আমের বিভিন্ন জাত আছে। যেমন- ল্যাংড়া, ফজলি,
গোপালভোগ, খিরসা, আম্রপালি, অরুনা, মল্লিকা, সুবর্ণরেখা,
মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাচামিঠা ইত্যাদি।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
আম ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করে।
গবেষকরা বলেছেন যে, আমে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও উচ্চ
পরিমাণ খাদ্য আঁশ থাকার কারণে এটা কোলন ক্যান্সার,
স্তন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা, লিউকেমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যান্সার
প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ক্যারোটিন,
আইসো-কেরোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক
এসিড ইত্যাদি এনজাইম ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে
সহায়ক ভূমিকা রাখে।
হাড় গঠন
আমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় সুগঠিত করে। আম
হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখতে অনেক সাহায্য
করে। সুতরাং আম খাওয়া অনেক প্রয়োজন প্রতিটি
মানুষের জন্য। এতে হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকে।
কর্মশক্তি বৃদ্ধি
আমে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, যা কর্মশক্তি প্রদানে
সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত
পরিমাণ আম শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে তবে
অতিরিক্ত আম খাওয়া ক্ষতিকর।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
শুধু আম নয় আমের পাতাও বেশ উপকারী। যাদের
আমের গুণাগুণ
মেহেদী হাসান
ডায়াবেটিস আছে তারা যদি ৫-৬টি আম পাতা ধুয়ে
একটি পাত্রে সেদ্ধ করে নিয়ে সারারাত রেখে সকালে এর
ক্বাথ ছেকে নিয়ে পান করে তাহলে এটা ইন্সুলিনের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এছাড়া আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স [৪১-৬০] কম বলে
এটা যদি মাঝে মাঝে বেশি খাওয়া হয়ে যায় তবে
সুগারের মাত্রা খুব বেশি বাড়বে না।
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ
আম থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি স্কার্ভি
রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা
রক্ষা করতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।
মনযোগ ও স্মৃতিশক্তি
এই ফলে রয়েছে উচ্চ মাত্রার গ্লুটাইমাইন এসিড নামক
এটি প্রোটিন যা মোনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বেশ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেখাপড়ায় অমনোযোগী
বাচ্চাদের আম খেতে দেয়া উচিত।
অ্যাজমা প্রতিরোধ
আমে অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি আমের একটি
চমকপ্রদ স্বাস্থ্য উপকারিতা। এতে থাকা উচ্চ বিটা
ক্যারোটিন অ্যাজমা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস রোগী
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণ আম শরীরে
শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে তবে অতিরিক্ত আম খাওয়া
ক্ষতিকর।

Share.

মন্তব্য করুন