একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি, আঁকিবুকি, গান এবং খেলাধুলা নিয়ে সদাব্যস্ত একজন
তরুণ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ মুজাহিদ। নিজেকে একজন নটরডেমিয়ান হিসেবে পরিচয় দিতে
গর্ববোধ করে সে। জেএসসি-এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া মুজাহিদ ক্যারিয়ারে নিজেকে
একজন ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সুন্দর একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে সে। সে মনে
করে, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য দরকার সুন্দর মন ও মননের অধিকারী মানুষ। আর
আজকের তরুণরা যদি নিজেদেরকে সেরকম সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে
পারে তাহলে আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে তারাই। তখন বাংলাদেশ হবে সমগ্র পৃথিবীর কাছে
একটি রোল মডেল!
‘চিত্রণ’ নামে একটি ক্যাম্পাস ম্যাগাজিনও সম্পাদনা করে মুজাহিদ। সাহিত্যের সাথে দারুণ সখ্যতা
তার। গল্প-কবিতা আর প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখলেও সাহিত্যের সব শাখাতেই কাজ করতে চায় সে।
ভবিষ্যতে পেশাগত কাজের পাশাপাশি লেখালেখিও চালিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে। ছোটোবেলা থেকেই
স্কুলে আয়োজিত বার্ষিক ও বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা সমূহে অংশগ্রহণ
করে এবং অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করে। বিশেষত আবৃত্তি, কিরাত ও
গানে অংশগ্রহণ করে পুরস্কৃত হয়েছে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ মুজাহিদ।
কেমন আছো?
ভালো।
নিজেকে একজন নটরডেমিয়ান ভাবতে কেমন লাগে?
অনেক ভালো লাগে।
পড়াশোনা এবং খেলাধুলা ছাড়াও তুমি লেখালেখি করছো- কিন্তু কী বিষয়ে লিখতে ভালো লাগে তোমার?
গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ফিচার…।
তাহলে তুমি তো একজন তরুণ সব্যসাচী!
সব্যসাচী! হা হা হা, দোয়া করবেন- যেন লিখতে পারি।
আচ্ছা, মুভি দেখো?
হ্যাঁ।
বড়ো হয়ে কী হতে চাও?
ডাক্তার। কিন্তু তা হলেও বেশিদিন ওটা করবো না।
করবে না কেন?
আমার একটা বিগ প্ল্যান আছে। আমি দেশের জন্য অনেক বড়ো কিছু করতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন সাকসেস হতে পারি।
তোমার জন্য অনেক দোয়া। ভালো থেকো তুমি।
কিশোর পাতার জন্যও অনেক অনেক ভালোবাসা। দীর্ঘায়ূ হোক প্রিয় কিশোর পাতা।
দ্বাদশ শ্রেণী (বিজ্ঞান বিভাগ),
নটরডেম কলেজ, ঢাকা