রামাদান এলে
তোরাব আল হাবীব
রামাদান এলে দেখি
মুমিনেরা যতো,
দুনিয়াবি কাজ ভুলে
ইবাদতে রত।
রামাদান এলে দেখি
কুরানের সুরে,
বিধাতার প্রেম জাগে
হৃদয়ের পুরে।
রামাদান এলে দেখি
ফজরের আগে,
সাহরিতে খেতে সব
রোজাদার জাগে।
রামাদান এলে দেখি
তারাবির তরে,
মসজিদ পানে লোক
সোজাপথ ধরে।
আমার দেশ
মুম্ফাজুল ইসলাম
আমার দেশটি খাঁটি সোনা
শস্য শ্যামলা ভরা
ছবির মতো দেখতে লাগে
রূপকথায় মোড়া।
আমার দেশে সবাই ভালো
সবাই দেশের আলো
এই দেশেতে জ্বালবো মোরা
ঘরে ঘরে সুখের আলো।
আমরা যারা আছি ছোটো
করবো নাকো ভয়
এই ভাবে এগিয়ে গিয়ে
করবো গোটা বিশ্ব জয়।
প্রবাসী
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মাহে রমজান
সাইফ জুয়েল
পরিশুদ্ধ করতে আবার
এ মাহে রমজান,
রহমতেরই ছায়া নিয়ে
করছে আহবান।
ক্ষমা পেতে অতীত যত
গুনাহ অফুরান,
মাগফিরাতের সুধা পেতে
চাইছে মুমিন প্রাণ।
রহম দুয়ার খুলে দিয়ে
ডাকেন রহমান,
নাজাতে সব ধন্য হয়ে
করবে যে শুকরান।
সকল মাসের সেরা এ মাস
প্রভুর অপার দান,
রোজাদারের জন্য খুলে
দিলেন যে রাইয়ান।
স্বপ্ন
আবুল হোসাইন
স্বপ্ন আমি দেখি অনেক
ঘুমে কিংবা জেগে
সব স্বপ্ন হয় না পূরণ
তবু আছি লেগে।
স্বপ্ন আমি দেখি অনেক
পাখির মত উড়তে
ইচ্ছেমত পৃথিবীটা
স্বাধীনভাবে ঘুরতে।
স্বপ্ন আমি দেখি অনেক
সাগর দেশে গিয়ে
খুঁজব সেথায় মণি মুক্তা
এক ডুবুরি হয়ে।
মধুমাসের মধুফল
মতিউর মিয়াজি
.
মধুমাসের মধুফল
খেতে ভারি স্বাদ
মিলেমিশে খাবো সবে
কেউ যাবে না বাদ।
আম পেকেছে জাম পেকেছে
মনে যে আহ্লাদ
ফিরে এলো মধুমাস
ভাঙলো খুশির বাঁধ।
সবে মিলে খাবো ফল
মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ
নতুন নতুন ফলের বাগ
করবো রে আবাদ।
আমার আছে মা
জুবায়ের বিন ইয়াছিন
আমার রাতের চাঁদ লাগে না
রূপোর আলোর বাঁধ লাগে না
ঝরনা পানির স্বাদ লাগে না
আকাশ দেখার ছাদ লাগে না
মিথ্যে ওসব ধূসর বুক-
কারণ, দেখি মায়ের মুখ।
আমার কোনো ঘর লাগে না
আপন কিবা পর লাগে না
মায়ার কোনো স্বর লাগে না
রোগ-ব্যথাতেও ডর লাগে না
মিথ্যে ওসব অলীক বোলÑ
আমি ঘুমাই মায়ের কোল।
নদীর মাতাল ঢেউ লাগে না
আনন্দ সুখ, সেও লাগে না।
মিথ্যে ওসব মেকি ছাইÑ
কারণ, মায়ের আদর পাই।
ভাবনা
মুহাম্মদ ইমরান
হঠাৎ করে বিদ্যালয়টি দাঁড়িয়ে আছে সোজা
হঠাৎ করে এমনি এমনি হয়ে গেছে মোজা!
হঠাৎ করে তোমার কাছে পেন্সিল এসে গেছে
এমনি এমনি খাতা কলম তৈরি হয়ে গেছে!
জামা কাপড় হঠাৎ করে সামনে আসে চলে
হঠাৎ করে বাসার চুলোয় আগুন ওঠে জ্বলে,
এমন কথা শুনো যদি কেমন তোমার লাগবে?
বললে কেহ এমন কথা পাগল তারে ডাকবে।
বিশাল আকাশ গ্রহ তারা কেউ করেনি সৃষ্টি
আকাশ হতে যখন যেমন হয় যে এমনি বৃষ্টি।
বললে কেহ এসব কথা পাগল বলবে সবে
বলবে তুমি এসব কিছু কেউ করেছে তবে!
সারা বিশ্ব রবি শশী কে করেছে সৃষ্টি?
দেখার জন্য বিশ্বটাকে কে দিয়েছে বৃষ্টি?
সৃষ্টি করলো কে তোমাকে এত নিখুঁত করে?
কার হুকুমে আকাশ থেকে অঝোর বৃষ্টি ঝরে?
খুঁটি ছাড়া আকাশটাকে কে সাজালো বলো?
জানতে হলে আমার সাথে একটুখানি চলো।
তিনি হলেন আল্লাহ তায়ালা তিনি সবার প্রভু
কত দয়া করেন তিনি ভুলে যে যাই তবু।
ইচ্ছে আমার
তাহেরা জান্নাত
ইচ্ছে করে পাখি হয়ে
উড়বো আকাশে,
ইচ্ছে করে ঘুড়ি হয়ে
ভাসবো বাতাসে।
ইচ্ছে করে পলি হয়ে
ভিজবো নদী জলে,
ইচ্ছে করে থাকতে আমার
বলাকার ঐ দলে।
ইচ্ছে করে বকুল হয়ে
সুবাস ছড়াবো,
ইচ্ছে করে দস্যি হয়ে
শিউলি কুড়াবো।
ইচ্ছে করে কোকিল হয়ে
গাইবো আমি গান,
ইচ্ছে করে গোলাপ হয়ে
ভাঙবো অভিমান।
জোছনা রাতের পথিক
আল ফারুকী
হাঁটতে থাকি, হেঁটে চলি, হেঁটেই করি পার
মায়ার বাঁধন হাতছানি দেয় পিছনে বারবার!
গাছ-গাছালি, পাখ-পাখালি আরও কতো কী
ফিসফিসিয়ে, কলকলিয়ে খেলায় রত কি?
বারে বারে থমকে দাঁড়াই, থামে চলার ছন্দ
মগ্ন হয়ে নিবিড় ধ্যানে নিচ্ছি ফুলের গন্ধ।
হাঁটতে থাকি, হেঁটে চলি, যাবো যে কদ্দুর
নদী ডাকে, পাহাড় ডাকে, কণ্ঠে বিলাপসুর!
তবু আমি চলছি একা সঙ্গী তো নেই কেউ
দূরের পাহাড় চলছে সাথে, চলছে নদীর ঢেউ,
চলছে সাথে মেঘ-মেঘলা, চলছে পূর্ণচাঁদ
এই পথিকের সঙ্গী হতে হয় বুঝি গো সাধ!
হাঁটতে থাকি, হেঁটে চলি, হেঁটে যে পাই সুখ
একার মাঝেও সঙ্গী অনেক ভাবতে ভরে বুক।
আঁধার ঝোপে মায়ার খেলায় জ্বালায়-নিভায় বাতি
লক্ষ-কোটি জোনাক পোকা হয় যে আমার সাথী।
জোছনা রাতের আলো-আঁধার করছে আহ্বান
তাইতো আমি রাতের পথিক, পথেরই মেহমান।
বলতে পারো
জাকারিয়া আল হোসাইন
বলতে পারো ধরাটা কার, কার নিয়মে চলে
রোজ নিশিথে জোনাক কেন মিটিমিটি জ¦লে,
বলতে পারো আকাশ পানে পাখি কেমনে উড়ে
মনের সুখে মুক্ত হাওয়ায় ডাকে কেন সুরে?
শোন তবে এখন খোকা বলছি তোমায় আমি
এই ধরাতে আছে একজন মহান অন্তর্যামী
তাঁর ইশারায় চলে নদী চলছে এই ধরা
তিনিই হলেন স্রষ্টা সবার সবই তাঁরই গড়া।
ইচ্ছা জাগে
শামীম শিকদার
ফুল পাখিরা উড়ছে বেশ
মেলে তাদের ডানা,
তাদের দেখলে মনে হয়
অলস থাকতে মানা।
মনের সুখে উড়ছে তারা
দূর থেকে দূরে,
কাজ শেষে ফিরছে সবাই
অনেক পথ ঘুরে।
খোকার মনে ইচ্ছা জাগে
পাখির সাথে ঘুরতে,
নানান ভাবে শিখতে কিছু
নতুন মুহূর্তে।
লিড কবিতা
গ্রীষ্ম
জ্যোতির্ময় মল্লিক
কাঠফাটা রোদ ঝলসানো দিন
খাল নদী বিল শুকিয়ে ক্ষীণ।
পাখ-পাখালি পানির আশায়
এদিক সেদিক ঘুরছে হায়।
রোদের তেজে ভীষণ তাপে
মানুষ পশু ত্রাসে কাঁপে।
গনগনে রোদ গরম হাওয়া
শীতল ছায়া যায় না পাওয়া।
ধুলোর বহর যাচ্ছে উড়ে
যোজন থেকে যোজন দূরে।
সবাই বসে আপন মনে
বৃষ্টি আসার ক্ষণটি গোনে।
কবিতা
রমজান মাসে
হেলাল আনওয়ার
রহমত বরকত
বেশুমার পুণ্য
বেশি বেশি সম্মান
কোন মাসে আছে?
রমজান মাসে।
ইবাদতে মনটা
রাত আর দিনটা
আকুলতা ব্যাকুলতা।
নোনা বানে ভাসে
রমজান মাসে।
পুণ্যের মাস তাই
ভাবনার লেশ নাই।
নাজাত পাব ভাই
তাঁর ভালোবেসে
রমজান মাসে।
রহমত বরকত
এই তার হকিকত
তার প্রিয় বান্দা
থাকে নাতো বসে
রমজান মাসে।
কবিতা
জানবো ভালোবেসে
আহমদ বাসির
আয়রে এবার হারিয়ে যাবো
সেই অজানার দেশে
হারিয়ে গিয়ে আনবো নতুন
খবর অবশেষে!
এফ বি গুগোল টুইটারের বাইরে
অন্য কোথাও হারিয়ে এসো যাইরে
সাগর-মরু-বন-পাহাড় আর
আকাশ-বাতাস ভেসে!
যে জানে আর যে জানে না
দু’জন সমান নয়
যে জানে তার মনের ভেতর
আর থাকে না ভয়!
জানতে হবে, বুঝতে হবে ভাইরে
এর চেয়ে আর মজার কিছু নাইরে
বিশ্বজাহান ঘুরে ঘুরে
জানবো ভালোবেসে!
মোস্তফা শাওকী
আরেকটু দূর
হাত বাড়ালেই পাহাড়টা ছুঁই আরেকটু যাই যদি
আরেকটু দূর সামনে গেলেই বইছে চেঙ্গী নদী
মাঠ পেরুলেই সবুজ বন আর ছোট্ট কুটির ঘরে
বাঁশের বেড়ার ফাঁক গলিয়ে আলোর কুসুম ঝরে।
আকাশটাতে চোখ বুলিয়ে বিলের দিকে হাঁটি
ঘাসগুলোকে লাগছে যেন বিছিয়ে রাখা পাটি।
কে বিছালো ঘাসের পাটি সবুজ রঙের থামি
আকাশজুড়ে রঙ ছড়ালো শিল্পী তো সে দামি!
মাছরাঙা আর মৌটুসীদের দু’চোখ ভরা মায়া
বাঁশবাগানের ঠিক পাশেই একটুখানি ছায়া;
সেই ছায়াতে ক্লান্ত গতর বিছিয়ে ঘুমায় চাষি
আরেকটু দূর এগিয়ে কারো শুনতে পেলাম হাসি।
এসো এসো আমরা তোমায় গান শোনাবো কবি
আর দেখাবো গড়িয়ে পড়া ঝরণা ধারার ছবি!
ফুল
আজাহার গাজী
ফুল ফুল ফুল
ফুলে ভরা পৃথিবীতে
আছে শত ভুল,
ফুল ফুল ফুল।
সাদা ফুল কালো ফুল
কথা কাজে হলে ভুল
পরকালে নেই কুল
ফুল ফুল ফুল।
লাল ফুল নীল ফুল
হৃদয়েতে দেয় দোল
করো নাকো আর ভুল
ফুল ফুল ফুল।
তুমি ফুল আমি ফুল
এই ফুল সেই ফুল
এই কুল হারালেও
পাই যেনো ঐ কুল।