আল মাহমুদের ৮৪তম জন্মোৎসবআল মাহমুদের ৮৪তম জন্মোৎসব
আল মাহমুদ বেঁচে থাকবেন তাঁর কবিতায়। বাংলা ভাষা এবং বাংলা কবিতা যতোদিন থাকবে ততোদিন শ্রদ্ধাভরে উচ্চারিত হবে ‘সোনালী কাবিনে’র কবির নাম। কবির ৮৪তম জন্মদিনে এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন তাঁর উত্তরসূরী কবিগণ। কাঁটাবনের কবিতা ক্যাফেতে এ উপলক্ষে কবিতার কাগজ ‘কবি এবং কবিতা’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘আল মাহমুদ উৎসব’এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিস্বত্ত্বার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি জাহিদুল হক আর সভাপতিত্ব করেন ‘কবি এবং কবিতা’র সম্পাদক কবি শাহীন রেজা। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ এবং কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। কবি ও কণ্ঠশিল্পী পলি রহমানের কণ্ঠে কবির ‘এই শহরে একটি মেয়ে’ এবং নব্বই দশকের অন্যতম কবি কামরুজ্জামানের কণ্ঠে ‘সোনালী কাবিন’র ১ম ও ২য় কবিতা দু’টি আবৃতির মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজনটির সঞ্চালক ছিলেন আল মাহমুদের ঘনিষ্ঠজন তারুণ্যের কবি জাকির আবু জাফর। তুমুল বৃষ্টিভেজা দিনে কাকভেজা হয়ে উৎসবে হাজির কবিগণ কবিকে স্মরণ করেন স্মৃতিতে ও কবিতায়। স্মৃতির ঝাঁপি নিয়ে হাজির হন কবি মুজতাহিদ ফারুকী, কবি রফিক হাসান , কবি হাসান মাহমুদ, ড. ফজলুল হক তুহিন, কবি আবিদ আজম, বাদল চৌধুরী, সোমা খান, জান্নাতুন নেছা প্রমুখ। নিবেদিত কবিতা এবং ছড়া পাঠ করেন কবি তারেক মাহমুদ, কবি ফরিদ ভূঁইয়া, ছড়াকার জগলুল হায়দার, মামুন সারওয়ার, তাহমিনা বেগম, শিফফাত শাহরিয়ার প্রমুখ। কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, আল মাহমুদ কবিতার মানুষ ছিলেন। তাঁর কাছে কবিতাই ছিল মুখ্য। রাজনৈতিকভাবে কেউ কেউ তাকে ব্যবহার করতে চেয়েছেন এটা সত্য তবে তিনি চিরকালই তাঁর কবিতার আদর্শে অটুট ছিলেন। তিনি বলেন, যে কবি যত বেশী আলোচনায় থাকেন তিনি তত বেশী সফল।
কবি জাহিদুল হক বলেন, বাংলা কবিতায় গ্রামীণ এবং নাগরিক চেতনার মিশেলে এক নতুন ধারা রচনা করে গেছেন আল মাহমুদ। ছন্দের চালে কিভাবে আধুনিক হৃদয়কে বশ করতে হয় তা শিখিয়ে গেছেন তিনি। কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, কোন বিভাজন কবিকে স্তব্ধ করে রাখতে পারে না। একজন কবির যাত্রা কাল এবং সময়কে অতিক্রম করে এগিয়ে চলে অনন্তের পথে। আল মাহমুদ সেই যাত্রী যিনি শেষ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন তাঁর কবিতা দিয়েই, অন্য কিছু দিয়ে নয়।
কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, আল মাহমুদ সহজ সরল শব্দ এবং বাক্য দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তাকে নিয়ে দ্বন্দ্ব বিভাজন থাকলেও ওপার বাংলায় তিনি এককভাবে উচ্চারিত। এটাই কবি আল মাহমুদের সাফল্য। সভাপতির বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, আল মাহমুদ শনাক্ত হয়েছেন তাঁর কবিতায়। কালের অমর পাতায় তার কীর্তি লিপিবব্ধ হয়ে থাকবে সোনালী হরফে।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮০তম জন্মদিন উদযাপিতআবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮০তম জন্মদিন উদযাপিত
গত ২৫ জুলাই ২০১৯ ছিলো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সমাজসংস্কারক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, লেখক, টিভি ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজকর্মী এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮০তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দেশের নানান শ্রেণী-পেশার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। কিশোর পাতার পক্ষে তাঁর হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পত্রিকার সহকারী সম্পাদক মোস্তফা মাহাথির, বিপণন ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান ও গল্পকার শেরিফ ফারুকী। ১৯৩৯ সালের এই দিনে কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
১৯৭৮ সালে তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত মূলত বইপড়া কর্মসূচির মাধ্যমে। তিনি বাংলাদেশের হাজার হাজার স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন।
গ্রন্থনা : সাকিব হাসান

Share.

মন্তব্য করুন