এতোদিন বেশ ছিল ওরা। ওরা মানে কারা বলো তো! আর কারা, ডুগ্গু-ডাব্বু দু’ভাই আরকি। ওদের কাজই হলো খাওদাও আর আনন্দ-ফূর্তি করো। মা শুধু কাজের ফাঁকে ফাঁকে আহাজারি করেন।
– ‘হ্যাঁ রে ডাব্বু, এই ডুগ্গু- পড়াশোনা কি একেবারেই করতে নেই! এই যে ড্যাং ড্যাং করে গুলতি নিয়ে ঘোরাঘুরি করিস, এ সময় তো বই নিয়েও বসতে এসব কথার জবাব দু’ভাই দেয় না। চুপচাপ থাকাই নিরাপদ।
রহমান স্যার স্কুলে ক্লাস নিতে গিয়ে প্রায়ই বলেন,‘বোবার শত্রু নেই।’
বাহ, বেশ তো! কথা না বললে যদি ঝুট-ঝামেলা না হয়, তবে ওরা কথা বলবে কেন? পড়া না শিখলে রহমান স্যার দু’চোখ লাল করে বলেন,
‘এত কষ্ট করা কেন বাপু!’ সত্যিই তো, পড়াশোনা করে হাড়মাস কালি করা কেন! ইট ড্রিংস এন্ড বি মেরি, খাওদাও আর ফূর্তি করো।
স্যারের কথায় কান না দিয়ে বেশ ছিল ওরা। বেশ কাটছিল ওদের দিনগুলো ছোড়দি মাঝে মাঝে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গায়- ‘আমায় থাকতে দে না আপন মনে…।’
হ্যাঁ- আপন মনে থাকাটাই তো বেশ, যা ইচ্ছে হলো তাই করলাম। বিদেশ থেকে ছোটকার আসার কি দরকারটা ছিল।
বাড়িতে অবশ্য বেশ কিছুদিন থেকে শুনে আসছে- ছোটকা আসবে, ছোটকা আসবে। কথাটি শুনে দারুণ ভালো লেগেছে। বিদেশ থেকে আসা মানেই তো দারুণ ব্যাপার-স্যাপার! ক্লাসের বন্ধুদের তো দেখেছে, বিদেশ থেকে কেউ এলে শার্ট-প্যান্ট আর হুডির কী বাহার! কি রে, নতুন কিনলি নাকি? দারুণ তো।
বন্ধুদের অমন প্রশড়ব করলে ওরা ডুগ্গু-ডাব্বুর দিকে এমনভাবে তাকায়, যেন বলে- এতে অবাক হবার কী আছে রে? কানাডা থেকে বড়মামু এসেছেন। বিদেশ থেকে আসা মানেই চমৎকার গন্ধমাখা গাদা গাদা ড্রেস আসা। এতে অবাক হবার কিছু নেই। ডুগ্গুভেবেছে, ছোটকা এলে বেশ হবে, নতুন ড্রেস পরবো। লম্বা-চওড়া আজগুবি সব গল্প বলে বন্দুদের তাক লাগিয়ে দেব।
দু’ভাইয়ের বুকের ভেতরে একরাশ ফুরফুরে পাগলা হাওয়া ভীষণভাবে দাপটাদাপি করছে। মনে মনে বলছে, ওয়েলকাম ছোটকা, হারি আপ, তাড়াতাড়ি চলে এসো। ছোটকা এলো, সাথে নিয়ে এলো এক গাদা উপদেশ। না শার্ট, না চকরা-বকরা গেঞ্জি, শুধু চকোলেট আর টফি। মুখে দাও, ব্যস ফুরিয়ে গেল।
তা তো হলো, কিন্তু সারাক্ষণ ছোটকার -এই এটা করিস কেন? ওটা করবি না খবরদার। মানুষ হতে শেখো, বি এ্যা ম্যান।
সব সময়ের এই খবরদারিতে ওদের প্রাণ যায় যায়। এই তো মাত্র ক’দিন আগেও বাতাসে এক আনন্দের সুর ভাসছিলো- কাকু আসবে, কাকু আসবে। দারুন খবর। খুশিতে কি ওরা ভাসেনি? ভেসেছে। ছোটকাই তো সারাক্ষণ শাসন করে মনটাকে খারাপ করে দিয়েছে। ভাল্লাগছে না ছোটকার এই খবরদারি। খাবার টেবিলে ঘিরে বসেছে সবাই। ছোটকা কাইকে কিছু বললো না, ঠিক ডুগ্গু-ডাব্বুর দিকেই চোখ পড়ে তার।
– মা রাঁধবে, পরিবেশন করবে আর তোমরা বসে বসে খাবে! কি রে- লজ্জা নেই তোদের? শেমলেস্- ডুগ্গু বলে, বাহ- সবাই খাচ্ছে, আমরা খাবো না? ডাব্বু বলে, আমরা কী করবো ছোটকা? তুমিই বলো।
ছোটকা ইলিশ মাছের গরম ভাজি বাসমতি চালের ধোঁয়া ওড়া ভাত সুন্দর করে মাখে। তেল চপচপে কিছু মাছ-ভাত মুখে পুরে বলে, তোমরা মাকে সাহায্য করবে।
হ্যাঁ, করবই তো। তুমি রেলিশ করে খাবে আর আমরা সাহায্য করবো? কেন, তুমি মাকে সাহায্য করতে পারো না!
এমনই কিছু কথা ডুগ্গুর বুকের ভেতর ফেনিয়ে ওঠে। তবে মুখে কিছু বলে না। বড়দেরকে নাকি কিছু বলতে নেই। মনের দুঃখ মনে চেপে রেখে চুপ করে খেতে থাকে ওরা।
– কি কথা বলছো না কেন! বলো কিছু। ডুগ্গুশুকনো গলায় বলে, মাকে কিভাবে সাহায্য করব বলো। রাঁধবো নাকি?
ছোটকা, রহমান স্যার ও ডুগ্গু- ডাব্বু । ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থডাব্বু বলে, ছেলেরা কি রাঁধে ছোটকা? যেন কোথাও বাজ পড়েছে এমনই আঁতকে উঠেন ছোটকা।
– ওহ গড, ছেলেরা রাঁধে না? বলিস কি রে গাধা! বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্টে কারা রাঁধে শুনি? মা মাসি না পিসি? কেউ না- কেউ না রে। রাঁধে ব্যাটা ছেলেরা। ইন্টারকন আর সোনারগাঁ হোটেলই বলো- সবখানেই কুক হলো ছেলেরা।
তাহলে তুমি সেখানে গিয়ে রাঁধাবাড়া করো না কেন? আমরা নাহয় ছোট, স্কুলে পড়ি। তুমি তো বড় হয়েছো, হোটেলে রাঁধোগে, যাও। মুখে অবশ্য দু’ভাই কিছু বলে না। বড়দের যে কিছু বলতে নেই।
ছোটকা চোখ বুজে মনের আনন্দে মাংসের হাড় চিবুচ্ছে। দু’টি ভাগেড়বর বুকের ভেতর থেকে দুঃখের নিঃশ্বাস ভেসে আসে। ইসস্- কী সুখের ছিল ছোটকা আসার আগের দিনগুলো! এ্যাডভোকেট বাবা- চেম্বারে লোকজন নিয়ে ব্যস্ত। বাড়িতেই চেম্বার। মাঝে মাঝে শুধু হাঁক দিয়ে বলতেন, কি রে ডুগ্গু-ডাব্বু, পড়াশোনার আওয়াজ তো পাচ্ছি না রে। কি হলোটা কি? ব্যস, এটুকুই তার শাসন, গলা চড়িয়ে পড়লেই হলো। ইতিহাস, ভূগোল, ইংরেজি, বাংলা- যা হোক কিছু একটা পড়ো। এতেই তিনি খুশি। এইতো ছেলেরা বেশ পড়ছে।
এভাবেই হেসে খেলে দিন ভালোই কাটছিলো। ছোটকা এসেই সব এলোমেলো করে দিল। বিদেশ থেকে এসেছ বাপু, খাওদাও আরাম করে ঘুমোও। রহমান স্যার যেমন বলেন, ইট ড্রিংক এন্ড বি মেরি- তাই করো না কেন? তা নয়, ডুগ্গু-ডাব্বুর পেছনে সারাক্ষণ খবরদারি। মাংসের হাড় চিবুনো শেষ করে এবার টম্যাটোর চাটনি পাতে নিয়েছে ছোটকা। টকাস করে জিভ তালুতে ঠেকিয়ে মজাদার আওয়াজ করে কাকু বলে, ঠিক আছে, রাঁধাবাড়া পছন্দ হচ্ছে না তো নিজেদের জামা-কাপড় গুছিয়ে রাখো। যেখানে সেখানে কাগজ ছুঁড়ে ফেলে ঘর নোংরা করো না। আমি আসা অব্দি তো দেখছি, -ওমা আমার টিফিন বক্স কই? বাংলা বই ইংরেজি খাতা কোথায়? কেন, এগুলো নিজেরা গুছিয়ে রাখতে পারো না। শোবার ঘর নয়, যেন স্টোর রুম, বাংলায় কী যেন বলে- ও ভাঁড়ার ঘর। কি রে ডুগ্গু, ঠিক বলিনি? মলিন মুখে ডুগ্গুবলে, তুমি বাড়িতে আসার পর থেকেই খালি আমাদের দোষ দেখছ ছোটকা। একটিও গুণের কথা বলোনি কিন্তু।
সাহস করে ছোটকাকে বলেই ফেলে ডুগ্গু। ঠা ঠা হাসিতে সারা ঘর ভাসিয়ে ছোটকা বলে, বেশ বাবা, ঠিক আছে, এবার থেকে গুণের কথাই বলব। ছোটকা বলবে গুণের কথা? তবেই হয়েছে বাইরে তখন বিকেল নেমেছে। কার্তিকের শেষ বাতাসে হিম হিম ভাব। ঠাণ্ডা লেগে সর্দিকাশি হয়েছে- কথাটি বলে দুভাই অনেক অনুনয় করে আধ পেয়ালা আদা চা মায়ের কাছ থেকে নিয়েছে। একটু একটু করে চুমুক দিচ্ছে। আহ কী আরাম। ছোটকা হঠাৎ হুঙ্কার দিয়ে ওঠে।
– ডোন্ট সাক টি ডুগ্গু। সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে আওয়াজ হচ্ছে কেন? চা কি চুষে খাওয়ার জিনিস?
– বাহ, সুড়ুৎ সুড়ুৎ আওয়াজ করলাম কখন? ছোটকার যত্ত আজগুবি কথা।
আওয়াজ করে চা খেতে যে কী মজা- সে কথা ছোটকা বুঝবে কেমন করে? আহ- বলে চুমুক দিয়ে চা না খেলে কি মজাটা ঠিকমতো পাওয়া যায়? দুভাইয়ের বুকের ভেতর টগবগ করে ফুটতে থাকে রাগ। আগে যা হোক কিছু পড়াশোনা করেছে। এবার ছোটকার শাসনে পড়াশোনা একেবারে শিকেয় ওঠে। মন খারাপ থাকলে কি পড়াশোনা হয়?
স্কুলে যাবার পর শুরু হয় রহমান স্যারের বকুনি।
– পড়া শিখে আসোনি, তাইতো ? সত্যি, লেখাপড়া শিখে কি কিছু হয়? এর চেয়ে মৎস্য মারিব খাইব সুখে। যাও- পুকুরে, ডোবার পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরো। সেই ভালো।
মাথা গোঁজ করে দুভাই বকুনি শোনে। স্যারের কথার ভাঁপ বড্ড গায়ে লাগে। বাড়িতে ছোটকা, স্কুলে স্যার, দুজনের শাসনে দুভাই যে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে- সে খবর কেউ রাখে না।
নিঃশ্বাস ফেলে ডুগ্গু-ডাব্বু। ছোটদের মনের খবর কেউ রাখে না কেন? ইসস্- কেন যে বড়রা আবার ছোট হয় না!
এরই মাঝে আকাশ থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। নীল আকাশ মেঘের ভারে মলিন হয়ে আছে। উথাল-পাথাল হাওয়া। হেমন্তের এই শীত শীত সন্ধ্যায় ঝাঁপিয়ে আসা বৃষ্টিতে মন খারাপ হয়ে যায় ছোট্ট দুটি ছেলের। এমন সময় ঝপ করে সব বাতি নিভে যায়। ইসস্- এই সন্ধ্যেবেলা আর পড়তে হবে না- একথা ভেবে কেন যেন খুশি হতে পারে না ডুগ্গু-ডাব্বু।
মায়ের চ্যাঁচামেচি ভেসে আসছে। বাড়িতে দুটো ইমারজেন্সি লাইট। একটি খারাপ হয়ে আছে। ভালো লাইটটি গেল বাবার চেম্বারে। ঘরে ঘরে দেয়া হলো মোমবাতি। চারপাশ অন্ধকার, শুধু মোমবাতির শিখাতেই একটুখানি আলো। চারপাশে ছায়া-ছায়া আলো-আঁধার।
ছোটকা গরম চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে বলে, সুপার্ব! তার মানে মোমবাতির এই স্নিগ্ধ আলো ছোটকার খুব পছন্দ হয়েছে। খোশমেজাজী কাকুকে ডুগ্গুবলে, তুমি সারাদিন শুধু বকাবকি করো, আমাদের গল্প শোনাতে পারো না!
ডাব্বু বলে, ভূতের গল্প বলো না ছোটকা।
– ভূতের? আই মিন ঘোস্ট? ভূত বলে কিছু আছে নাকি রে গাধা! তার চেয়ে অন্যরকমের গল্প শোন, শিক্ষামূলক গল্প। তার মানে পড়াশোনার কথাবার্তা! আবার মন খারাপ হয়ে যায় দুভাইয়ের। ব্যস তাই হোক, তবু তো ছোটকার বকুনি থেকে রেহাই পাবে।
শুরু হলো ছোটকার গল্প।
– তোমরা কি জানো- চীন দেশে পাথরের স্তম্ভের ওপর খোদাই করা আছে তিনটি বানর। জানিস এ গল্প?
– না তো ছোটকা।
– তা জানিস না কি শুনি? আচ্ছা তারপর শোন- তিনটির মাঝে একটি বানর হাত দিয়ে দুচোখ ঢেকে বসে আছে।
– বাহ, ওর বুঝি খুব ঘুম পেয়েছে ছোটকা! গম্ভীর স্বরে ছোটকা বলে, নো, নট অ্যাট অল। অন্য দুটি বানর দু কান চাপা দিয়ে বসা।
– ওহ হো হো, বুঝতে পেরেছি, নিশ্চয়ই ওর কান ব্যথা করেছে। কান ব্যথা হলে সহ্য করা যায় না ছোটকা।
– নো নো নো, ডিসগাস্টিং। ছোটকা চেঁচিয়ে ওঠে।
– ডুগ্গু, তুমি নাম্বার ওয়ান ফুল। এরপর শোন- তৃতীয় বানরটি কি করেছে। হাত চাপা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে ডাব্বু নিজের মুখে হাত চাপা দিয়ে বলে, ছোটকা, ওর কি আমার মতো দাঁত পড়েছে। ছোটকা আদুরে হাসি হেসে বলে, দূর বোকারা, বলতে পারলি না তো, এর মাঝে মজার ব্যাপার রয়েছে। প্রথম বানরটি হাত চাপা দিয়ে বোঝাতে চাইছে- আমি খারাপ কিছু দেখব না। দ্বিতীয় বানরটি কান চাপা দিয়ে বুঝিয়ে দিল, আমি খারাপ কিছু শুনবো না। এবার বলো, তৃতীয় বানরটি মুখে হাত চাপা দিয়ে কি বোঝাতে চাইল?
দুভাই একসাথে বলে, মুখে বাজে বা খারাপ কিছু বলবে না।
মিষ্টি হেসে ছোটকা বলে, গুড, তাহলে তো বুঝতে পেরেছো! কথাটি এই, যা কিছু ভালো আমরা তাই শুনবো। যা কিছু সুন্দর তাই দেখব, মুখেও বলব চমৎকার সব কথা।
এই মুহূর্তে ছোটকার কথাগুলো দুভাইয়ের দারুণ লাগছে। ভূতের নয়, ডাকাতের নয়, কল্পবিজ্ঞানের নয়, ডিটেকটিভ নয়- তবু বড্ড ভালো, ভীষণ ভালো গল্প। ছোটকা শুধু খারাপ নয়- বেশ ভালো। এক সময় বাতি জ্বলে ওঠে। বাইরে বৃষ্টির সাথে ঝড়ের উথাল-পাথাল হাওয়া। তবু বুকের ভেতরটা দুভাইয়ের আনন্দে শিরশির করে ওঠে। অন্যরকম এক আনন্দে বুকের ভেতরটা ভরপুর হয়ে থাকে। তখনও ঘুম ভাঙেনি ডুগ্গু-ডাব্বুর। গত রাতের ঝড়-বৃষ্টি কিছুর চিহ্ন নেই। মিষ্টি রোদেলা সকাল। গায়ে কাঁথা জড়িয়ে দুভাই শুয়ে আছে। কোত্থেকে যেন ভেসে আসছে মিষ্টি সুর। পিটপিট করে ডুগ্গু তাকায়।
ওমা! ছোটকার আনা বিশাল টেপ রেকর্ডারে সুরেলা গান বাজছে।
ছোড়দি একটি গান গায়- ‘স্বপ্নে যেন দেখি আমি তেপান্তরের দেশ।’
এমনই এক তেপান্তরের দেশে যেন চলে এসেছে ওরা। মিষ্টি মিষ্টি ভোর- তার মাঝে চমৎকার সুরের খেলা। ঘুম জড়ানো চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ছোটকার হাসি হাসি মুখ, কান দিয়ে শোনে মিষ্টি মধুর গান। এবার তো বলতে হবে ভালো কিছু কথা। সেই তিনটি বানরের গল্পের মতো।
ডুগ্গুবলে, চীন দেশের গল্প যে আমাদের ঘরে চলে এলো ছোটকা।
রহমান স্যারের কথা মনে পড়ে।
– ইট ড্রিংক এন্ড বি মেরি। খাও দাও আর ফূর্তি করো। দুভাই একসাথে বলে ওঠে, হিপ হিপ হুররে- ছোটকা ইয়ু আর গ্রেট। ছোটকা- তুমি, ডুগ্গু-ডাব্বু আমরা চীন দেশের তিনটি বানরের মতো। আমরা ভালো দেখবো, ভালো শুনবো, ভালো কিছু বলবো।
– আমরা বানর? আই মিন মাংকি? বলিস কি রে? ঠা ঠা করে মন খোলা হাসিতে ছোটকা ঘর ভরিয়ে দেয়।

Share.

মন্তব্য করুন