ডালিম ফলটি আমরা কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি। ডালিমের বৈজ্ঞানিক নাম Punica granatum. ডালিমের অন্য নাম আনার। বাংলাদেশের অনেক স্থানে এটি বেদানা নামেও পরিচিত। পাঞ্জাব ও কাশ্মিরেও এ ফলকে বেদানা বলে। বেদানা আকারে ডালিমের চেয়ে অনেক ছোট এবং মিষ্টি স্বাদের। ডালিম ফল ডালিম গাছের পাতা, ছাল, মূল, মূলের ছাল সবই ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১. ডালিম ক্ষিদে বাড়িয়ে দেয়। শরীর স্নিগ্ধ করে, মেদ ও বল বৃদ্ধি করে।
২. ডালিম রুচি বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠশুদ্ধি করে, অরুচি দূর করে। শ্বাসকষ্ট কাশি ও বাত ব্যাধি নাশ করে।
৩. ডালিম খেলে শরীরের একটা বিশেষ ধরনের ফুর্তিভাব বা চেতনার সৃষ্টি হয়।
৪. ডালিমের রস মেধা বৃদ্ধি করে, মুখ পরিষ্কার করে।
৫. ডালিমে প্রচুর পরিমাণ লেহ্য আছে যা রক্ত বৃদ্ধি করে।
৬. ডালিমের শরবতে সম পরিমাণ পানি মিশিয়ে পান করলে উষ্ণাপত্ত অর্থাৎ পিত্তগরম হওয়া সেরে যায়। গরমকালে মাথা গরম দূর হয়ে যায় মাথা ঠাণ্ডা হয়। চোখের জ্বালা কমে যায়। এ শরবত রুচিকারক এবং এর কাছে পিত্তের প্রকোপ শান্ত করার গুণ।
৭. বহুদিন ধরে যারা আমাশয়ে ভুগছে তারা ডালিমের খোসা লবঙ্গের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলে অন্য ওষুধের চেয়ে অনেক বেশি সুফল লাভ করবে।
৮. ডালিমের রস খেলে জন্ডিস সেরে যায়। বুক ধড়ফড়ানিও সারে। বুকের ব্যথা ও কাশি কমে যায়। কণ্ঠস্বর পরিষ্কার হয়।
৯. ডালিমের রস বমি বন্ধ করে ও হার্টের পক্ষে উপকারী।
১০. ডালিমে শরীর হৃষ্টপুষ্ট হয়, পিপাসা দূর হয়।
১১. ডালিমের রস বিটলবণ ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে রাখলে বিশ্রি রকমের অরুচি প্রশমিত হয়। ডালিমের রস পুরনো পেটের অসুখে ও জ্বরে উপকার হয়।
১২. ডালিমের রস কোমরবাত ও পিত্তের দোষ নাশ করে।
১৩. ডালিম ফুল ও ডালিমের খোসা জৈত্রী দারচিনি, ধনে ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ালে বাচ্চাদের পুরনো একটানা পেটের অসুখ দূর হয়ে যায়।
১৪. মিষ্টি ডালিম লঘুপাক, মেধা বৃদ্ধি করে, মুখ পরিষ্কার করে হার্ট ও লিভার সবল করে।
১৫. ডালিমে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত ডালিমের রস খেলে ত্বকে বয়সের ভাঁজ পড়ে না।

Share.

মন্তব্য করুন