গ্রামের এক ভদ্রলোক দীর্ঘদিন ধরে কবিতা চর্চা করছেন, কিন্তু কোথাও তার লেখা ছাপা হচ্ছে না। পাশের বাড়ির মেট্রিক ফেল করা ছেলেটি তাকে ফেসবুকে একটি আইডি খুলে দিয়ে বলেছে, ‘আঙ্কেল আপনার লেখা কোথাও ছাপা না হলেও ক্ষতি নেই। এখন থেকে ফেসবুকে লিখবেন। সারা বিশ্বের মানুষ দেখবে, পড়বে।’
: তাই বুঝি!
: হ্যাঁ।
ভদ্রলোক নিয়মিত ফেসবুকে লিখছেন। তার কবিতায় লাইক সংখ্যা কেবল বাড়ছেই! কমেন্ট পড়ছে, ‘ওয়াও, নাইস,
চমৎকার…।’
একদিন একটি কমেন্ট পড়ে তিনি নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলেন না। এক ছুটে চলে গেলেন পত্রিকা অফিসে,
তারপর সরাসরি সম্পাদক সাহেবকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আপনারা আমার কবিতা নাইবা ছাপলেন, কিন্তু আমি
আপনাদের চেয়ে বড় কবি।’ এরপর নানান জনকে তিনি সেই কমেন্ট দেখালেন। হাই ইশকুল পড়ুয়া এক ছেলে বললো, ‘আঙ্কেল, কী কমেন্ট দেখি।’
: এই দ্যাখো, ‘বিদ্রোহী নজরুল’ আমার কবিতা সম্পর্কে কী বলেছেন!
: আঙ্কেল, এটা তো ফেইক আইডি! আর রিয়েল বিদ্রোহী নজরুল, মানে কাজী নজরুল ইসলামও তো এখন বেঁচে নেই!

একটি ছেলে ভুল করে পেট্রল খেয়ে ফেলেছে। তো সে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। তখন তার বাবা মা হাঁপাতে হাঁপাতে ডাক্তারের কাছে গেল।
ডাক্তার : আাপনি এত হাঁপাচ্ছেন কেন?
বাবা : ডাক্তার, আমার ছেলে পেট্রল খেয়ে ফেলেছে।
ডাক্তার : তো?
বাবা : সে এখন ছোটাছুটি করছে। আপনি কিছু করুন।
ডাক্তার : চিন্তা করবেন না। পেট্রল শেষ হলে সে আপনাআপনিই থেমে যাবে!

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে
১ম বন্ধু : কিরে, আজকে না আমাদের দশম শ্রেণির সাথে ঝগড়া করার কথা। তা তুই আসলি না কেন?
২য় বন্ধু : আর বলিস না। একটা বিপদে ছিলাম তাই আসতে পারি নাই।
১ম বন্ধু : কিসের বিপদ আবার?
২য় বন্ধু : আর বলিস না। ক্লাস ফাইভের কিছু ছেলে বাড়ির সামনে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তাই আসতে পারি নাই!

অভিষেক টেস্টে ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে খেলছিলেন বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ পাইলট। ভারতীয় দলের সৌরভ গাঙ্গুলি বললেন, এত বিরক্তিকর ব্যাটিং কোথায় শিখলে?
মুচকি হেসে পাইলট বললেন, তোমাদের সুনীল গাভাস্কারের কাছ থেকে। সে তো পুরো ৬০ ওভার টিকে থেকে ১৭৪ বল খেলে ৩৬ রান করেছিলো!

এক গ্রামে দাওয়াতে ক্রিকেট খেলতে গেল দুটি নামকরা দল। গিয়ে দেখল ক্রিকেট খেলার মতো সবই আছে গ্রামে। মাঠ। পিচ। বাউন্ডারি রোপ। স্কোরবোর্ড। নেই কেবল আম্পায়ার। আম্পায়ার ছাড়া ক্রিকেট ম্যাচ কেমন করে হয়? গ্রামেরই এমন একজনকে আম্পায়ার বানিয়ে দেয়া হলো, ক্রিকেট সম্পর্কে যার কোনো জ্ঞানই নেই। এক দলের ক্যাপ্টেনের কাছে গিয়ে নব্য আম্পায়ার বলল, ‘আমাকে একটু খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিন।’
ক্যাপ্টেন বলল, ‘নিয়মকানুন খুবই সহজ। এখন আমাদের দল বল করবে। আমাদের ফিল্ডাররা যখন সবাই হাউজ দ্যাট বলে চেঁচিয়ে উঠবে, তখন তুমি তোমার এক আঙুল উঁচিয়ে হাতটা তুলে ধরবে। এখন আপাতত এ পর্যন্তই শিখে রাখো। আমরা যখন ব্যাটিংয়ে নামবো, তখন বাকিটুকু শিখিয়ে দেবো।’

প্রথম বন্ধু : পুলিশের হাতে মার খেতে খেতে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে গেলো।
দ্বিতীয় বন্ধু : কেন রে, তুই চোর নাকি!
প্রথম বন্ধু : আরে না। বাবা পুলিশ অফিসার

Share.

মন্তব্য করুন