এক.
‘এই যে চাচা! সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। বারবার গায়ে এসে পড়ছেন?’
একটু কর্কশ স্বরেই বললো নাসির। বুড়ো মানুষটা হেসে দিয়ে বলল,
– বাপ! দেখ না কতো ভিড়? আমি কি আর ইচ্ছা করে গায়ে পড়ি?
– অত-শত বুঝি না। আপনি সোজা হন। অন্য দিকে তাকিয়ে তাকে কথা শুনিয়ে দিল নাসির।
মেজাজটা আজ এমনিতেই টং হয়ে আছে নাসিরের। বেশ ক’দিন থেকেই তার মনটা খারাপ। বাবা-মায়ের সাথে আজ চূড়ান্ত ঝগড়া করেছে সে। সেই কবে থেকে একটা কম্পিউটারের জন্য বাবাকে বলছে, কোনো তোয়াক্কাই করছে না। অথচ বন্ধুদের শুধু কম্পিউটার কেন, DSLR ক্যামেরা, ল্যাপটপ, দামি মোবাইল কত কিছু আছে? সে তো সামান্য একটা কম্পিউটার ছাড়া কিছুই চায়নি। এমন বড় কিছু তো আর নয়। তার ওপর আবার, সে বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। যদিও তার একটি ছোট বোন আছে। তারপরও ঘুরে ফিরে তাদের একই কথা। কম বেতনের চাকরি, কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই। আরে, কয় টাকাইবা লাগে একটা কম্পিউটার কিনতে? বলে, টাকা জমলে তখন দেবে। আরে বাবা, বললেই হয় দেবো না। অতো অজুহাত দেয়ার দরকার কী? ভাবতেই রাগে অভিমানে নাসিরের চোখে পানি চলে আসে। গরমের ভেতরে শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায় তার। এই ভরদুপুরে তাই রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে নাসির। বাসার সামনের মোড়ে এসে এই বাসটাতে উঠেই যত বিপত্তি। একে তো অসহ্য গরম, আর বাসে ওঠার পর মনে হলো, সে কোথায় যাবে, জানে না।
দুই.
পাশের সিটে বসা লোকটা উঠে যেতেই আরেকজন এসে বসল তার পাশে। তাকিয়ে দেখল সঙ্গীকে। বেশ সুন্দর চেহারা। তার চেয়ে বোধ হয় ৯-১০ বছরের বড় হবে। হাতে একটা হ্যান্ডব্যাগ। মোবাইলে কথা বলছে সে। খুব নিচু স্বরে, ধীর কণ্ঠে। বেশ কিছুক্ষণ ব্যাপারটি লক্ষ্য করে ভালো লাগল নাসিরের। আগের বসে থাকা লোকটা ঘোড়ার মতো চিৎকার করে যেভাবে তার অফিসের কাজের অর্ডার দিচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল পুরো বাসে সে একাই বসে আছে অথবা সে বাসটির মালিক। সবাই তার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকলেও তার কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। মোবাইল ব্যবহারের সময় এটাও যে খেয়াল রাখা লাগে, তার জ্ঞানই নেই।
‘এই লোকটা বেশ ভদ্র’ মনে মনে ভাবল নাসির।
হঠাৎ ভাবনায় ছেদ পড়ল, আবার কেউ একজন গায়ে এসে পড়ায়। তাকিয়ে দেখে সেই বুড়ো মানুষটা।
– কী হলো চাচা? বারবার বলছি, তারপরও আপনি গায়ে এসে পড়ছেন?
– বাবা! এইটা পাবলিক বাস, এমন হইতেই পারে। তোমার সমস্যা হইলে প্রাইভেট কিন্যা চল।
কথা শুনে কান গরম হয়ে যায় তার। শক্ত কিছু একটা বলতে যাবে নাসির, এমন সময় হঠাৎ খেয়াল করল পাশে বসা লোকটি উঠে দাঁড়িয়েছে। সে বৃদ্ধ মানুষটিকে বলল,
– চাচা! আপনি এখানে বসুন।
– না-না! আমি এই সামনে নামব। বৃদ্ধ লোকটি আপত্তি জানায়।
– তবু বসুন, আপনি নেমে গেলে আমি বসব। আমি তো ছোট, দাঁড়িয়ে থাকতে একটুকু কষ্ট হবে না। উঠে বসতে দিল বৃদ্ধ মানুষটিকে। অকস্মাৎ ঘটনাপ্রবাহে হতবাক নাসির। এই অসহ্য গরমে, এত ভিড়ে নিজের সিট ছেড়ে দিল। আশ্চর্য! এত বোকা কেউ হয় নাকি? এখন যে সারা রাস্তা দাঁড়িয়ে যেতে হবে? ভাবতে থাকে নাসির। বাসের গতি একটু বেড়েছে। বড় রাস্তায় কিছুটা ফাঁকা পেয়ে গতি বাড়িয়ে দিয়েছে বাস ড্রাইভার। ভাঙা জানালা দিয়ে হালকা বাতাস ভেতরের গুমোট ভাবটাকে কমিয়ে দিচ্ছে।
– খুব গরম, তাই না? তুমি কোথায় থাক বাবা? হঠাৎ কথা বলতে শুরু করল পাশে বসে থাকা বৃদ্ধ লোকটি। তার চোখের দিকে তাকাতে সংকোচ হলো নাসিরের। কেন, তা বুঝিয়ে বলতে পারবে না সে।
– মিরপুর ১৪।
– পড়াশোনা?
– মনিপুর স্কুলে, ক্লাস টেনে।
– হু। তো একা একা কোথায় যাচ্ছ এই ভরদুপুরে?
একটু চিন্তায় পড়ে গেল নাসির। কী বলবে সে? কোথায় যাবে, তাতো এখনও ঠিক করাই হয়নি।
– এ-এইতো, রমনা পার্কে।
– এই দুপুরে? রমনা পার্কে? বৃদ্ধ লোকটি ঘুরে বসল।
– না মানে, একজনের সাথে একটু দেখা করব। সে ওখানে আসার কথা। বলল নাসির। ভাবছে মিথ্যা বলা তো ভারি বিপদ, আবার কী জিজ্ঞেস করে বসে লোকটা।
হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়েছে বৃদ্ধ লোকটি, সামনের স্টপেজে নামবে। যাক, বাবা বাঁচা গেল। ভাবল নাসির। যেভাবে জেরা করছিল, একটু হলেই সব বলে দিতে হতো। বৃদ্ধ লোকটি উঠে যেতেই খালি আসনে সেই লোকটি পাশে এসে বসল। বাস থেমেই আছে। সামনের গ্লাসের ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে বিশাল জ্যাম। কতক্ষণ লাগবে কে জানে? হেলপারও এই ফাঁকে ডাকাডাকি করে লোক উঠাচ্ছে দুই পয়সা বাড়তি রোজগারের আশায়।
তিন.
– কী নাম, ভাইয়া তোমার? কথা বলে উঠল পাশের লোকটি।
– নাসির।
– তুমি মনিপুর স্কুলে পড়, তাই না? আমি সব শুনেছি। আমার নাম ইবনুল ইসলাম পারভেজ। বাড়ি ঝিনাইদহ। থাকি মিরপুর। তো এই ভরদুপুরে রমনা পার্কে কোথায় যাবে?
আবার বিপদের আশঙ্কা হলো নাসিরের মনে। বানিয়ে কথা বলা, খুব কঠিন কাজ।
– না মানে, একটা কাজ ছিল আর কী।
– আসলে আমারও একটা কাজ আছে, রমনা পার্কে নয়, তার পাশেই। সে জন্যই জিজ্ঞাসা করছিলাম আর কী। ভাবলাম দু’জনের কাজ মিলে যায় কি না?
কথা বলতে ভালোই লাগছে নাসিরের। দেখতে মোটেও ছেলেধরাদের মতো নয়, আবার বলছে মিরপুরে থাকে। কথাবার্তাতে ভয় কেটে গেছে তার।
– আপনার কাজ কোথায় ভাইয়া? জিজ্ঞাসা করল নাসির।
– ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। দেশের নামকরা শিল্পীদের নিয়ে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাটক হবে। গান হবে।
– হুম।
– তুমি একা যাচ্ছ কেন এত দূর পথে? এত দূরে যেতে হলে আমার আব্বু আম্মু কখনই একা ছাড়তেন না। বলল ইবনুল ইসলাম পারভেজ। হাসিমাখা মুখে শাসনের মৃদু সুর।
প্রশ্নটা এড়িয়ে গেল নাসির। ভাবলেই রাগ বেড়ে যাচ্ছে তার।
– আচ্ছা ভাইয়া! একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, আপনি ঐ বৃদ্ধ লোকটিকে সিট ছেড়ে দিলেন কেন? যদি সে আরও দূরে যেত, তাহলে তো আপনাকে পুরো রাস্তাই দাঁড়িয়ে যেতে হতো, তাই না?
– দূর! এটা কোনো ব্যাপার হলো। শোন, ওই বৃদ্ধ লোকটার স্থানে যদি তোমার বাবা কিংবা দাদা থাকত? তুমি সিটে বসে আরামে যাচ্ছ আর সে গরমে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে- এটা দেখে তখন তুমি কী করতে?
ভাবনার দরজায় টোকা পড়ল নাসিরের। জ্ঞানের বাতায়ন খুলে গেল।
– তাকে বসতে বলতাম। আব্বুকে দাঁড়িয়ে রেখে নিজে কি বসে থাকা যায়? এটা বেয়াদবি হতো না?
– একদম ঠিক বলেছ। ওই লোকটাও তো কারও আব্বু বা কারও দাদু, তাই না? তার অনেক বয়স আর এখনও আমার তো অনেক শক্তি আছে, একটু কষ্ট করলে ক্ষতি কী? তিনি না হয় কয়েকটা মিনিট আমার চাইতে একটু বেশি আরামই করলেন। তুমি যদি কাউকে সম্মান না কর, তাহলে তুমিও তো সম্মান পাবে না, কেননা এ ব্যাপারে আমাদের মহানবী সা. কী বলেছেন জান? তিনি হাদিস শরিফে বলেছেন, যারা বড়দের সম্মান করে না আর ছোটদের দয়া করে না সে আমার উম্মত নয়। তুমি কি চাও এরকম হতে, যে রাসূল সা. এর উম্মতই নয়- এটা কি ভালো হবে?
মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে থাকে নাসির। ইস! কেন লোকটির সাথে খারাপ ব্যবহার করল সে?
– হু, ঠিক বলেছেন। আসলে আমি এভাবে কখনও ভাবিনি। কেন জানি ভালো লেগে যায় ইবনুল ইসলাম পারভেজকে তার। অনেক বিষয়ে কথা চলতে থাকে। কথা বলতে বলতে কখন যে বাস রমনা পার্কের কাছে চলে এসেছে টের পায়নি তারা। আচমকা হেলপারের ডাকে সম্বিত ফিরে পায়। দ্রুত নেমে যায় বাস থেকে দু’জন।
চার.
পার্কে ঢোকার মুখেই দেখতে পেল দু’জন, ২-৩ বছরের একটা ছোট বাচ্চা ছেলে হাতে থাকা মুড়ির ঠোঙাটি সজোরে ছুড়ে ফেলেছে ফুটপাথে। গড়াতে গড়াতে ঠোঙাটি নাসিরের পায়ের সামনে এসে থামল। থমকে দাঁড়ালো তারা। একটু দূরে দাঁড়ানো বাচ্চাটির মা, শতচ্ছিন্ন ময়লা শাড়ি পরিহিতা। বাচ্চাটির এহেন কাজে ক্ষিপ্ত হয়ে, দৌড়ে এসে দুম দুম করে গোটা কয়েক কিল বসিয়ে দিল তার পিঠে। নাটকের মতো পুরো দৃশ্যটা ঘটল দু’জনের চোখের সামনেই। মার খেয়ে বাচ্চাটি চিৎকার করে কেঁদে উঠল। মায়ের চোখেও পানি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে বলে উঠল,
– কতবার কইছি, টাকা নাই। নবাবের বাচ্চা, টেকা দিয়ে কিনা মুড়ি ফালায়া দেস? শখ কতো আইসক্রিম খাইব। তোর বাপ কি জমিদারি তালুক থুইয়া গেছে যে রোজ পোলাও কোর্মা খাবি?
ওরা দু’জন এই দৃশ্য দেখে মহিলাটির কাছে গেল।
– আরে, ওতো ছোট, অবুঝ। ওকে মারলে কী হবে? ও কি বুঝে নাকি?
– গরিবের বাচ্চা বুঝব না কেন? খাওনটাতো ঠিকই বুঝে? এইটা বুঝে না যে গরিবের সাধ আহ্লাদ থাকতে নেই?
– সামান্য একটা আইসক্রিমই তো চেয়েছে? বলল নাসির, সে এখনও বুঝতে পারছে না এত ছোট ব্যাপারে মারার মতো কী হলো? মায়ের চোখে পানি। সে বলল,
– আমি সারাদিন কাগজ টুকাইয়া পাই ৪০-৫০ টেকা, ২৫ টেকার আইসক্রিম কিন্যা দিলে আমি সারাদিন খামু কী? এইবার নাসির বুঝতে পারল, সমস্যাটা কোথায়? মানুষ এতো কষ্ট করে অথচ সে তো প্রায়ই স্কুল থেকে ফেরার পথে আইসক্রিম কিনে খায়। বোকা হয়ে যায় সে।
– আচ্ছা, ঠিক আছে। ওকে আমি কিনে দিচ্ছি। পকেটে হাত দেয় ইবনুল ইসলাম পারভেজ।
– এই পিচ্ছি, আয় আয়, আইসক্রিম খাবি না?
নিমেষে কোথায় হারিয়ে গেল কান্না। ঝকঝকে দাঁত বের করে দৌড়ে এলো ওদের কাছে, কালো মলিন মুখটাতে আনন্দ ঝলমল করে উঠেছে। চোখের কোণে শুকিয়ে যাওয়া সদ্য অশ্রুধারা, চিকচিক করছে মুক্তোর মতো। ইবনুল ইসলাম পারভেজ টাকা বের করে পার্কের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে আইসক্রিম নিলেন। প্যাকেটটি ছিঁড়ে বাচ্চাটির হাতে দিতেই দুই হাতে আইসক্রিম জড়িয়ে ধরে এক দৌড়ে গিয়ে মায়ের কোলে উঠল সে। কোলে উঠে মাকে বলছে, মা তুমিও খাও, খাও না?
নির্বাক মা, দু’চোখে কৃতজ্ঞতার অশ্রু, নির্বাক তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। অপরিচিত দু’জন লোকের এহেন অকস্মাৎ আচরণে সেও হতবাক।
ধন্যবাদের তোয়াক্কা না করে ইবনুল ইসলাম পারভেজের হাত ধরল নাসির।
– চলুন, যাই, পার্কে ঢুকি।
নাসিরের চোখের দিকে তাকাতেই চমকে ওঠে ইবনুল ইসলাম পারভেজ।
– নাসির, তুমি কাঁদছ?
পাঁচ.
চোখের কোণ মুছে হেসে দিল নাসির।
– না-না, ভাইয়া। এই চোখে কী যেন পড়ল। চলুন।
মনের ভেতর বৈশাখী ঝড় বয়ে চলেছে নাসিরের। সেও তো বায়না ধরে বাবা-মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে। বাচ্চাটি তো অবুঝ কিন্তু সে তো আর শিশুটির মতো নয়। ইস তার বাবাও তো বলেন, তার আয় কম, কিভাবে কিনে দেবেন অতো দামের জিনিস? স্কুলের স্যাররা বলেন, সৎ থাকতে হলে নাকি অনেক ইচ্ছা পূরণ করা যায় না। অসৎ হলে যা খুশি, তাই করা যায়। সে নিজেও তো বন্ধুদের কাছে মাথা উঁচু করে বলে, আমার বাবা অন্যায়ভাবে টাকা নেন না। আর তাকেই কিনা সে এভাবে কষ্ট দিয়েছে। ভাবতে ভাবতে আবারও চোখে পানি চলে আসে নাসিরের।
– কী ব্যাপার নাসির? এখনও অবাধ্য ময়লাটা বের হয়নি? কই দেখি দেখি?
– না-না, লাগবে না। এই তো বেরিয়ে গেছে।
– আচ্ছা, নাসির?
– বলেন।
– তোমার কি সময় হবে? তাহলে চল আমার সাথে। এই বেশি না। মাত্র দু-আড়াই ঘণ্টা। ওখানে দারুণ অনুষ্ঠান আছে। নাটকও হবে। দেখবে, অনেক ভালো লাগবে।
– হুম! আনমনে সায় দেয় নাসির।
তারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রবেশ করে দেখে যে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। একজন বক্তা বক্তব্য দিচ্ছেন। সর্বশেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও কবি মতিউর রহমান মল্লিক। তার বক্তৃতায় এক পর্যায়ে বলেন, যারা পিতা-মাতার সাথে খারাপ আচরণ করে তারা খুবই দুর্ভাগ্যবান। যারা বড়দের সম্মান করে না, ছোটদের স্নেহ করে তারা রাসূলের উম্মত নয়। তাই আসুন ভাল মানুষ ও রাসূলের একজন উম্মত হয়ে জীবনটাকে পরিবর্তন করি। নিজের জীবনের সকল খারাপ দিকগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে সুন্দর ও কল্যাণের পথ ধরি।
সেও তো চায় নতুন জীবন। ভুলগুলোকে পেছনে ফেলে নতুনভাবে ভাবতে চায় সে। জীবন পরিবর্তনের শপথ নেয় সে মনে মনে। আজ থেকেই সে ভুলগুলো শুধরে নিবে। অনুষ্ঠান শেষে ইবনুল ইসলাম পারভেজ বলে, চল যাই, ভাইয়া। চলতে শুরু করে দু’জন।
জীবন পরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর নাসির সম্মোহিতের মতো চলতে থাকে হঠাৎ দেখা পাওয়া সুন্দর মানুষটির সাথে সাথে। আগের নাসির হয়ে নয়, বদলে যাওয়া দ্যুতি ছড়ানো, আনকোরা এক নতুন নাসির হয়ে।