ছোট সোনামণিদের অন্তরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কেন তাঁকে দুখু মিয়া বলে? পড়াশোনা শেষ না করেও কিভাবে তিনি এতবড় কবি হলেন? তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেও কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হলেন? তাঁকে সবাই বিদ্রোহী কবি বলে ডাকে। বড়দের নিয়ে কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখেছেন। তবে তিনি কি ছোটদের নিয়ে কিছু লিখেছেন? এমন অনেক প্রশ্ন সোনামণিদের মনে সবসময় উঁকি মারে। আমরা এখানে সোনামণিদের নিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো। ভাসা ভাসা টানা টানা চোখ ও শ্যামল বর্ণের এবং বড় হয়ে যিনি বাবরি চুল রাখলেন তিনিই কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ১৮৯৯ সালের ২৫ মে (১৩০৪ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) জন্মগ্রহণ করেন পরাধীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায়। তাঁর বাবার নাম কাজী ফকির আহমদ এবং মায়ের নাম জায়েদা খাতুন।
জন্মের সময় কিন্তু তাঁকে কাজী নজরুল ইসলাম ডাকা হতো না। জন্মের পর নাম রাখার সময় সবাই মিলে তাঁকে দুখু মিয়া নাম দেন। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কারো নাম কী করে দুখু মিয়া হয়? আসল ঘটনা হলো তাঁর বড় ভাই জন্ম নেয়ার পর আরো তিন ভাই-বোন জন্মগ্রহণ করেছিল। কিন্তু জন্মের পর পরই সবাই মারা গেল। ফলে তাঁর বাবা-মার দুঃখের সীমা থাকল না। তাই তাঁর জন্মের পর নাম রাখা হলো দুখু মিয়া, কেননা তাদের ধারণা ছিল এমন নাম রাখলে যমদূত হয়তো আর এ বাড়িতে এসে কোনো ছেলেমেয়ের প্রাণ নিবে না।
তিনি তাঁর গ্রামের মক্তবে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই প্রাইমারি স্কুল পাস করেন। এরপর ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর হাইস্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেন। কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে সেখানে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারনেনি। এরপর চলে আসেন নিজের জেলায়। কিছুদিন পরে নিজ জেলার রানীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজ হাইস্কুলে। এখান থেকে তিনি দশম শ্রেণীতে ওঠেন। কিন্তু অভাবের কারণে আবারো লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। আর তিনি কোনদিন পড়ার জন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে লেখাপড়ার চেষ্টা করার সময় যখন আর্থিক অভাবে বারবার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসছিলেন, তখন তিনি নিজের ও পরিবারের খরচ জোগাতে নানান জায়গায় কাজ নেন। এর মধ্যে আট বছর বয়সে বাবাকেও হারান। তাই মক্তবে পড়ার সময় প্রথমে আসানসোল শহরে রুটির দোকানে কাজ করেছেন। রুটির দোকানে কাজ করার ফাঁকে তিনি রাতে দোকানের খুঁটিতে হেলান দিয়ে পুঁথি পড়তেন। যখন বারো বছর বয়স তখন তিনি লেটো দলে যোগ দিয়ে গান করেন। কখনো দলের জন্য গান লিখতেন, আবার কখনো ছোট ছোট নাটিকা লিখতেন। এভাবেই তিনি ভাত জোগাতে গিয়ে ছোটবেলা থেকে লেখক গায়ক ও অভিনেতা হয়ে ওঠেন।
লেটো দলে কাজ করার সময় লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছিল বলে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু অভাব তাঁর পিছু ছাড়েনি বলে তিনি মক্তবে পড়ার সময় স্থানীয় মসজিদে মোয়াজ্জিনের চাকরি নেন এবং নিজের মক্তবে শিক্ষকতার চাকরিও নেন। একটু বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং লাহোরে চলে যান। সেখানে থাকার সময় পৃথিবীর বিখ্যাত বই পড়েন এবং দেশে দেশে যারা নিজের মাটিকে দখলকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে লড়াই করেছে তাদের সংগ্রামীজীবন জানার চেষ্টা করলেন। বিপ্লবীদের মধ্যে তুরস্কের কামাল আতার্তুক অন্যতম। এ মহান নেতার নামে পরে তিনি একটি দীর্ঘ কবিতা লেখেন। প্রথম যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন। কিন্তু যুদ্ধে যাননি। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর চাকরি বাদ দিয়ে নিজ মাটিতে ফিরে আসেন এবং লেখালেখি শুরু করেন।
সবাইকে অবাক করে ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি মাত্র তেইশ বছর বয়সেই তাঁর বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি লিখেন। তবে তিনি শিশুদের তথা ছোটদের নিয়েও বেশ কাজ করেছেন। শিশুদের তথা ছোটদের জন্য কাজ করার ইতিহাসটিও বেশ মজার। তিনি আজন্ম গল্প করতে বেশ পছন্দ করতেন। বিশেষ করে শিশুদের সাথে বেশি মজা পেতেন কারণ শিশুরা অবাকচিত্তে কৌতূহলী মন নিয়ে নীরব শ্রোতার মতো মনোমুগ্ধকর হয়ে তাঁর গল্প শুনতো।
কুমিল্লার দৌলতপুর গ্রামের আলী আকবর খান ছিলেন কলকাতার স্কুল বইয়ের প্রকাশক ও বিক্রেতা। তাঁর সাথে নজরুলের বেশ ভালো সম্পর্ক থাকায় প্রায়ই আলী আকবর খানের বাড়ি যেতেন। আর সেখানে ছোট ছেলে-মেয়েদের সাথে কথা বলতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর গল্পের মাঝে একবার আলী আকবার নিজের লেখা একটি ছড়া শিশুদের পড়ে শোনান। আর তখন থেকেই নজরুল ছোটদের নিয়ে ভাবতে লাগলেন এবং একে একে রচনা করেন ছড়া, কবিতা, গান, নাটিকাসহ নানা মজার লেখা যা বাংলা সাহিত্যে বেশ আলোচিত।
ছোটদের জন্য লেখা কাজী নজরুল ইসলামের অন্যতম কবিতাগুলো হলো “চড়ুই পাখির ছানা”, “ঝিঙে ফুল”, “খুকী ও কাঠবিড়ালি”, “খোকার খুশি”, “খাদু-দাদু”, “দাদির বে’তে খোকা”, “মা”, “খোকার বুদ্ধি”, “খোকার গপ্প বলা”, “চিঠি”, “প্রভাতী”, “লিচু চোর”, “হোঁদল-কুৎকুঁতের বিজ্ঞাপন”, “ট্যাং-ফুলী”, “পিলে-পটকা”, “কালো জাম রে ভাই”, “কোলা ব্যাংঙ”, “তাল গাছ”, “আমি যদি বাবা হতাম বাবা হত খোকা”, “সাত ভাই চম্পা”, “শিশু যাদুকর”, “সংকল্প”, “চলব আমি হালকা চালে”, “কিশোরের স্বপ্ন”, “জিজ্ঞাসা”, “সারস পাখি”, “মাঙ্গলিক”, “লক্ষী ছেলে তাই তোলে!”, “ছোট হিটলার”, “কিশোর-স্বপন”, “নতুন পথিক”, “এস মধুমেলাতে”, “নতুন খাবার”, “প্রজাপতি”, “ঘুম-পাড়ানী গান”, “মট্কু মাইতি বাঁটকুল রায়”, “কোথায় ছিলাম আমি”, “মা এসেছে”, “বর প্রার্থনা”, “বগ দেখেছ?”, “ফ্যাসাদ”, “আগুনের ফুলকি ছুটে”, “মায়া-মুকুর” “প্রার্থনা”, “গদাই-এর পদ বৃদ্ধি”, “মৌলবি সাহেব”, “বন্দনা গান”, “চাষীর গীত”, “লেটোর গান”, “রবনা কেলাশপুরে” সহ আরো অনেক কবিতা।
কবিতার পাশাপাশি তিনি ছোটদের জন্য বেশ কয়েকটি নাটিকাও রচনা করেন যেগুলো শিশুসাহিত্যে সবার কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য। উল্লেখযোগ্য হলো : “পুতুলের বিয়ে”, “জুজুবুড়ীর ভয়”, “কে কি হবি বল”, “ছিনিমিনি খেলা”, “কানামাছি”, “নবার নামতা পাঠ”, “জাগো সুন্দর চিরকিশোর!” ইত্যাদি।
কাজী নজরুল ইসলাম শিশুদের জন্য কবিতা, ছড়া, নাটিকার বিষয়বস্তু নির্বাচনেও বেশ সচেতন ছিলেন। তিনি শিশুদের কেবল আনন্দই দেননি, দিয়েছেন নানা পথের ছবি যেন শিশুকাল থেকেই আগামীর নেতৃত্বের জন্য তৈরি হয়। উল্লেখ্য তাঁর ঝিঙে ফুল অসাধারণ একটি জনপ্রিয় শিশু কবিতা। এখানে তিনি প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য যেমন ব্যবহার করেছেন তেমনি ছোটবেলা থেকে শিশুরা যেন নিজের মাটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “প্রজাপতি ডেকে যায়-/‘বোঁটা ছিড়ে চ’লে আয়!’/আসমানে তারা
চায়-/’চ’লে আয় এ অকূল!’/ ঝিঙে ফুল॥/ তুমি
বল-‘আমি হায়/ভালবাসি মাটি-মায়,/চাই না এ
অলকায়-/ভালো এই পথ ভুল।’/ ঝিঙে ফুল॥”
শিশুদের সাথে মায়ের সম্পর্ক বেশ গভীর ও নিবিড়। তাই তিনি বেশ কিছু কবিতায় মা ও সন্তানের সম্পর্কে তুলে ধরেন। তাঁর “চড়ুই পাখির ছানা” কবিতায় মা
হারা সন্তানের প্রতি সান্ত্বনার বাণী ফুটে ওঠে এভাবে,
“একটি ছেলে দেখছে, আসু চোখ দু’টি তার যাচ্ছে
ভেসে।/ মা মরেছে বহুদিন তার, খুলে গেছে মায়ের
সোহাগ,/তবু গো তার মরম ছিঁড়ে উঠলো বেজে করুণ
বেহাগ/…”
আবার তাঁর “মা” গীতিকবিতায় মায়ের বর্ণনা এমনভাবে তুলে এনেছেন যেন প্রতিটি শিশু মাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত করে তুলে। মায়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “যেখানেতে দেখি যাহা/মা-এর মতন
আহা/একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,/মায়ের মতন
এত/আদর সোহাগ সে তো/ আর কোনখানে কেহ
পাইবে না ভাই।” এ কবিতাতেই মায়ের ত্যাগের কথা
তুলে ধরে তিনি বলেন, “যখন জনম নিনু/কত অসহায়
ছিনু,/কাঁদা ছাড়া নাহি জানিতাম কোনকিছু,/ ওঠা বসা
দূরে যাক-/মুখে নাহি ছিল বাক,/চাহনি ফিরিত শুধু
মা’র পিছু পিছু!”
“খুকী ও কাঠ্বিড়ালি” কবিতার কথা সবার জানা। এ কবিতাটি বাংলা ভাষায় নয় পৃথিবীর যেকোন ভাষায় রচিত শিশুদের জন্য সেরা কবিতা। শিশুরা ছোটবেলায় কোন কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হলে বা কোন প্রয়োজনে কারো সাথে সম্পর্ক গড়তে গেল কতটুকু বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে তা এখানে উঠে এসেছে। খুকী ও কাঠবিড়ালির সম্পর্ক এত গভীর যে ভাববার কোন সুযোগ থাকে না সত্যি কি মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে এত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা যায় কিনা! এখানে খুকী বুদ্ধিমতী। পেয়ারা খাবার লোভে এমনভাবে কাঠবিড়ালীকে ডাকছে যেন কাঠবিড়ালী মুখ ফিরিয়ে নিতে না পারে। খুকী বলছে, “কাঠবিড়ালি! কাঠবিড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?/গুড়-মুড়ি খাও?
দুধ-ভাত খাও? বাতাবি লেবু? লাউ?/ বেড়াল বাচ্ছা?
কুকুর-ছানা? তাও?-/” এমনিভাবে কাজী নজরুল ইসলাম অসংখ্য মজাদার কবিতার মাধ্যমে ছোটদের আপন হয়ে উঠলেন।
ছোটদের নিশ্চয় মনে আছে ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটি। এটি শব্দটির আবিষ্কারক হলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ করতে এ শব্দটি প্রথম ও নিয়মিত ব্যবহার করতেন। আর পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানিদের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘জয়বাংলা’ ব্যবহার শুরু করলেন। আর এভাবেই ‘জয়বাংলা’ সবার হয়ে উঠল। আমরা সবাই জানি কাজী নজরুল ইসলাম গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস ও গান রচনা করেন কেবল আনন্দ দানের জন্য নয়। তিনি আজন্ম সংগ্রাম করেন ব্রিটিশদের হাত থেকে বাঙালিদের মুক্তির জন্য। তাঁর কৌশল ও সংগ্রামী চেতনায় আকৃষ্ট হয়েছেন বহু ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামী ও বিপ্লবী। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, তাঁর ভাই শরৎ চন্দ্র বসু, কমরেড মোজাফ্ফর আহমদসহ বহু সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
তাঁর গান ও কবিতায় বিপ্লবীরা উৎসাহ পেতেন বলেই ১৯২৯ সালে কলকাতার এলভার্ট হলে এস ওয়াজেদ আলীর সভাপতিত্বে তাঁকে প্রথম জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান আমলে তাঁকে খুব একটা সম্মান দেয়া হয়নি। এমনকি অসুস্থ কবিকে কেউ চিকিৎসাও করাননি। ভারত সরকার নজরুলের প্রতি ছিলেন উদাসীন।
পাকিস্তান সরকারের শোষণের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ যখন লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন তারা নজরুলের কবিতা ও গানে সে নির্দেশনা ও পথ খুঁজে পেয়েছিলন। আর ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের বর্বর হামলায় দিশেহারা জাতি নজরুলের লেখার মধ্যেই পথ খুঁজে পায়। এমনকি পাকিস্তানিরা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটি উড়িয়ে দিলে দেশপ্রেমিকদের উদ্যোগে নতুনভাবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কিন্তু যুদ্ধের সময় একটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা উদ্বোধন ও চালু করার জন্য ২৫ মে ১৯৭১ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। আমরা জানি ঐ দিনটি ছিল নজরুলের জন্মদিন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু হওয়ার পর প্রতিদিন নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট…’ ও ‘চল্ চল্ ..’ গানসহ অসংখ্য গান ও কবিতা সকাল বিকাল সারাদিন বাজানো হতো মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিতে। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এলে ১৯৭২ সালে ‘চল্ চল্ …’ গানটিকে আমাদের রণসঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা দেন এবং কাজী নজরুল ইসলামকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। এভাইে তিনি আমাদের জাতীয় কবি হয়ে উঠলেন।
ছোটমণিদের ভবিষ্যতে কাজী নজরুল ইসলামের দুখু মিয়া থেকে জাতীয় কবি হয়ে ওঠার গল্প থেকে অনেক কিছু শিখতে হবে। প্রথমত, দরিদ্রতা মানুষকে কখনো নিঃশেষ করে দিতে পারে না যদি একজন মানুষ লক্ষ্য ঠিক রেখে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে চলে। দ্বিতীয়ত, দেশ ও দেশের মানুষকে যদি ভালোবাসা যায় সে দেশ ও দেশের মানুষ কোনো না কোনোভাবে অবশ্যই একদিন তাকে সম্মান দিবে। তৃতীয়ত, সততার সাথে কাজ করলে আল্লাহ প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা পূরণ করেন। যেমন নজরুলের শেষ ইচ্ছা অনুসারেই তাঁকে মসজিদের পাশে কবর দেয়া হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের জীবন কাহিনীতেই লুকিয়ে আছে ছোটদের করণীয়।

Share.

মন্তব্য করুন