শেষ পর্যন্ত ছেলেমেয়ের আবদার মেনে নিলেন রফিক সাহেব। ওদের আবদার এবার গ্রামে যাবে। গ্রামেই ঈদ করবে। বাবা রফিক এই আবদার মেনে নিতে পারছিলেন না। কারণ তিনি হিসাব করে দেখেন, সামান্য এই টাকা খরচ করে গ্রামের বাড়ি গেলে সারা মাস না খেয়ে থাকতে হবে। তাছাড়া ঋণ করে তা শোধ করবেন কিভাবে।
রফিক একজন লেখক, সবাই কবি বলে জানে। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করে যা পান তা দিয়ে কোনোমতে চলে তার অভাবের সংসার। তার এক ছেলে এক মেয়ে। সাইফ আর সাদিয়া। সাইফ বড় আর সাদিয়া ছোট।
গত কয়েক বছর পরিবারের কেউ গ্রামের বাড়িতে ঈদ করেনি। কোথাও যেতে হলে তো একটা ছোটখাটো বাজেটের প্রশ্ন আসে। অন্তত মার জন্য তা একটা কাপড় নিতে হবে। তা ছাড়া সাদিয়া বারবার নতুন জামার জন্য বিরক্ত করছে। অবশ্য সাইফ বলেছে, বাবা আমার নতুন জামা কিনা লাগবে না। সাইফ এখন একটু বড় হয়েছে। সে বাবার কষ্ট বোঝে। সাদিয়া তো ছোট। এখনো তার বুঝার বয়স হয়নি। ফলে সে শুধু বাবাকে বিরক্ত করে। বাবা সাদিয়াকে খুব ভালোবাসে। ফলে তার আবদার রক্ষা না করে নিস্তার নেই।
সেই ত্রিশ বছর আগে গ্রাম ছেড়েছেন রফিক। তারপর খুব একটা গ্রামে যাওয়া হয় না। শুধু বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে গিয়েছিলেন। তাও তিন দিন পর আবার চলে এসেছেন। এই শহরে যারা বসবাস করছে তাদের বেশিরভাগ লোক গ্রাম থেকে এসেছে। কিন্তু সবাই দালানে বাস করে। ফলে অনেক টাকা বাসাভাড়া বাবদ খরচ হয়ে যায়। গ্রামে যারা ছন-টিনের ঘরে বাস করে তাদের কি রাতে ঘুম হয় না? হয়। হয়তো বৃষ্টি এলে ভাঙা চালের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ঘরে। আর শহরে যারা বিল্ডিংয়ে থাকেং ঝড়-বৃষ্টি হলে একটা পাতলা চাদর টেনে নাক-মুখ ঢেকে আরামে ঘুমায়।
তবু সব মানুষের অতীত আছে। রফিক সাহেবেরও অতীত ছিল। তিনিও যে গ্রামের মানুষ। একদিন ঘুম ভাঙতো পাখির গানে আর মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের শব্দে। তারপর মধুমতির কিনারে ঘুরে ঘুরে বেড়াতেন। তালপিয়ালের বনে পাখিদের সাথে কথা বলতেন। ঘাসফুল আর লটকন জবার সাথে ভাব জমাতেন। মধুমতির পানিতে সকালবেলায় চিকচিকে রোদের ঝিলিক তার মনটাকে নাড়া দিত। নদীর কূল ঘেঁষে হাঁটতেন। একসময় নদীর পানিতে নেমে আরাম করে গোসল করতেন। সাঁতার কাটতেন। ফলে মনটা গ্রামের টানে। দু’নয়নে গ্রামটাকে দেখতে মন চায়।
এ নিয়ে চিন্তিত রফিক। হিসাব মিলাতে পারছেন না। আসা-যাওয়ায় কম করে হলেও এক হাজার টাকার প্রয়োজন। তার ওপর আনুষঙ্গিক খরচ। রফিক সাহেব নিজেও অসুস্থ। একটু চিন্তা করলেই রক্তচাপ বেড়ে যায়। চিন্তা তো এমনিতেই চলে আসে। কারণ সামান্য লেখালেখির টাকা দিয়ে তো আর সংসার চলে না। সারাদিন খাটুনির পরও মাস শেষে ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। আজও টাকার জন্য ওষুধ কিনতে পারেনি। বাকি নেয়ার দোকানটাও বন্ধ। ফলে রক্তচাপ অনেক বেড়ে গেছে। যতক্ষণ রাজুদের সাথে ছিল ততক্ষণ কিছুটা ভালো লেগেছে। বাড়ি ফিরতেই আবার সব চিন্তারা গিজগিজ করে ধরেছে। ফলে শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিল।
চোখে ঘুম নেই। গ্রামের অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। মনে পড়ছে মরহুম বাবা-মা আর ছোটবোন ফাতেমার কথা। ফাতেমার কথা মনে পড়তেই চোখ থেকে দু’ফোঁটা নোনাপানি গড়িয়ে পড়ল।
সেদিন ছিল ধুলোটে আকাশ। ঠিক মাথার ওপর সূর্য। বাইরে প্রচ- রোদ। তাকানো যায় না। চোখ জ্বালা করে। ছোটবোন ফাতেমা বিছানায় শুয়ে তাকিয়ে আছে। অসুখী এক চেহারা। দুটো চড়–ই দরজার সামনে বেশ লাফালাফি করছে। চড়–ই পাখির মতোই দুরন্ত ছিল ফাতেমার মন। এপাড়া ওপাড়া কত ঘুরে বেড়িয়েছে। আজ সে বড় একা। অসুস্থতার কাছে সে বন্দি। ধুলো-মাটি মাখানো শরীর নিয়ে বাবা এলেন মাঠ থেকে। গরুর দুটো গোয়াল ঘরে বেঁধে ঘরের কোনায় আমগাছটার নিচে এসে বসেন। মা আগেই গামলার পানিতে খড় ভিজিয়ে রেখেছিলেন। খানিক বিশ্রাম নিয়ে গায়ের গেঞ্জিটা খুলে রাখেন। কাঁধে একটা লুঙ্গি আর গামছা ফেলে নদীতে চলে যান গোসল করতে।
মা রান্নার কাজ সেরেছেন অনেক আগেই। ঘর-দুয়োর ঝাড়– দেয়াও শেষ হয়ে গেছে। মাটির কলসটা হাতে নিয়েছেন মা। গোসল করতে যাবেন। এ সময় রফিক ঘরে ঢুকেছেন। কাঁধে ঝুলানো একটি ব্যাগ। দু’মাস পরে বাড়ি আসা। সে মাগুরা শহরের একটি কলেজে পড়ে। রফিককে দেখে ফাতেমা চিৎকার করে ওঠে। ভাইয়া তুমি আইছ!
রফিক ফাতেমাকে আঁকড়ে ধরে। তোর চেহারা এমন হইছে ক্যানরে ফাতু? জিজ্ঞেস করে রফিক। ফাতেমা উত্তর করে না। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। ফাতেমার শরীরে ঘাস জমে আছে। কিন্তু তখনো তার শরীরে প্রচ- জ্বর।
বাবা গোসল সেরে এসেছেন। ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে রফিককে নিয়ে খেতে বসেছেন। চোখের কোণে পানি চিক চিক করছে। কান্না চাপাতে না পেরে বাম হাতে লুঙ্গি দিয়ে চোখ মোছেন। রফিক বাবার কান্নার ভাষা বুঝতে পারে। টাকার জন্য ফাতেমার চিকিৎসা করতে পারছেন না। বাবার দিকে তাকিয়ে রফিক বলে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না বাবা। ফাতুর অসুখ সেরে যাবে। আমার কাছে পাঁচ শ’ টাকা আছে। আমি টিউশনি করে পেয়েছি। আমার আজকে আসার ইচ্ছা ছিল না। হঠাৎ সবার কথা মনে পড়ে গেল। সেদিন স্বপ্নে দেখি, ফাতু আমাকে বলছে, ভাইয়া তুমি নাই দেখি বাপজানের খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই আর থাকতে পারলাম না। চলে এলাম।
রফিকের কথা শুনে বাবা-মার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। ফাতেমা বিছানায় শুয়ে উদাস দৃষ্টিতে সেই দৃশ্য দেখে। তারপরও বলে : ভাইয়া একটা কথা কইসু
: কি বলবি বল।
: আমার না নতুন জামা পরতে ইচ্ছা করছে। এবার ঈদে একটি নতুন জামা কিন্না দিবা। রফিকের প্রতি-উত্তরে কিছু বলার আগেই ফাতেমা মাথার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে ওর শরীর। রফিক পায়ের নিচ থেকে ভারী কাঁথাটা টেনে ফাতেমার গায়ে জড়িয়ে দেয়।
একসময় বিকেল গড়িয়ে সাঁঝ নেমে আসে। ছাই রং আকাশে। সূর্য লাল আভা ছড়িয়ে চোখের অন্তরাল হয়েছে। দূরের পাখিরা ঘরে ফিরে যাচ্ছে। বাইরে মায়াবী জোসনা। নীরব প্রকৃতি। মানুষজনের কোনো সাড়াশব্দ নেই। উঠোন দিয়ে একটা শেয়াল দৌড়ে যাওয়ার শব্দ হয়। ঝিঁ ঝিঁ পোকার তেমন ডাক শোনা যাচ্ছে না। রাত কত হবে সঠিক করে বলা মুশকিল। চাঁদ কিছুটা পশ্চিম আকাশে হেলে গেছে। বেড়ার ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো ঘরে ঢুকছে। মা ফাতেমার মাথায় পানি ঢালছেন। রফিক বসে আছেন ফাতেমার পাশে। হঠাৎ জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ে ফাতেমা। সেই সাথে বড় বড় চোখ করে পা খিুঁচতে থাকে। মা কাঁদছেন। বাবা পাশে দাঁড়িয়ে। রফিক দৌড়ে যায় ডাক্তারবাড়ি। উঁচু-নিচু জমির মাঝখানে দিয়ে ছুটে চলেছে। স্নিগ্ধ বাতাস এসে হোঁচট খায় রফিকের নাকে-মুখে। মাঝে মাঝে শক্ত, মাটির ঢেলায় পা ফসকে যায়। তবু দৌড়ে ছোটে। আকাশে হালকা মেঘ। বাতাসে ভেসে বেড়ায় আর চাঁদের সাথে লুকোচুরি খেলে। অন্যদিন হলে রফিক আকাশের দিকে তাকিয়ে খেলা দেখতো। কবিতা লিখতো। উঁচু-নিচু জমি পেরিয়ে রফিক বড় রাস্তায় ওঠে। হাঁপাতে হাঁপাতে রফিক ডাক্তার নলিন বাবুর বাড়িতে উঠানে পা রাখে একটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ছুটে আসে। ঘরের ভেতর থেকে বুড়ো মানুষের গলার আওয়াজ। পলিন দেখতো বাইরে কুত্তাডা এমন ঘেউ ঘেউ করছে কেন? চোর আইছে নাকি? রফিক উত্তর দেয়, চোর না। আমি গোপালনগরের রফিক। নলিন দা আছেন? আমার বোনের খুব অসুখ, আমার সাথে একটু যেতে হবে। ঘরের ভেতর থেকে পলিন বাবুর জবাব, না বাবু এত রাতে আমি যেতে পারব না। রফিক গোখরা সাপের মতো ফুঁসতে থাকে। সারা শরীর রি রি করে। এই গ্রামে একটাই ডাক্তার। তাও তাকে প্রয়োজনে পাওয়া যায় না। রফিক অসহায় হয়ে বাড়ির পথে ছুটল। বাড়ির কাছাকাছি এসে তীক্ষè কান্নার শব্দ শুনতে পায়। ও বুঝতে পারে ফাতেমা আর নেই।
এমন ধরনের কত স্মৃতিই না আজ রফিকের মনে পড়ছে। রাতও অনেক হয়েছে। চোখে ঘুম নেই। মাথা এবং ঘাড় টনটন করছে। রক্তচাপ আরো বেড়ে গেছে। মনে মনে ভাবে, শরীর এমন খারাপ করলে সকালে বের হবে কী করে। তবু যে তাকে বের হতে হবে। লেখার বিলগুলো সংগ্রহ না করলে তো আর ঈদের পরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন করা যাবে না। এক সময় মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসে আজানের মিষ্টি শব্দ, আসসালাতু খাইরুম মিনাননাউম। বাইরে পাখিরা কিচিরমিচির করছে। বিছানা ছেড়ে উঠলেন রফিক।
যথারীতি অন্যদিনের মতো প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন রফিক। সারাদিন ঘুরলেন কিন্তু ঈদের পরিকল্পনা করার মতো টাকা তার হাতে আসেনি। ভাঙা মন নিয়ে ফিরে আসেন ঘরে। সাদিয়া এসে জড়িয়ে ধরল।
: আব্বু আমাকে লাল জামা কিনে দিতে হবে।
: মাথা নেড়ে বললেন রফিক, হ্যাঁ মা অবশ্যই দেব।
ঘরে স্ত্রী মুহসেনা আর একমাত্র ছেলে সাইফ ছাড়া আর কেউ নেই। হঠাৎ রফিক মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। স্ত্রী মুহসেনা রফিককে বেবিটেক্সিতে নিয়ে অনেক হাসপাতালে গেলেন। কিন্তু কোথাও সিট পাওয়া গেল না। অবশেষে তার একবন্ধু ডাক্তারের কাছে নিয়ে হাজির হয়। ডাক্তার বন্ধু বললেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। মুহসেনা বুঝতে পারে রফিক আর নেই। পরদিন সকালে ছড়িয়ে পড়ল, কবি রফিক আর নেই। পত্রিকার পাতায় বড় বড় ছবি ছাপা হলো। টেলিভিশনেও দেখানো হলো, দেশব্যাপী শোকের ছায়া। সবার মুখে মুখে একই কথা ‘হিজল বনে পালিয়ে গেছে পাখি’।
এক এক করে রমজান মাসও শেষ হয়ে গেল। কোন ঈদ। সাইফদের বাসায় ঈদের কোনো কর্মসূচি নেই। বাবার বন্ধুরা একে একে এসে দেখা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কারো মনে আনন্দ নেই।
পাশের বাসার দীপু সাইফকে ডেকে নিয়ে গেল ছাদে। ওরা ঈদের নতুন চাঁদ দেখবে। চাঁদ দেখার দারুণ উত্তেজনা নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল আরো অনেকে। সাইফ ও দীপুকে দেখে সবাই খুশি। কিন্তু সাইফের মনে যে আনন্দ নেই। বারবার বাবার কথাই মনে পড়ছে। বাবা থাকলে আজ কত মজাই না হতো ঈদের নতুন গান লিখতেন। বলতেন ‘সাইফ দেখি গত বারের ঈদের গানটা গা তো!’
পশ্চিম আকাশে বিদায়ী সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে আছে। টুকরো মেঘের রঙিন ভেলা বিদায়ী সূর্যের ঘাটে ভিড়ে আছে। এক সময় মেঘ কেটে গেল। পরিষ্কার আকাশে উঁকি মারল নতুন চাঁদ। সবাই খুশিতে হই হই করে উঠল। সাইফ মলিন মুখে বাসায় চলে এল। ঘরে কারো মুখে হাসি নেই। ছোট্ট সাদিয়া বার বার বলছে, ভাইয়া আব্বু ঈদের জামা নিয়ে কখন আসবে? সাদিয়া জানে না আব্বু যে আর কখনো ঈদের জামা নিয়ে ফিরে আসবে না। সাইফ সাদিয়াকে নানাভাবে বুঝাতে বুঝাতে ঘুম পাড়িয়ে দিল।
আজ ঈদ। চারদিকে অফুরন্ত আনন্দ। প্রকৃতিও যেন আলন্দে বিভোর। বাগানে সবচে বড় জবার কুঁড়িটা তার পাপড়ি মেলে দিয়েছে। যেন তার প্রিয় কবিকে ঈদ মোবারক জানানোর জন্যই সে আজ জেগে উঠেছে। ছোট্ট চড়–ই পাখিগুলো জানালার ধারে এসে কিচিরমিচির ডাকছে। আর যেন বলছেন, কইগো কবি জেগে ওঠো, আমাদের সাথে আনন্দে শরিক হও।
পাখিদের মিষ্টি ডাকে সাইফ জেগে উঠল ঘুম থেকে। সাদিয়ারও ঘুম ভেঙেছে। সাদিয়া আম্মু আর ভাইয়াকে বিরক্ত করছে।
: আম্মু আব্বু কই! আমার নতুন জামা কই!
মা মুহসেনা কোরআন শরিফ পড়ছেন। চোখ থেকে টপ টপ করে পানি ঝরছে। সাইফ বাগানের ধারের জানালাটার পাশে সাদিয়াকে নিয়ে বসে বসে ফুটন্ত গোলাপের শরীর থেকে টপ টপ করে ঝরে পড়া শিশিরকণা দেখছিল। মনে হয় যেন ফুলেরাও চোখের পানি ছেড়ে কেঁদে কেঁদে সাদিয়াকে বলছে, ওগো, ফলের কবি পাখির কবি আসে না আর কেন। এর মাঝে একটি প্রজাপতিও গিয়ে ফুলের গায়ে বসল। যেন তারা গলাগলি করে তাদের প্রিয় কবির বিয়োগ ব্যথায় ভেঙে পড়েছে। প্রজাপতি দেখে সাইফের বাবার লেখা প্রজাপতি ছড়াটির কথা মনে পড়ে গেল। মনে হয় এটাই তাদের সবার জন্য ঈদের পুরস্কার।
‘প্রজাপতি প্রজাদের খোঁজ কিছু নিও
ঈদ এলে হাতে হাতে ঈদকার্ড দিও।’

Share.

মন্তব্য করুন