গাব অনেক ভিটামিনে পরিপূর্ণ বিশেষ করে ভিটামিন-এ, বেটা-ক্যারোটিন, লুটিন, লাইকোপিন এবং ক্রিপ্টোজ্যান্থিন এই সকল উপাদানকে একত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষ করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে।
* গাব চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে জিয়ান্থিন এর পরিমাণ অনেক। এতে উপস্থিত ভিটামিন-বি কমপেক্স ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের সুস্থতা বজায় রাখে।
* গাবে আছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম যা কোষের ইলেক্ট্রোলাইস এবং পানির সমতা বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
* গাবে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-এ, ক্যাটিসিন্স এবং গ্যালোক্যাটিসিন্সের মত ফিনোলিক উপাদান আছে, যা বিভিন্ন টাইপের ক্যান্সার সরাসরি প্রতিরোধ করে। খাদ্য তালিকায় এই গাব ফল যোগ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
* গাবে ১০.৮ ভাগ সুগার রয়েছে যা অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে হাইপারগ্লাসেমিয়া হতে পারে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদেরকে এই ফল এড়িয়ে চলতে হবে।
* খালি পেটে অধিক পরিমাণে গাব খেলে গ্যাস্ট্রিক এসিডের সংস্পর্শে এসে পাকস্থলীতে ছোট ছোট পিন্ডের সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে গ্যাস্ট্রিক পারসিমন স্টোনে পরিণত হয়।
* গাবের খোসা না খেয়ে এর ভিতরের অংশ খাওয়া উচিত কারণ গাবে বিদ্যমান ট্যানিনের অধিকাংশই এই খোসার উপরে থাকে। খোসাসহ গাব খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক পারসিমন স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
* গাবে প্রচুর পরিমাণে সুগার, ট্যানিন ও প্যাক্টিন রয়েছে। এটা অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে এতে বিদ্যমান ট্যানিন এসিড দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। সেক্ষেত্রে গাব খাওয়ার পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

Share.

মন্তব্য করুন