস্পতির আগ্নেয়গিরি যুক্ত চাঁদ ইউরোপার পৃষ্ঠের নিচে এই রকম একটি অম্লীয় সমুদ্র আছে বলে মনে করা হয়।
রিও টিনটো নদীর ব্যাকটেরিয়া আয়রন এবং ভূগর্ভের পাথরে থাকা সালফাইড খনিজ পদার্থ খেয়ে বেঁচে থাকে। নদীটি এতোটাই দৃষ্টিনন্দন যে দেখলে মনে হবে এটি অন্য কোনো গ্রহের নদী।

Share.

মন্তব্য করুন