মনু মাঝি। বয়স পঁচিশ কিংবা ত্রিশ। কপোতাক্ষর গা ঘেঁষে ওদের বাড়ি। বাবা বেঁচে নেই। অভাবের সংসার। হাল চাষ করার কোনো জায়গা নেই। তাই বাবার পেশাটা জীবিকার জন্য মনু বেছে নিয়েছে।
এলাকার সকলের কাছে এখন সে মনু মাঝি নামে পরিচিত। সবার কাছে অতি প্রিয়। মনু যখন দরাজ গলায় গান ধরে তখন যেন মন নদীর ঢেউয়ের সাথে একাকার হয়ে যায়। তারপর আছড়ে পড়ে নদীর কূলে। বাতাসে মিশে মুগ্ধ করে দেয় নদী পাড়ের মানুষের।
মনু লুঙ্গিটাকে শক্ত করে গিঁট দিয়ে নেয়। তারপর গামছায় বেড় দেয়। যাতে করে মাজা শক্ত হয়ে থাকে। মাথায় মাথালি। বৈঠা কাঁধে বেরিয়ে পড়ে ঘাটের দিকে। এটা তার পেশা। তাই এপারের মানুষ আর ওপারের মানুষের সাথে মনু মাঝির খুব ভাব। সারাদিন চলে মনু মাঝির।
সামনে পৌষ মাস। শীতের শুরুতে চাকলা গ্রামে মেলা বসে। একমাত্র মেয়ে আঁখি বায়না ধরে। এবার মেলা থেকে তার শাড়ি কিনতে হবে। ও ভীষণ জেদি। যা বলবে তা করতেই হবে। মনু মাঝি ভাবতে থাকে। শাড়ি কেনার জন্য যে টাকার দরকার! এই অতিরিক্ত টাকা সে কোথায় পাবে? আয় কম। কোনো রকম সংসার চলে। তারপর এই বায়না সে কেমন করে মেটাবে!
আঁখির বয়স নয় বছর। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত। বাবাকে দেখে দৌড়ে আসে। খিল খিল করে হাসতে থাকে। মনু মাঝি কোলে তুলে মুখে চুমু দেয়। মনে হয় তার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। আঁখি বাবার চোয়ালে দুহাত তুলিয়ে বলে- আব্বু, এবার আমার বউ শাড়ি দেবানেতো?
বউ শাড়ি মানে লাল টুক টুকে শাড়ি। মনুর হাসি মুখ যেন মুহূর্তেই ফিকে হয়ে যায়। এ টাকা সে কোথায় পাবে? তবুও ওর কথাতো ফেলে দেয়া যায় না। তাই শুকনো চেহারায় হাসি ফুটিয়ে বলে, আচ্ছা মা হবেখন।
আঁখি খুব খুশি হয়। বাবার কোল থেকে হাসতে হাসতে নেমে বলে-আব্বু তুমি খু-উ-ব ভাল। তারপর দাদির কাছে দৌড়ে গিয়ে বলে-দাদি আপু-আব্বু আমার বউ শাড়ি কিনে দেবে!…

দুই.
গভীর রাত।
মনু মাঝি ঘুমিয়ে গেছে। সারাদিনের ক্লান্তি তার দেহকে অবশ করে দেয়। তাই গভীর ঘুমে সে আচ্ছন্ন। হঠাৎ রাহেলা ডাক দেয়
– কই, কিছু শুনতে পাচ্ছ?
– নাতো!
– একটু ভালো করে শোন।
– হ্যাঁ, তাইতো!
মনু মাঝির চোখ থেকে তন্দ্রা কেটে যায়। সে কান খাড়া করে ভালভাবে শোনার চেষ্টা করে। কারা যেন ঘাটের ওপার থেকে তাকে ডাকছে।
সে অবাক হয়। এই গভীর রাতে কারা ডাকে!
ওরা কারা? রাহেলাকে চুপিচুপি বলে-ওরাতো আমাকেই ডাকছে।
– ডাকুক। এই রাতে তোমাকে যেতে হবে না।
– তাকি হয়? আমি তো খেয়া ঘাটের মাঝি। মানুষের আপদ বিপদ আমাকে ভুললে তো আর চলবে না।
– না-তবু তুমি যেয়ো না।
– ওরা হয়তো কোনো সমস্যায় পড়েছে।
– তা হোক। আমার কেমন জানি ভয় করছে।
– আরে না। ভয় পাবার আর কি হলো!
আমি হলাম খেয়াঘাটের মাঝি। ডাক্তার আর মাঝির নিজস্বতা বলতে কিছু থাকতে নেই। তাছাড়া এদের শত্রুও থাকে না। তুমি নিষেধ করো না। এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মনু মাঝি কথাগুলো বলে বাইরে নেমে আসে। তারপর বৈঠা কাঁধে হাঁটতে থাকে ঘটের দিকে। রাহেলা ফ্যাল ফ্যাল করে মনুর দিকে তাকিয়ে থাকে। জোসনার আলোতে যতদূর চোখ যায় ততদূরে। তারপর ক্রমশ অদৃশ্য হয়ে যায় মনুর চেহারা।
রাহেলা ভাবতে থাকে। অজানা আশঙ্কায় তার বুক কেঁপে ওঠে। তারপর মনু মাঝি দরাজ গলায় গান ধরে। যে গানের মাঝে নিজের জীবনের হাসি আনন্দ, দুঃখ, বেদনা লুকিয়ে থাকে। নদীর ঢেউ তরঙ্গে সে গানের সুর মিশে আছড়ে পড়ে নদী কূলের মানুষের মাঝে। সে গাইতে থাকে- ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে/ আমি আর বাইতে পারলাম না’-!

তিন.
চারদিকে কোলাহল।
দলে দলে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে। চোখে তাদের আতঙ্কের ছায়া। মৃত্যু ভয়ে সবকিছু ফেলে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অধীর হায় ওঠে।
রাত হলেই গুলির শব্দের কেঁপে ওঠে বুক। দুরু দুরু ভয়ে মানুষ যেন জড়ো সড়ো হয়ে যায়। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। জীবন নিয়ে খেলা। কেউ ভাবতে পারবে না মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। রক্ত নেশায় ছুটছে যুবকেরা। মৃত্যুকে যারা ভয় পায় না তাদের পরাজিত করা অনেক কঠিন।
এসব দেখে মনু মাঝির মন খারাপ হয়ে যায়। সেভাবে প্রতিদিন শত শত মানুষ পার হচ্ছে। কেউ যুদ্ধ করার জন্য আবার কেউ আত্মরক্ষার জন্য। কেউ ফিরছে আবার কেউ ফিরছে না। যারা ফিরছে না তারা হয়তো আর কখনো ফিরে আসবে না। জীবনের সবটুকু দিয়ে তারা দেশ মুক্তির জন্য অবদান রাখছে। কিন্তু আমি-?
রাতে শুয়ে আছে মনু মাঝি। সে ভাবতে থাকে। মনের অব্যক্ত যন্ত্রণায় অস্থির সে। নির্ঘুমের ক্লান্তিতে বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে থাকে।
রাহেলা মনু মাঝির মানসিক অস্থিরতা বুঝতে পারে। বলে, এখনো ঘুমাওনি?
-না।
– কেন?
-তা জানি না।
অজানা আশঙ্কায় মনু মাঝির বুক শুকিয়ে যায়। সে রাহেলাকে কি ফিরে বলবে এই বিভীষিকার কথা? মানব হত্যার গল্প? খুন আর রক্ত প্রবাহের দৃশ্যের কথা বললে রাহেলা শিউরে উঠবে। ভয়ে তার সমস্ত শরীর কাঁটা দিয়ে উঠবে। সে গাঁ গেরামের মেয়ে। এতো কিছু সয়ে নেবার মতো মনের শক্তি নেই। এসব ভেবে মনু চুপ থাকে। মনুকে চুপ থাকতে দেখে রাহেলা বলে কি ভাবছো?
– কই, কিছু না তো!
– তাহলে ঘুমিয়ে পড়।
– ঘুম আসছে না।
রাহেলা মনুর মাথায় বিলি কেটে দেয়। বলে, এবার ঘুমিয়ে পড়।
মনু মাঝি চোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকে। সারা দিন সারা রাত খেয়া পার করছি। কতো মানুষ পার হচ্ছে। কতো মনের মানুষের সাথে সাক্ষাৎ মিলছে প্রতি নিয়ত। সুযোগ সন্ধানীরা যুদ্ধকে পুঁজি করে নিজ স্বার্থ লুটে নিচ্ছে! মানুষের বাড়িঘর লুট করে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। অথচ তারাই আবার প্রকৃত যোদ্ধা বলে নিজেদের দাবি করতে কুণ্ঠাবোধ- করছে না। তবু মনু মাঝি বসে থাকাকে কাপুরুষের মতো বলে মনে করে। সে ভাবে, এই দেশ, এই মাটি এ কেবল আমার। এদেশের আলো বাতাস সবতো আমার দেহের সাথে মিশে আছে। এদেশের ধুলো বালি আর নদী পানি আমার হৃদয়ের সাথে একাকার হয়ে আছে। সে যাই করুক তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আমার দেশের জন্য, মাতৃভূমির জন্য সব কিছু করবো।
রাহেলা বলে- কী ভাবছো-?
– না, কিছু না!…
– নিশ্চয় কিছু নিয়ে ভাবছো।
– মনু মাঝি বলে, বলোতো আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি?
রাহেলা অবাক হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সংসার করে আসছে। অথচ এমন প্রশ্নতো কোনোদিন করেনি?
– বলো রাহেলা-!
– হঠাৎ এমন প্রশ্ন?
– আহা বলো না-!
– রাহেলা হাসতে হাসতে বলে-অ-নে-ক।
– আমার কাছে তুমি এমনই। জীবনের সবটুকু কেবল তোমারই জন্য। আমার অভাব আছে। টাকা পয়সা, সম্পদ বলতে তেমন কিছুই নেই। তবে তোমার প্রতি ভালোবাসার কোনো কমতি নেই। এই একটি জায়গায় আমি দরিদ্র নই। কিন্তু রাহেলা!
– কী ব্যাপার থেমে গেলে কেন?
– দেখ রাহেলা, তোমাকে ভালোবাসি। অনেক অনেক। তার পরিমাপ নেই। কিন্তু মনে রেখ তারও চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমি আমার দেশকে।
রাহেলা মনু মাঝির দু’হাত বুকে জড়িয়ে ধরে। বলে, দেখ, আমি অত শত বুঝি না। তুমি কেবল আমার। আর আমি কেবল তোমারই। জীবনে-মরণে আমি কেবল তোমার সাথেই থাকতে চাই। প্রতিদিন আমি যেন তোমার সাথে জীবনটাকে পার করতে পারি।

চার.
পড়ন্ত বিকেল।
সূর্যটা পশ্চিম আকাশে ক্রমশ মিশে যাচ্ছে। মনু মাঝি আজ আর দুপুরে খেতে আসেনি। রাহেলা অস্থির হয়ে ওঠে। এক পা দু পা করে এগিয়ে যায় ঘাটের দিকে। কপোতাক্ষ জোয়ার যৌবনে ততক্ষণে ফুলে উঠেছে। কানায় কানায় পানি। গাঙচিল আর কোয়াকগুলো ডানা মেলে নদীতে লাফালাফি করছে। বলাকারা ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাচ্ছে দূর দিগন্তে। অন্য কোথাও, আপন ঠিকানায়।
মনু মাঝির নাওখানি নদীর ঢেউয়ে দুলছে। মাঝিহীন নৌকা খানি শূন্যতা বুকে নিয়ে ভাসচ্ছে। শূন্য খেয়াঘাটের সাথে যেন অসম্ভব এক শূন্যতা বুকে ধারণ করে আছে নদী পাড়ের মানুষগুলো।
রাহেলার মন দুলে ওঠে। কী এক ভয়, কী এক শঙ্কা তাকে অস্থির করে তোলে। উথলে ওঠে রাহেলার মানস নদী। রাহেলা বুঝতে পারে বিত্ত বৈভব আর অঢেল সম্পদের মাঝেই কেবল প্রেম সীমাবদ্ধ নয়। অশরীরী খেদহীন এক অনিবার্য প্রাপ্তির নাম ভালোবাসা।
কিন্তু যে আজো বুঝে উঠতে পারে না তার কাছ থেকে মনু এভাবে পালিয়ে যাবে। কখনো ভাবতে পারেনি একমাত্র মেয়ে আঁখিকে ফেলে সে অন্য কোথাও থাকতে পারে। অবুঝ আঁখির কচি মনের জিজ্ঞাসাগুলো রাহেলাকে বার বার কষ্ট দেয়।
রাহেলা আঁখির প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারে না। আম্মুর গলা জড়িয়ে যখন সে বলে- বলো আম্মু, আব্বু কনে গেছে? কখন আসবে?
নিশ্চুপ রাহেলার দিকে সে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তারপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে- আব্বু তুমি কনে গিছাও? তোমার জন্য আমার মন কানদে। তাড়াতাড়ি বাড়ি আস। আমার বউ শাড়ি আনতে ভুলো না যেনো। মেলাতো এসে গেল! শিগগির বাড়ি আস।
মেয়ের কথা শুনে রাহেলার চোখে পানি আসে। তার গ-দেশ ভিজে যায়। মনের মাঝে হাবিয়া দোজখের মত জ্বলতে থাকে। বেদনার অগ্নিশিখা লেলিহানের মতো থেকে আরো তীব্রতর হয়। তারপর তা কু-লীর মত পাক খেতে থাকে রাহেলার মাথার ওপর।
রাহেলা কতো তাঙ্গির কিনারে এসে বিষণœ মনে বসে থাকে। শূন্য আটের মতো তার বুকের মাঝে অথৈ শূন্যতা। কষ্টের ঢেউগুলো যেন নদীর ঢেউয়ের সাথে একে একে মিশে যাচ্ছে। তারপর গোলপাতা বোঝাই নৌকার পালে ধাক্কা খেয়ে আবারও ফিরে আসছে তার কাছে। আঁখির প্রতি যার এত ভালোবাসা এত স্নেহ, আদর আর প্রেম সে কি করে তাকে ভুলে থাকতে পারে? মনু কি সত্যিই আমাদের ফাঁকি দিয়েছে! নাকি ভুলে গেছে আমাদের কথা! তার বিশ্বাস হতে চায় না। তাই বার বার নিজেকে জিজ্ঞাসা করে।
সংসার জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না সব যেন মনুর কাছে একাকার হয়ে গেছে। তানা হলে সে কাউকে কিছু না বলে যেতে পারত না।
রাহেলা বিড় বিড় করে বলে- স্বার্থপর কোথাকার! নিজের সুখের জন্য স্ত্রী-সন্তান ফেলে যেতে তোমার লজ্জা করলো না? তবে ফিরে একদিন আসতেই হবে। এইখানে। আমার কাছে। সেদিন সব কিছুরই হিসেব দিতে হবে।

পাঁচ.
রাহেলা সারা রাত নির্ঘুমে।
চারপাশে কেবলই বুলেট বোমার শব্দ। ভারী কামানের শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে তাবৎ এলাকা। শুধু কান্নার শব্দ। বাঁচাও বাঁচাও বলে গগনবিদারী আর্তচিৎকারে ভারী হচ্ছে আকাশ বাতাস। কোথাও যেন পালানোর ঠাঁই নেই। একদিকে স্বার্থলোভী মানুষের লুণ্ঠন, অন্যদিকে হত্যার মহোৎসব!
এক হৈ চৈ, এত উৎকণ্ঠা কিসের জন্য? কেন এই রক্ত খোলা? বিপন্ন মানুষের চোখে কিসের স্বপ্ন? একি স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন? একি আশার ছবি না হতাশার দাবি? কিছুই জানে না মানুষ।
কৃষ্ণচূড়ার জালগুলো রক্তলাল। মনে হয় এই মাত্র যুদ্ধের মাঠ থেকে ফিরে এসেছে বিজয়ীর বেশে। সে যেন হাসছে আর হাসছে। হালকা বাতাসে ফুলের পাপড়িগুলো দুলে ওঠে। রাহেলা ভাবে- এই আর অন্য কিছু নয় এ যেন মনুর নাওখানি ঢেউ তরঙ্গে দুলছে।
রাহেলা তখন শিহরিত হয়। অস্ফুটে বলে- হে মাঝি একটু থাম। তোমার নাওখানি নিয়ে এদিকে একটু আস-! আমাকে নিয়ে চল তোমার সাথে! এই সংকুল সংকটাপন্ন পৃথিবী থেকে আমাকে রক্ষা করো। স্বার্থের লাগাম ধরে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। আমার ভয় হয় এই ঝড়ের পরেই যেন আরেক ঝড় ধেয়ে আসছে!
আঁখি মার কাছে ছুটে আসে। দু’হাত বাড়িয়ে দেয়। তারপর হাসতে হাসতে মার গলা জড়িয়ে ধরে। আদর করে মুখে চুমো খায়! বলে- আম্মু আমার কোলে নাও না! চুমো দাও মা! আহা দাও না মা! তানা হলে
-তা না হলে কী?
– আব্বু এলে সব বলে দেব।
– কি বলে দিবি, বলতো?
– বলবো তুমি আমায় আদর কর না, চুমো দাও না। আরো!
রাহেলা আঁখিকে বুকে জেিড়য় ধরে। তারপর শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে নেয়। আঁখি মার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। বলে- আম্মু, তুমি কানছো কেন?
– ও কিছুনা। মা!
– তাহলে?
আঁখির কথার আর কোনো উত্তর না দিয়ে ওর কচি মুখ খানিতে চুমো খেয়ে বলে- চলো মা! আমরা বাড়ি যাই।
রাহেলা নদী পাড় থেকে উঠে দাঁড়ায় বাড়ি ফেরার জন্যে। হঠাৎ দূর থেকে ভেসে এলো- ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে। আমি আর বাইতে পারলাম না।’

Share.

মন্তব্য করুন