শুভ নববর্ষ
ফাতেমাতুজ জহুরা

বোশেখ এলো গানে গানে আমাদের দেশে,
উঠলো দুলে পাতার ঝাড় নতুন হাওয়ায় মিশে।
স্বপ্ন সুখে গাইতে থাকে টুনটুনিদের দল,
মিষ্টি রোদে উঠলো হেসে ছোট্ট নদীর তল।
নতুন ধানে কৃষক মনে খুশির বন্যা ছড়ায়,
বাউল ভায়া সুর যে তোলে সঙ্গী একতারাটায়।
নবীন বরণ হিমেল হাওয়ায় সাজ সাজ রব,
বোশেখীরই আনন্দেতে উঠলো মেতে সব।
ক্ষেতে-ক্ষেতে, বিলে-ঝিলে উড়ছে বকের ঝাঁক,
নতুন সুধায় ভরে ওঠে মৌমাছিদের চাক।
গাছে গাছে নতুন পাতার উপচে পড়া ভিড়,
নতুন দিনের নতুন আলোয় ভরলো সবার নীড়।

 

বোশেখ এলো
মাসুম বিল্লাহ

বোশেখ এলো নতুন আলোয়
করতে ভুবন আলোকময়,
বোশেখ এলো কষ্ট ভুলে
করতে জীবন জয়।
বোশেখ এলো নতুন গানে
সজীব করা প্রাণ,
বোশেখ এলো নতুন হাওয়ায়
মন মাতানো ঘ্রাণ।

 

অনেক দূরে
সাহেদ বিপ্লব

আমি এখন অনেক দূরে
নাই তো ঢাকার সিটিতে,
তাইতো আমার হয় না লেখা
সব কাগজের পিঠেতে।

ফেরবো কবে ধান সবুজের
আমার জন্ম ভূমিতে,
যত দূরে থাকি আমি
পারিনি দেশ ভুলিতে।

দেশের টানে লিখবো আবার
আসবো ফিরে দেশে,
জন্ম আমার জন্মভূমি
থাকবো ভালোবেসে।

 

শহিদের স্বপ্ন
আরিফ হোসেন সবুজ

রক্তে সোনার দেশটা আমার
রক্তে দেশের মাটি
বীর শহীদের রক্ত দামে
হলো যে তা খাঁটি।

এই দেশেরই ঐ আকাশে
স্বাধীন কেতন উড়ে
কেউবা আবার দিবস এলে
মাথায় দেখি মুড়ে।

বীর শহীদের স্বপ্ন ছিলো
হলে স্বাধীন দেশ
গরিব ধনী থাকবে মিশে
থাকবে হাসি বেশ।

আমার দেশ
নুসরাত জাহান রেসমি

আঁকা বাঁকা গায়ের পথ
শিশির দূর্বা ঘাসে
রোজ সকালে পুব আকাশে
সোনার রবি হাসে।
আমার দেশের ফুল ফসলে
জুড়িয়ে যায় প্রাণ
জীবন দিয়ে সেই দেশেরই
রাখব মোরা মান।

মৌমাছি
মারুফ আল্লাম নুরী

মৌমাছি বসে কেন ফুলে আর ফলে
দল বেঁধে কেন তারা একসাথে চলে
মৌমাছি মৌচাকে কোথা পায় মধু
মৌচাকে মধু রাখা কে শেখায় জাদু।

মৌমাছি চুপে চুপে যায় কেন বনে
মুখে নিয়ে কার নাম চলে আনমনে
মৌমাছি মৌচাকে মধু কেন রাখে
মধু মুখে মৌমাছি কাকে বেশি ডাকে।

মৌমাছি ফুল ফল কার কারুকাজ
যা আছে সবকিছু বল কার কাজ
বলি শোন মৌমাছি করে কার গান
আমাদের রব তিনি আল্লাহ মহান।

 

মাগো তোমার
ইশমাম কবির

মাগো তোমার ওই মুখের হাসি
লাগে অনেক ভালো
তুমি হলে চাঁদ মামার সেই
মিষ্টি মধুর আলো।

কতো আদর আর ভালোবাসা দিয়ে
বড়ো করেছো আমায়
সারাটা দিন আগলে রেখেছো
তোমার স্নেহের ছায়ায়।

মাগো তুমি যেও না কোথাও
আমায় একা ফেলে
তুমি ছাড়া মা আর কে আমায়
ডাকবে খোকা বলে।

 

নিজেই বোকা
শামীম শিকদার

দিনগুলো যাচ্ছে ধোঁকায়
বইগুলো খাচ্ছে পোকায়।
ধরি বলে হয়নি ধরা
জমে আছে অনেক পড়া।

বই নিয়ে ঘুরি লাজে
জড়িয়ে আছি অন্য কাজে।
ভাবুক বলে ভাবছি বেশ
কবে করব পড়ে শেষ।

হাতের কাছে পেয়েও রাখি
এখন আমি দিচ্ছি ফাঁকি।
সকালবেলা নানান কাজে
সন্ধ্যা হলে ঘুমের ভাঁজে।

মাঝে মাঝে ছাড়ছে আলো
ভাবি আমি আছি ভালো।
বইকে আমি দিচ্ছি ধোঁকা
নাকি হচ্ছি নিজেই বোকা।

 

মনে পড়ে দাদু
ইমন আহমেদ আশিক

দাদু তুমি চলে গেলে
এই দুষ্টুকে ছেড়ে
তোমার কথা মনে পড়লে
মন যে কেমন করে।

তুমি ছিলে আমার সঙ্গী
সব ব্যস্ততার ভিড়ে
নিত্যদিনের সময় কাটাতাম
তোমার আদর জুড়ে।

তোমায় নিয়ে ঘুরতাম কতো
মেঠো মেঠো পথে
পুরনো সব গান শুনতাম
তোমার মিষ্টি সুরেতে।

 

সুন্দর মন
শোয়াইব

রাতের আকাশ তারা ভরা
দিনে আলোর ঝিল
এর মাঝেই খুঁজে দেখো
সুন্দরের মিল।
প্রজাপতি উড়ে যায়
স্বপ্নিল দেশে,
মৌমাছি মধু দেয়
ফুল ভালোবেসে।

আবোল তাবোল
জাকারিয়া হোসাইন

আবোল তাবোল করছো কেনো
ওরে ছোটো খোকা
পাছে লোকে ভাবতে পারে
তুমি বুঝি বোকা।

এখন তুমি হইছো বড়ো
নেই যে ছোটো আর
এখন তোমায় হতেই হবে
গাঁয়ের নদী পার।

গাঁয়ের নদী পাড়ি দিয়ে
পাঠশালাতে যাবে
বড়ো হয়ে চাকরি করে
গোশত-পোলাও খাবে।

পাঠশালাতে যেতে হবে
নেই যে এবার মাফ
মাথা থেকে আবোল তাবোল
করতে হবে সাফ।

Share.

মন্তব্য করুন