চট্টগ্রামে দেখা মিললো একদল দুরন্ত কিশোরের। আবিষ্কারের নেশা যাদের চোখেমুখে! এই নেশা থেকেই তারা গঠন করেছে হোয়াইট বোর্ড সায়েন্স ক্লাব। এই ক্লাবের আয়োজনে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি এবং সাউথ এশিয়ান কলেজ ল্যাবরেটরিতে গত ২২ (মে ২০১৯) তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী টিন এজার বায়োটেকনোলজি সামার স্কুল। সহযোগিতায় ছিল ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ ও দৃষ্টি চট্টগ্রাম। সামার স্কুলের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এসএম রফিকুল ইসলাম এবং প্রাণীবিজ্ঞানী ও গবেষক, অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া।
টিন এজার বায়োটেকনোলজি সামার স্কুলে গিয়ে দেখা গেলো, খুদে বিজ্ঞানীরা কেউ ডিএনএ দেখছে টেস্ট টিউবে, কেউ প্রোটিনের রঙ পরিবর্তন দেখছে ল্যাবরেটরিতে আবার কেউ স্লাইড বানাচ্ছে মনের আনন্দে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে জীবপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তারা এই সামার স্কুলের আয়োজন করে। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রায়নোলজি বিভাগের প্রধান ডা. ফারহানা আকতার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. আদনান মান্নান। বক্তব্য রাখেন হোয়াইট বোর্ড সায়েন্স ক্লাবের সাইয়েদ সাগর, আদিল রায়হান, মাহির আজরাফ, নাফিস রায়হান ও ওয়ালিদুর রহমান।
আবুল মোমেন বলেন, ‘এই সময়ে পৃথিবীতে এগিয়ে যেতে হলে একদিকে যেমন ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে অন্যদিকে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে দক্ষ নাগরিক তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানে আগ্রহ তৈরি করতে হলে অনেক বেশি হাতে-কলমে শিক্ষা তথা প্রায়োগিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মশালায় নিউরোসায়েন্স, বায়োটেকনোলজি ও বিবর্তন, হরমোনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তানভীর এহসান ফাহিম ও মাহবুব হাসান এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আমির হোসেন সৈকত। পরে ডিএনএ, জিন ও বংশগতি, জীব প্রযুক্তির পদ্ধতিগুলো এবং এর প্রয়োগ নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন মাহাদিয়া কুমকুম, আফরোজা আক্তার, সৈয়দ লোকমান, আসমা সালাউদ্দিন ও রক্তিম বড়ুয়া। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ জন শিক্ষার্থী।

Share.

মন্তব্য করুন