তাঁর ছড়ায় জীবনের আবেগ-অনুভূতি, জীবনবোধ, প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যে হারিয়ে যাওয়ার আবেগঘন আকুলতা,
রাজনৈতিক ভন্ডামি, ইতিহাসচেতনা ও
জীবনবাস্তবতা তীব্রশ্লেষে হয়ে ওঠে উপভোগ্য। তা
ছাড়া ব্যক্তিঅনুভূতির আশ্চর্য মধুর শিল্পরূপের
কারণে আল মাহমুদের ছড়া এদেশের শিশু-কিশোরদের কাছে খুবই সুখপাঠ্য ও সুপ্রিয়।

আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। আবহমান বাংলা কাব্যের ধারায় তিনি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমদ, শামসুর রাহমান প্রমুখ দিকপাল কবির মতো আর এক দিকপাল কবি আল মাহমুদও বাংলা ছড়া এবং শিশুসাহিত্যে করেছেন স্বচ্ছন্দ বিচরণ। তাঁর ছড়া কবিতা প্রাচীন লোকছড়ার রীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, আধুনিক ছড়া সাহিত্যের দিক-নির্দেশক। তাঁর ছড়ায় জীবনের আবেগ-অনুভূতি, জীবনবোধ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যাওয়ার আবেগঘন আকুলতা, রাজনৈতিক ভন্ডামি, ইতিহাসচেতনা ও জীবনবাস্তবতা তীব্রশ্লেষে হয়ে ওঠে উপভোগ্য। তা ছাড়া ব্যক্তিঅনুভূতির আশ্চর্য মধুর শিল্পরূপের কারণে আল মাহমুদের ছড়া এদেশের শিশু-কিশোরদের কাছে খুবই সুখপাঠ্য ও সুপ্রিয়। তবে তাঁর ছড়া-কবিতা কাব্যিক ব্যঞ্জনা, বুদ্ধিদীপ্ততা ও পান্ডিত্যের কারণে অনেকাংশে শিশুবোধ্য নয়।
ছড়া বাংলা লোকসাহিত্যের আদিতম শাখা। প্রাচীন ছড়া সৃষ্টির পেছনে সমষ্টিমনের প্রভাব কার্যকর। ওই ‘ছড়ার’ বৈশিষ্ট্য নিরূপণে দেখা যায় (১) ছড়ায় ভাবের দিক থেকে তেমন কোনো পরিণতি নেই, (২) এতে ভাবের অস্পষ্ট আভাস ও দুর্লক্ষ্য ইঙ্গিত বিদ্যমান, (৩) এতে হাস্য ও ব্যঙ্গ রসেরই প্রাধান্য, (৪) এর ছন্দ-ঝঙ্কারে মন হয় বিশুদ্ধ, (৫) বুদ্ধি দিয়ে তার বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে না, (৬) নিছক আনন্দ সঞ্চারের দিকেই ছড়ার লক্ষ্য। লঘুভার, অর্থহীন, সংক্ষিপ্ত ও বিচিত্র বলে ছড়া সহজেই শিশুমনকে আকৃষ্ট করে। এক অর্থে শিশুতোষ কবিতা মাত্রকেই ছড়া বলা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘লোকসাহিত্য’ গ্রন্থে ছড়ার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন, ‘আমি ছড়াকে মেঘের সহিত তুলনা করিয়াছি। উভয়েই পরিবর্তনশীল, বিবিধ বর্ণে রঞ্জিত, বায়ুস্রোতে যদৃচ্ছ ভাসমান। দেখিয়া মনে হয় নিরর্থক। ছড়া কলাবিচার শাস্ত্রের বাহিরে, মেঘবিজ্ঞান ও শাস্ত্রনিয়মের মধ্যে ভালো করিয়া ধরা দেয় নাই। অথচ জড়জগতে এবং মানবজগতে এই দুই উচ্ছৃঙ্খল অদ্ভুত পদার্থ চিরকাল মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করিয়া আসিতেছে। মেঘ বারিধারায় নামিয়া আসিয়া শিশুশস্যকে প্রাণ দান করিতেছে এবং ছড়াগুলোও স্নেহরসে বিগলিত হইয়া কল্পনার দৃষ্টিতে শিশু হৃদয়কে উর্বর করিয়া তুলিতেছে।’ রবীন্দ্রনাথের মতেও ছড়া বিচিত্র, নিরর্থক, উচ্ছৃঙ্খল অথচ শিশুমনে আনন্দ সঞ্চার করে মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করে।
আল মাহমুদ আধুনিক কবি। তাঁর ছড়া কবির ছড়া। সাহিত্যসৃষ্টিতে ব্যক্তিসৃষ্টিতে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ছাপ থাকে। কোন লেখকই সাহিত্যতত্ত্বের ধ্রুপদী নিয়ম মানতে বাধ্য নয়। অন্তত শিল্পীর স্বাধীনতা তা মানে না। সাহিত্যপ্রকরণের ধ্রুপদী নিয়মগুলো তৈরি হয়েছে ব্যক্তি কর্তৃক সৃষ্ট কোন না কোন সৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। আমরা জানি ভাষা আগে, ব্যাকরণ পরে। ভাষা তৈরি হয়ে গেলে ব্যাকরণ তা বিচার-বিশ্লেষণ করে। এইভাবে আগে সাহিত্য পরে তার তত্ত্ব। অ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব সৃষ্টি হয়েছে ‘ইলিয়াড’ মহাকাব্য, ‘ইডিপাস’ নাটক ইত্যাদির পরে। মহাকাব্য, ট্র্যাজেডি ইত্যাদির সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য অ্যারিস্টটল আবিষ্কার করেন তাঁর কাছে যেসব সাহিত্য-নিদর্শন ছিল সেগুলো থেকেই। সাহিত্য সৃষ্টির পর তার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য নির্মিত হয় বলে তাতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের ছাপ থাকে। মহৎ সাহিত্যিক ধ্রুপদী নিয়মকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে নতুন নিয়ম তৈরির পক্ষপাতী। এ জন্য পূর্ববর্তীদের নিয়ম অবলম্বন করতে গিয়েও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ছাপে তা হয়ে যায় অন্যরকম। সাহিত্যে এর উদাহরণ অহরহ। যেমন- মুনির চৌধুরীর ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ পূর্ণমাত্রায় গ্রিক ট্র্যাজেডিও হয়নি, শেকসপিরিয়ান ট্র্যাজেডিও হয়নি। তবু তা বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় ট্র্যাজেডি নাটক। একইভাবে সনেটের প্রাকরণ মাইকেল মধুসূদনের পর রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ দাশ, আল মাহমুদ, আসাদ মান্নান প্রমুখ সনেট রচিয়তার কাছে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তাঁরা ইতালিয়ান ও প্রেত্রার্কান সনেটের নিয়ম ভেঙে লিখেছেন বাংলা সনেট। সনেটের কাঠখোট্টা নিয়ম না মেনেও আল-মাহমুদের ‘সোনালি কাবিন’ সনেটগুচ্ছ ও জীবনানন্দের ‘রূপসী বাংলা’র জনপ্রিয়তা এতটুকু বিঘ্নিত হয়নি।
আল-মাহমুদ মহৎ শিল্পী। বাংলা ছড়ায় তিনি প্রাচীন ও আধুনিক ছড়ার ধ্রুপদী নিয়মকে সচেতনভাবে উপেক্ষা করেছেন। তিনি কবিতা ও ছড়াকে আলাদাভাবে চিন্তা করেন না। এ জন্য তিনি কাব্যজীবনের প্রথম দিকে রচিত ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ রচনাটিকে ছড়ার বই বললেও পরবর্তীতে আলাদাভাবে কোনো ছড়ার বই প্রকাশ করেননি। বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের মধ্যেই তাঁর ছড়াজাতীয় রচনাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, প্রহরান্তের পাশ ফেরা’ ‘এক চক্ষু হরিণ’, ‘নদীর ভিতরে নদী’, ‘উড়াল কাব্য’, বারুদ গন্ধী মানুষের দেশ’ ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থে তাঁর অনেক ছড়া-কবিতা স্থান পেয়েছে।
আধুনিক ছড়াকারদের তিনি ছড়াকার হিসেবে আখ্যায়িত করার পক্ষপাতীও নন। তাঁর ছড়া চটুল ভাব, চটুল ভাষা, সরল বোধ্যতা, স্বরবৃত্তের চঞ্চল নৃত্যেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়; তাতে আছে গভীর জীবনবোধ ও কাব্যিক দুরূহতার সমাবেশ। যা ছড়ার সাময়িক আনন্দকে ছাড়িয়ে শাশ্বত কাব্যবোধের দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আল মাহমুদ মূলত ছড়ার পরিধি শাশ্বত কাব্যবোধের দিকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। আল মাহমুদ মূলত ছড়ার পরিধি ও নিয়মকে সম্প্রসারিত করে কবিতা ও ছড়ার পার্থক্য বিলীন করতে চেয়েছেন। ফলে তাঁর ছড়া-কবিতা নিছক শিশু-কিশোরদের সুখপাঠ্য হয়ে ওঠেনি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে পরিণত বয়সের পাঠকের অনুধাবনের উপযুক্ত।
আল মাহমুদের ছড়ার বই ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ ১৯৮০ সালে প্রকাশিত। বইটির কবিতাগুলো ১৯৬৪-১৯৭০ এ রচিত হয়। বইটি দেরিতে প্রকাশিত হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক বিপর্যয় দায়ী। সুমিতা চক্রবর্তী এ বই সম্পর্কে লিখেছেন, ‘বইটিকে আল্ মাহমুদ ছড়ার বই বললেও সবগুলো রচনাই ছড়া-জাতীয় নয়।
ছোটদের জন্য কবিতার বই বলা ভালো। ছোটদের কবিতার সাজ (পোশাকে দেখা দিলেও রচনাগুলো অনেকটাই বড়দের জন্য।’ ‘উপমা’ আল মাহমুদ সংখ্যা, পৃষ্ঠা-৫২, সম্পাদক-মুহাম্মদ নিযামুদ্দীন, প্রকাশকাল ১৯৯৪। এ সম্পর্কে মুহাম্মদ নিযামুদ্দীন বলেন, ‘আল্ মাহমুদের একটি কিশোর কাব্যগ্রন্থের নাম ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’। (‘আল্ মাহমুদের চিন্তায়-চর্চায় চট্টগ্রাম’-মুহাম্মদ নিযামুদ্দীন-পুবাকাশ, পৃষ্ঠা-৪০ প্রথম সংখ্যা, জুলাই ২০০৬)। আমরা ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ বইটিকে একক অর্থে ছড়াও বলি না, কিশোর কাব্যগ্রন্থও না। শিশুতোষ বা ছোটদের জন্য কবিতার বই বলেও সিদ্ধান্ত দিই না। এই বই-এ পাঁচটি ছড়া আছে। ‘ছড়া’ শিরোনামে দু’টি, ঊনসত্তরের ছড়া ‘১ ও ২ দুটি; আর একটা ‘ঝালের পিঠা’-এ পাঁচটি ছড়া পাঠ করে বোঝা যায়- ‘ছড়ার চেয়ে বেশি কিছু। দ্বিতীয় ‘ছড়া’-তে
‘চাকমা মেয়ে রাকমা
ফুল গোঁজে না কেশে
কাপ্তাইয়ের ঝিলের জলে
জুম গিয়েছে ভেসে।’ (দ্বিতীয় ‘ছড়া’-পা.কা.ফু.কা)।
এতে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ঝিলের জলে তলিয়ে পড়া ইতিহাস ও লোকালয়ের আর্তি অসাধারণ ব্যঞ্জনায় ফুটে ওঠে। ‘ঊনসত্তরের ছড়া-১’ এ তৎকালীন পাক-সরকারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিময় চেতনাকে ছড়ার ছদ্মবেশে ব্যক্ত করা হয়েছে-
‘ট্রাক! ট্রাক! ট্রাক!
ট্রাকের মুখে আগুন দিতে
মতিয়ুরকে ডাক।
কোথায় পাবে মতিয়ুরকে
ঘুমিয়ে আছে সে!
তোরাই তবে সোনামানিক
আগুন জ্বেলে দে।’-ঊনসত্তরে ছড়া-১’ পা. কা. ফু. কা)।
‘ঝালের পিঠা’য় হা-ভাতে মানুষের হাঁড়ির খবর
অনিন্দ্যসুন্দর কাব্যিক উচ্চারণে হয়েছে ব্যক্ত!
কোথায় পাব লঙ্কাবাটা
কোথায় আতপ চাল,
কর্ণফুলীর ব্যাঙ ডাকছে
হাঁড়িতে আজকাল।– (‘ঝালের পিঠা’-পা.কা.ফু.কা)।
এ বইয়ের ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে,’ ‘পাখির মতো,’
‘ভরদুপুরে’, ‘রাত দুপুরে’, ‘আমিই শুধু’, ‘আকাশ নিয়ে’,
‘নোলক’ ইত্যাদি ছড়া-কবিতায় কবিআত্মা ও
শিশু-কিশোর মনের প্রকৃতিপ্রেম, শিশু-কিশোর মনের
ভাবনা-কল্পনা সুন্দর মাধুর্যে ধরা দেয়।
আকাশ নিয়ে কবিতায়‘জলকদে
রর খাল পেরিয়ে জল পায়রার ঝাঁক
উড়তে থাকে লক্ষ্য রেখে শঙ্খ নদীর বাঁক।
মন হয়ে যায় পাখি তখন মন হয়ে যায় মেঘ
মন হয়ে যায় চিলের ডানা, মিষ্টি হাওয়ার বেগ।’
(‘আকাশ নিয়ে’-পা.কা.ফু.কা)।
এখানে প্রকৃতির সাথে বিলীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদেরও আবেগাপ্লুত করে। শিশুমনের সরল অভিব্যক্তি:
‘আম্মা বলেন পড়রে সোনা
আব্বা বলেন মন দে;
পাঠে আমার মন বসে না
কাঁঠালচাঁপার গন্ধে।
আমার কেবল ইচ্ছে জাগে
নদীর কাছে থাকতে।
বকুলডালে লুকিয়ে থেকে
পাখির মতো ডাকতে।’ -(‘পাখির মতো’-পা. কা. ফু. কা)।
ছড়ায় হরতালের চিত্র:
‘সবাই বলে ভাঙো, ভাঙো, কেউ কি কিছু ভাঙে?
ষাটের দশক বগল বাজায় বউ কেড়ে নেয় লাঙে।
ঢাকা শহর চাকার শহর টাকার শহর ভাই
বাস পুড়িয়ে লাশ পুড়িয়ে খুশির সীমা নাই।
হাপ্তা দু’দিন হরতালেতে হালকা চালে হাঁটা
কেউ রেঁধে খায় ঝাল খিচুড়ি কারো কপাল ফাটা।
রিক্সাঅলার পাম্প ছেড়ে দাও ছোড়ো বোমার ঢিল,
ধোঁয়ার মাঝে ডিসকো নাচো দোকানপাটে খিল।’
বাংলাদেশে কথায় কথায় হরতাল আর তার ফলে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগের চিত্রকে এর চেয়ে আর কী রকম আনন্দায়ক করে শ্লেষের শর নিক্ষেপ করা যায় তা আমাদের জানা নেই।
ছড়ার আনন্দ সঞ্চারে তিনি সিদ্ধহস্ত। ছড়াকে তিনি ছোটদের জন্য নির্দিষ্ট না রেখে বড়দেরকেও এর সাথে সম্পৃক্ত করে শিল্পের (ছড়াশিল্পের) সীমাবদ্ধতাকে ব্যাপকতর করেছেন। যেসব পাঠক লঘুভার, চটুল অর্থহীন ও ছেলেভোলানো বলে ‘ছড়া’ পাঠে অনীহা প্রকাশ করেন, আল মাহমুদ তাদেরকেও ছড়াসাহিত্যে আগ্রহী করে তোলেন। কেননা তাঁর ‘ছড়া’ কবিতার মতোই কাব্যিক দুরূহতা ও গভীর জীবনবোধে সমৃদ্ধ।
ছড়ার ছন্দের সার্থক প্রয়োগ এবং অন্ত্যমিলের মুন্সিয়ানা তাঁকে একজন ব্যতিক্রমধর্মী ছড়াশিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করে। নিছক উদ্দেশ্যবিহীন, লঘুভার আনন্দ সঞ্চারের পক্ষপাতী (ছড়ায়) তিনি নন। তাঁর এ জাতীয় রচনার সিংহভাগ শিশুবোধ্য নয়। বলা বাহুল্য যে, অন্ত্যমিল দিয়ে পাঠকহৃদয়কে অপূর্ব ব্যঞ্জনায় নাড়া দেয়া তাঁর স্বভাবজাত। সুতরাং তাঁর ছড়াজাতীয় রচনা অধ্যয়ন করে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সক্ষম হই যে, আল মাহমুদ ব্যতিক্রমধর্মী ছড়াশিল্পী।

Share.

মন্তব্য করুন