পৃথিবী জুড়েই এখন উত্তাপ। তবে এ উত্তাপ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের দেশেই। এ দেশের সবুজ আঙিনায় এখন হাজার রঙের ওড়াউড়ি। হাজারো পতাকার বাহার। সত্যি, জাতি হিসেবে আমরা খুবই উৎসাহী। খুবই কৌতূহলী!
বুঝতে বাকি নেই- এ উত্তাপের নাম বিশ্বকাপ!
ঈদের ছুটির পর আজই প্রথম স্কুল খুললো। আজকের প্রতিটি ক্লাসই বিশ্বকাপমুখর। এ যেন অন্য আরেক ঈদ! ছাত্র-শিক্ষক একাকার হয়ে গেছে এ ঈদে! চলছে প্রিয় দল ও প্রিয় খেলোয়াড় নিয়ে আলোচনা। সমালোচনা। উঠে আসছে ভালো লাগা, ভালো না লাগার নানাদিক। অন্য সবার মতো, বাংলাশিক্ষক আহমদ নাসীম খেলার কথাই তুললেন। জানতে চাইলেন, যার যার প্রিয় খেলোয়াড়ের নাম। তাদের পরিচয়। ইতিহাস। ছাত্ররা খুব সুন্দরভাবেই বলতে পারল সবকিছু- তিনি যতটা আশা করেননি! তাই ধন্যবাদ জানালেন সবাইকে। অবশ্য ‘ধন্যবাদ’ বলার সময় গলাটা একটু কেঁপে উঠেছিল তার।
– আচ্ছা, একশ’জন খেলোয়াড়ের নাম বলতে পারবে কে কে? সব ক’টি হাতই ওপরে উঠল। নিচু আওয়াজে কেউ কেউ বলল- ব্যাপারই না!
জনাব আহমদ নাসীম লক্ষ করলেন, একেকজনের চুলের ধরনও ভিন্ন ভিন্ন! যার যার প্রিয় খেলোয়াড়ের মতো। এতক্ষণ নিজেকে লুকিয়েই রেখেছিলেন তিনি। এবার আর লুকোতে পারলেন না। চলে গেলেন অন্য কথায়। অন্য প্রশ্ন করলেন এবার- আমাদের মহানবী (সা) সম্পর্কে কে কী জানো? এই ধরো- তাঁর জন্ম, তাঁর পরিবার-পরিজন, বেড়ে ওঠা এবং জীবনের নানা বাঁক ইত্যাদি। তাঁর দু-চারজন সাহাবি সম্পর্কেও বলতে পারো। হা করে তাকিয়ে থাকল সবাই। যেন এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউই। এতক্ষণ যেখানে কথার খই ফুটেছিল, সেখানে এখন পিনপতন নীরবতা!
– তোমরা কি জানো, তাঁকে অনুসরণ করে কিছু মানুষ পৃথিবীতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন? তোমাদের কোনো খেলোয়াড় কি সেই সুসংবাদ এনে দিতে পারবে? পারবে কি- তোমাদের সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে? যার পবিত্র জীবনের সৌরভ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করেছিল, তাকেই তোমরা জানলে না? অথচ আল্লাহ বলেছেন- ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল (সা)-এর মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আল আহযাব : ২১)
তাঁরও কিন্তু আলাদা ‘হেয়ারস্টাইল’ ছিল। তার মতো ‘স্মার্ট’ কেউ পৃথিবীতে আসেনি, আসবেও না! এসো, আমরা তাঁকেই অনুসরণ করি। তাঁকে জানি। তাঁকে ভালোবাসি এবং সুন্দর হই।
ক্লাসের পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে উঠল। ছাত্রদের চোখে-মুখে যেন নতুন আলোর ঝিলিমিলি। আহা! এভাবে যদি আগেই কেউ বোঝাতো তাদের
Share.