বুুয়েটে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখি
ইশতিয়াক আহমেদ
দ্বাদশ শ্রেণী, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম

অসাধারণরকম ছবি এঁকে, পেইন্টিং করে কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে সৃজনশীল যে কাউকে চমকে দিতে পারে সে। অমায়িক হাসি ও মিশুক স্বভাবের কারণে যে কেউই তাকে ভালোবাসতে বাধ্য হবে। দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে তার ভাবনার অন্ত নেই। স্বপ্ন দেখে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী পরিচালিত কলেজে পড়ার সুবাদে নৌ-বাহিনী ও তাদের দুরন্ত সামুদ্রিক অ্যাডভেঞ্চার তাকে আকৃষ্ট করে প্রচ-ভাবে। তাই সে একজন দেশপ্রেমিক নৌ-কর্মকর্তা হিসেবে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখে। পাশাপাশি চলবে উচ্চশিক্ষাও। সে চায় দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে পড়াশোনা করতে।
হ্যাঁ, এতোক্ষণ যার কথা বলা হলো, সে চট্টগ্রামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজÑ বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ। চট্টগ্রামের সীতাকু- এলাকায় তাদের স্থানীয় বাড়ি। বাবা পেশায় একজন সফল শিক্ষক এবং মা গৃহিনী। দু’ভাইয়ের মধ্যে সে ছোটো। অতীতের সব ক’টা পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএÑ৫ ছিলো তার দখলে। তার সাথে একান্ত আলাপে উঠে আসে আরো কিছু মজার তথ্য।
কিশোর পাতা : কেমন আছো তুমি?
ইশতিয়াক আহমেদ : ভালো।
কিশোর পাতা : এই যে তুমি এতো সুন্দর করে স্কেচ করো, পেইন্টিং করোÑ প্রশিক্ষণ নিয়েছো কোথাও? মানে, শিল্পকলা বা অন্য কোথাও?
ইশতিয়াক আহমেদ : না, সেরকম সুযোগ হয়নি। তবে ইচ্ছে আছে। এই আঁকাআঁকিটা শুরু করেছিলাম গত বছরের ডিসেম্বর থেকে। আমার একজন রুমমেট ছিলো, উনি অদ্ভুতসব স্কেচ করতেন। আমার ভালো লাগতো। সেই থেকে আমিও ট্রাই করছি। আমার জন্য এটা একটা শখের বিষয়। মন ভালো থাকলেই আঁকি। তবে আব্বু চান না আমি এইসব করি। তবু দেখা যাক…।
কিশোর পাতা : আচ্ছা, তুমি তো গ্রাফিক্সেও কাজ করো…!
ইশতিয়াক আহমেদ : হ্যাঁ। মজার বিষয় হলো, অনেক ছোটো বয়স থেকেই আমি এটা করি। তখন দুষ্টুমি করে একজনের মাথা অন্যের শরীরে লাগিয়ে দিয়ে মজা করতাম।
কিশোর পাতা : পেশাগত জীবনে তুমি একজন নৌ-কর্মকর্তা হতে চাও। এর বাইরে আর কোনো চয়েস আছে?
ইশতিয়াক আহমেদ : আসলে বাংলাদেশে চাকুরীর বাজার সীমিত কিনা, তাই এর বাইরে অন্যকিছু ভাবাটা আমার কাছে হতাশার। তবে শিল্প উদ্যোক্তা হওয়া যেতে পারে। এটা সম্মানের। এর মাধ্যমে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে তরুণরা এগিয়ে এলে দেশ এগিয়ে যাবে।
কিশোর পাতা : কখনো ইশকুল ফাঁকি দিয়েছো?
ইশতিয়াক আহমেদ : এখন তো দেয়া যায় না। আগে অনেক দিয়েছি, হা হা হা…। এখন একদিন কলেজে অ্যাবসেন্ট হলে পঞ্চাশ টাকা ফাইন, একঘণ্টা রোদে…! হা হা হা।
কিশোর পাতা : ভবিষ্যতে পড়াশোনা নিয়ে কী ভাবছো?
ইশতিয়াক আহমেদ : আমার তো বুয়েটই টার্গেট।
কিশোর পাতা : প্রতিযোগিতামূলক কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছো কখনো?
ইশতিয়াক আহমেদ : হ্যাঁ, অনেক। তবে গণিত অলিম্পিয়াডের সময় শহরের বাইরে ছিলাম বলে অংশ নিতে পারিনি।
কিশোর পাতা : তোমার সাফল্য কামনা করছি।
ইশতিয়াক আহমেদ : দোয়া করবেন আমার জন্য।
কিশোর পাতা : অনেক দোয়া। পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবে?
ইশতিয়াক আহমেদ : হ্যাঁ, সবাই দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসবেন। আর নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।
কিশোর পাতা : তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থেকো।

গ্রন্থনা : অর্ণব চৌধুরী

Share.

মন্তব্য করুন